ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মতলব উত্তরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৫-২০ নেতাকর্মী আহত

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মতলব উত্তরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান (সিআইপি)।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর হুমকি-ধামকিসহ মারধর করে আসছে মায়া চৌধুরীর লোকজন। এ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন।
মতলব উত্তরের লতরদী নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম ইসফাক আহসান আরও বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ও আজকে (শনিবার) আমার নেতা-কর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকা প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রামাণিক, বাবু প্রামাণিকসহ ২৫-৩০ জন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন এম ইসফাক আহসান।
জানা যায়, আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে খবর পেয়ে হামলার ঘটনার পরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইসফাক আহসান বলেন, নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা ভীত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারও কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য উদাত্ত আহŸান জানাই।
এক প্রশ্নের জবাবে এম ইসফাক আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি প্রার্থী হয়েছি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই কারো কারো চুলকানি শুরু হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তা দেখে তাদের চুলকানি শুরু হয়েছে। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হব ইনশাআল্লাহ।
এ অভিযোগের বিষয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, এখানে অন্য অনেক প্রার্থী রয়েছে। কে কাকে হামলা করেছে, তা জানা নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান নিজেই গত দুদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া ও প্রদর্শন করছেন।

#
ছবির ক্যাপশন – ২
চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মতলব উত্তরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৫-২০ নেতাকর্মী আহত

আপডেট টাইম ০৯:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মতলব উত্তরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান (সিআইপি)।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর হুমকি-ধামকিসহ মারধর করে আসছে মায়া চৌধুরীর লোকজন। এ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন।
মতলব উত্তরের লতরদী নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম ইসফাক আহসান আরও বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ও আজকে (শনিবার) আমার নেতা-কর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকা প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রামাণিক, বাবু প্রামাণিকসহ ২৫-৩০ জন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন এম ইসফাক আহসান।
জানা যায়, আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে খবর পেয়ে হামলার ঘটনার পরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইসফাক আহসান বলেন, নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা ভীত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারও কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য উদাত্ত আহŸান জানাই।
এক প্রশ্নের জবাবে এম ইসফাক আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি প্রার্থী হয়েছি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই কারো কারো চুলকানি শুরু হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তা দেখে তাদের চুলকানি শুরু হয়েছে। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হব ইনশাআল্লাহ।
এ অভিযোগের বিষয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, এখানে অন্য অনেক প্রার্থী রয়েছে। কে কাকে হামলা করেছে, তা জানা নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান নিজেই গত দুদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া ও প্রদর্শন করছেন।

#
ছবির ক্যাপশন – ২
চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।