ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।।

নজরুল ইসলাম আলীম//
আগাবাখের খানের স্মৃতি বিজড়িত বার আউলিয়াদের পণ্যভূমি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে গঠিত বরিশাল-৬ আসন।এই আসনটিতে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রবীণ সদস্য,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি।এর কারণ হিসেবেহে ভিওয়েট আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনারা জানেন আমাদের দীর্ঘ ২২ বছর পর বহু আন্দোলন,সংগ্রামের ও ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে অর্জিত ও জনসম্পৃক্ততায় এগিয়ে রয়েছে বহুল কাঙ্খিত এই নৌকা প্রতীক।আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী আরো জানান,আপনারা জানেন যে সারা বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের হাত ধরে মহাসড়কে পরিনত হলেও আমাদের বাকেরগঞ্জের বেলায় তা অভিন্ন। আমরা দীর্ঘ ২২ টি বছর ছিলাম উন্নয়নবঞ্চিত, সুবিধাবঞ্চিত,অবহেলিত এমনকি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চলে নেই কোন কালভার্ট, নেই কোন রাস্তাঘাট, নেই কোন ব্রিজ, নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ের ভবন সমূহ।এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি থাকলেও স্বাধীনতার পর ১৯৯৬ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর নামে খ্যাত মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগদান করে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি তৎকালীন সময় নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করার পর তিনি এই আসনটির বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সহ এমন কোন স্থান নাই যে তার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই এই আসনটি তিনি একটি আওয়ামী লীগের দুর্গের আসনে পরিণত করেন। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাবেক সংসদ মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার শাসন আমলে কোন স্বজন প্রীতি কিংবা পারিবারিক তান্ত্রিক রাজনীতি ছিলনা। এমনকি বিভিন্ন প্রকারের থোক বরাদ্দ, টিয়ার কাবিখা সহ বিভিন্ন প্রকারের উন্নয়ন প্রকল্পে ছিল না কোন অনিয়ম,দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও পার্সেন্টিজ। তাই বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ সাবেক সংসদ মরহুমম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন সৎ,যোগ্য,নিষ্ঠাবান, পরোপকারী এবং বহু গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলীবিদ আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক পি এস সি।এছাড়াও নৌকার মার্কার কর্মীরা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মত আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী হলেন আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ)আব্দুল হাফিজ মল্লিক।সে হিসেবে তিনি বরিশাল-৬ আসনে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন সকলের ঊর্ধ্বে । এমনটাই বলছেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনতা।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান,আপনারা হয়তোবা জানেন আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসেবে চাকুরিরত অবস্থায় ছিলাম এবং আমি আমার চাকুরী কালীন সময় আমার প্রিয় বরিশাল বাসী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অগণিত মানুষকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী দিয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ তৎকালীন সময়কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আমি গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া ইউনিয়নের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স,সমাধি সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল আমাকে এবং আমিও সেই দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি । কিন্তু অতিব গভীর দুঃখের সহিত বলতে হয় যে,আমাকে সেই দায়িত্ব পালন করার কারনে তৎকালীন সময়ে ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাকে আমার চাকুরীর মেদ থাকা সত্ত্বেও বাধ্যতামূলক আমাকে অবসরে পাঠিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ভবন এবং মাযারেরে প্রকল্প দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১নং আসামী এবং আমাকে ২ নং আসামী করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা রাজনৈতিক হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেন। যেহেতু আমাদের বাকেরগঞ্জের বরিশাল-৬আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখহাসিনার একমাত্র আস্থার প্রতিক,আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) হাফিজ মল্লিক দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন সহ ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজার, গ্রামেগঞ্জে,পাড়া মহল্লায়, স্কুল-মাদ্রাসায়, জনসমাগম পরিণত করছেন জনসমাবেশে। এমন দৃশ্যোই ঘোষণা করছে বরিশাল-৬ আসনে নৌকা ও এই প্রার্থীর জনপ্রিয়তার।এছাড়াও তাঁর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘ ২২টি বছর আশানুরুপ বিভিন্ন রাস্তাঘাট,ব্রীজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দীরের উন্নয়নের বিন্দুমাত্র ছোয়া লাগেনি ।দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মী ও মূল দল সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেও এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের হেভি ওয়েট এই প্রার্থী । এতে করে ইতিমধ্যেই দলের নেতা কর্মীদের কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এই নেতা।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট অনেক নেতারাই নাম প্রকাশ করার না স্বার্থে বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাকে আমাদের বরিশাল-৬আসনে তার মত সমকক্ষ কোন বিকল্প প্রার্থী নেই। তার মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে আমাদে উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জ এই আসনে এই সময়ে খুব প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন।তিনি একজন সৎ,মেধাবী, বিজ্ঞ প্রকৌশলীবিদ, শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি হিসেবে বাকেরগঞ্জের দলমত নির্বিশেষে সবাই এই নেতাকে আগামী ২০২৪ সালের ৭ ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে জয়ী করবেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলিগের হেভিওয়েট একাধিক নেতা নাম প্রকাশ করার না শর্তে সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় যে লোকটি আমাদের পাশে থেকে আমাদের যে উপকার করেছে তা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না।তাকে আমরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ২০২৪ সালের ৭ই জনুয়ারি বরিশাল-৬ আসন নৌকার মাঝি হিসাবে তাহার নৌকা মার্কায় বিপুল ভোট দিয়ে তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাবোই।তিনি এমনই এক নেতা যে তার কোন বিকল্প নেই।আমাদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনগণের জন্য তার মত একজন সৎ, মেধাবী,পরোপকারী এবং যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা আমাদের বাকেরগঞ্জ বাসীর জন্য গর্ব। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে, যেন এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখে আমাদের উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জবাসীর জন্য স্মার্ট বাকেরগঞ্জ গড়ার বিষয়টি যেন লক্ষ্য রাখেন। তার মতো লোক এমপি হলে আশা করি জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এবং কেন্দ্রীয় এই নেতা এমপি নির্বাচিত হতে পারলে তিনি তার যোগ্যতার পরিচয়ে বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদে একটি মন্ত্রীত্বের আসন পাবেন বলে এমনটা প্রত্যাশা বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাসীর সবার।করোনা মহামারী সহ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় বিভিন্ন পেশার শ্রেণীর মানুষ তাহার নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করিলে তিনি তা কখনো ফিরিয়ে দেননি। এরকম আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বরিশাল-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সকলকে নিয়ে সব ধরনের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান ।বাকেরগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মীর বলেন ,আগামী ৭ ই নির্বাচন পর্যন্ত তাহার পক্ষে কাজ করে তাকে বরিশাল-৬ আসনে বিপুল পরিমাণে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সাবেক এই নেতা আরো বলেন, এরকম নেতার বিকল্প নেই আমাদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনগণের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে, যেন এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ২০০১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার নৌকা মার্কার বিপক্ষে দেয়াল ঘড়ি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে নৌকার তলা ফুটা করছিলেন বর্তমান আওয়ামীগে উপজেলা সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যাতে পুনরায় নৌকা তলা ফুটা না করতে পারে কিংবা দলের বিপক্ষে অবস্থান করে দলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জয় পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর নিকট বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান,জয় পাওয়া যায় বড় কথা নয় বরং আমি আমার উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জ বাসীর জন্য কতটা সেবা দিতে পারলাম সেটাই আমার মূল কথা।তবে আমি আশাবাদী আগামীর ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল-মত নির্বিশেষে বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।মহান রাব্বুল আলামিনের কৃপায় আমি যদি সংসদ সদস্য পদে জয়লাভ করতে পারে তবে আমি আমার বাকেরগঞ্জ বাসীর সবাইকে নিয়ে সকল অনিয়, অন্যায় ,দুর্নীতিমুক্ত,মাদকমুক্ত,সন্ত্রাসমুক্ত একটি স্মার্ট বাকেরগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব ইনশাআল্লাহ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।।

আপডেট টাইম ১০:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নজরুল ইসলাম আলীম//
আগাবাখের খানের স্মৃতি বিজড়িত বার আউলিয়াদের পণ্যভূমি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে গঠিত বরিশাল-৬ আসন।এই আসনটিতে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রবীণ সদস্য,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি।এর কারণ হিসেবেহে ভিওয়েট আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনারা জানেন আমাদের দীর্ঘ ২২ বছর পর বহু আন্দোলন,সংগ্রামের ও ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে অর্জিত ও জনসম্পৃক্ততায় এগিয়ে রয়েছে বহুল কাঙ্খিত এই নৌকা প্রতীক।আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী আরো জানান,আপনারা জানেন যে সারা বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের হাত ধরে মহাসড়কে পরিনত হলেও আমাদের বাকেরগঞ্জের বেলায় তা অভিন্ন। আমরা দীর্ঘ ২২ টি বছর ছিলাম উন্নয়নবঞ্চিত, সুবিধাবঞ্চিত,অবহেলিত এমনকি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চলে নেই কোন কালভার্ট, নেই কোন রাস্তাঘাট, নেই কোন ব্রিজ, নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ের ভবন সমূহ।এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি থাকলেও স্বাধীনতার পর ১৯৯৬ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর নামে খ্যাত মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগদান করে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি তৎকালীন সময় নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করার পর তিনি এই আসনটির বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সহ এমন কোন স্থান নাই যে তার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই এই আসনটি তিনি একটি আওয়ামী লীগের দুর্গের আসনে পরিণত করেন। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাবেক সংসদ মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার শাসন আমলে কোন স্বজন প্রীতি কিংবা পারিবারিক তান্ত্রিক রাজনীতি ছিলনা। এমনকি বিভিন্ন প্রকারের থোক বরাদ্দ, টিয়ার কাবিখা সহ বিভিন্ন প্রকারের উন্নয়ন প্রকল্পে ছিল না কোন অনিয়ম,দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও পার্সেন্টিজ। তাই বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ সাবেক সংসদ মরহুমম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন সৎ,যোগ্য,নিষ্ঠাবান, পরোপকারী এবং বহু গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলীবিদ আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক পি এস সি।এছাড়াও নৌকার মার্কার কর্মীরা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মত আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী হলেন আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ)আব্দুল হাফিজ মল্লিক।সে হিসেবে তিনি বরিশাল-৬ আসনে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন সকলের ঊর্ধ্বে । এমনটাই বলছেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনতা।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান,আপনারা হয়তোবা জানেন আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসেবে চাকুরিরত অবস্থায় ছিলাম এবং আমি আমার চাকুরী কালীন সময় আমার প্রিয় বরিশাল বাসী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অগণিত মানুষকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী দিয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ তৎকালীন সময়কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আমি গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া ইউনিয়নের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স,সমাধি সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল আমাকে এবং আমিও সেই দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি । কিন্তু অতিব গভীর দুঃখের সহিত বলতে হয় যে,আমাকে সেই দায়িত্ব পালন করার কারনে তৎকালীন সময়ে ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাকে আমার চাকুরীর মেদ থাকা সত্ত্বেও বাধ্যতামূলক আমাকে অবসরে পাঠিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ভবন এবং মাযারেরে প্রকল্প দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১নং আসামী এবং আমাকে ২ নং আসামী করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা রাজনৈতিক হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেন। যেহেতু আমাদের বাকেরগঞ্জের বরিশাল-৬আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখহাসিনার একমাত্র আস্থার প্রতিক,আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) হাফিজ মল্লিক দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন সহ ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজার, গ্রামেগঞ্জে,পাড়া মহল্লায়, স্কুল-মাদ্রাসায়, জনসমাগম পরিণত করছেন জনসমাবেশে। এমন দৃশ্যোই ঘোষণা করছে বরিশাল-৬ আসনে নৌকা ও এই প্রার্থীর জনপ্রিয়তার।এছাড়াও তাঁর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘ ২২টি বছর আশানুরুপ বিভিন্ন রাস্তাঘাট,ব্রীজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দীরের উন্নয়নের বিন্দুমাত্র ছোয়া লাগেনি ।দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মী ও মূল দল সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেও এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের হেভি ওয়েট এই প্রার্থী । এতে করে ইতিমধ্যেই দলের নেতা কর্মীদের কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এই নেতা।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট অনেক নেতারাই নাম প্রকাশ করার না স্বার্থে বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাকে আমাদের বরিশাল-৬আসনে তার মত সমকক্ষ কোন বিকল্প প্রার্থী নেই। তার মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে আমাদে উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জ এই আসনে এই সময়ে খুব প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন।তিনি একজন সৎ,মেধাবী, বিজ্ঞ প্রকৌশলীবিদ, শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি হিসেবে বাকেরগঞ্জের দলমত নির্বিশেষে সবাই এই নেতাকে আগামী ২০২৪ সালের ৭ ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে জয়ী করবেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলিগের হেভিওয়েট একাধিক নেতা নাম প্রকাশ করার না শর্তে সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় যে লোকটি আমাদের পাশে থেকে আমাদের যে উপকার করেছে তা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না।তাকে আমরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ২০২৪ সালের ৭ই জনুয়ারি বরিশাল-৬ আসন নৌকার মাঝি হিসাবে তাহার নৌকা মার্কায় বিপুল ভোট দিয়ে তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাবোই।তিনি এমনই এক নেতা যে তার কোন বিকল্প নেই।আমাদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনগণের জন্য তার মত একজন সৎ, মেধাবী,পরোপকারী এবং যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা আমাদের বাকেরগঞ্জ বাসীর জন্য গর্ব। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে, যেন এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখে আমাদের উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জবাসীর জন্য স্মার্ট বাকেরগঞ্জ গড়ার বিষয়টি যেন লক্ষ্য রাখেন। তার মতো লোক এমপি হলে আশা করি জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এবং কেন্দ্রীয় এই নেতা এমপি নির্বাচিত হতে পারলে তিনি তার যোগ্যতার পরিচয়ে বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদে একটি মন্ত্রীত্বের আসন পাবেন বলে এমনটা প্রত্যাশা বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাসীর সবার।করোনা মহামারী সহ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় বিভিন্ন পেশার শ্রেণীর মানুষ তাহার নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করিলে তিনি তা কখনো ফিরিয়ে দেননি। এরকম আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বরিশাল-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সকলকে নিয়ে সব ধরনের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান ।বাকেরগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সুলতান মীর বলেন ,আগামী ৭ ই নির্বাচন পর্যন্ত তাহার পক্ষে কাজ করে তাকে বরিশাল-৬ আসনে বিপুল পরিমাণে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সাবেক এই নেতা আরো বলেন, এরকম নেতার বিকল্প নেই আমাদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনগণের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে, যেন এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ২০০১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার নৌকা মার্কার বিপক্ষে দেয়াল ঘড়ি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে নৌকার তলা ফুটা করছিলেন বর্তমান আওয়ামীগে উপজেলা সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যাতে পুনরায় নৌকা তলা ফুটা না করতে পারে কিংবা দলের বিপক্ষে অবস্থান করে দলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জয় পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর নিকট বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান,জয় পাওয়া যায় বড় কথা নয় বরং আমি আমার উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জ বাসীর জন্য কতটা সেবা দিতে পারলাম সেটাই আমার মূল কথা।তবে আমি আশাবাদী আগামীর ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল-মত নির্বিশেষে বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।মহান রাব্বুল আলামিনের কৃপায় আমি যদি সংসদ সদস্য পদে জয়লাভ করতে পারে তবে আমি আমার বাকেরগঞ্জ বাসীর সবাইকে নিয়ে সকল অনিয়, অন্যায় ,দুর্নীতিমুক্ত,মাদকমুক্ত,সন্ত্রাসমুক্ত একটি স্মার্ট বাকেরগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব ইনশাআল্লাহ।