বাকেগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি।
বাকেরগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ১১টি নদী। যার মধ্যে ৮ টি নদীর নামই নেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায়।
বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধান না করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাড়াহুড়া করে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে। যে তালিকা থেকে বাকেরগঞ্জের অতি পরিচিত ৮ টি নদীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ১১ নদী থেকে ৮টি নদীর নাম নদী রক্ষা কমিশনের ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ বইয়ে নেই। এগুলো হলো তুলাতলি, শ্রীমন্ত, কারখানা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, রাঙ্গাবালি, খয়রাবাদ নদী।
এই নদী গুলোর নাম মুছে দিয়ে মাত্র তিনটি নদী ‘যথাক্রমে পান্ডব নদী, রাঙ্গামাটি নদী, ও ধুলিয়া নদী’ নাম দেওয়া হয়েছে । এবং সেখানে নদী গুলোর দৈর্ঘ্য অনেক কম দেখানো হয়েছে। যেমন পান্ডব নদী বাকেরগঞ্জের অংশে ১৫ কি.মি.বলা হয়েছে অথচ প্রকৃতপক্ষে এই নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি নদী ৬ কি.মি. দেখিয়েছেন অথচ বাকেরগঞ্জের অংশে এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। ধুলিয়া নদীর দৈর্ঘ ৮ কি.মি. বলা হয়েছে অথচ এই নদীর দৈর্ঘ্য বাকেরগঞ্জের অংশে ১১ কিলোমিটার। এছাড়াও পায়রা ও বুড়িশ্বর দুই নদীর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার দেখিয়েছে যা সঠিক নয়।
এছারাও নদী দখলদারের তথ্য মুছে ফেলেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বুক চিরে প্রবাহিত শ্রীমন্ত নদী দখলদারের দখলে থাকলেও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে দখলদারের নাম তাদের প্রকাশিত তালিকায় রাখেনি।
বাকেরগঞ্জে সূশীল সমাজের দাবি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বই ও ওয়েবসাইটের তালিকা সংশোধন করে ১১টি নদী তালিকাভুক্ত করে নদী দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হউক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক সংগঠন গর্বের বাকেরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মোহন বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের সর্বশেষ নদীর তালিক বাতিল এবং নতুন করে তালিকা প্রণয়ন করে বাকেরগঞ্জের ইতিহাসের সঠিক তথ্য তুলে ধরা হউক।
তিনি বলেন বাকেরগঞ্জের নদী কেন্দ্রিক ইতিহাস মুছে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছি। সেখানে যদি কোনো জেলা উপজেলার নদীর নাম বাদ পড়ে তা বর্তমান যিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন তার কাছে লিখিত দিলে সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, যে নদীগুলোর নাম বাদ পড়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে।
মতো