ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জের ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে নেই। বেড়েছে অবৈধ দখল।

বাকেগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি।

বাকেরগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ১১টি নদী। যার মধ্যে ৮ টি নদীর নামই নেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায়।

বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধান না করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাড়াহুড়া করে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে। যে তালিকা থেকে বাকেরগঞ্জের অতি পরিচিত ৮ টি নদীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ১১ নদী থেকে ৮টি নদীর নাম নদী রক্ষা কমিশনের ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ বইয়ে নেই। এগুলো হলো তুলাতলি, শ্রীমন্ত, কারখানা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, রাঙ্গাবালি, খয়রাবাদ নদী।
এই নদী গুলোর নাম মুছে দিয়ে মাত্র তিনটি নদী ‘যথাক্রমে পান্ডব নদী, রাঙ্গামাটি নদী, ও ধুলিয়া নদী’ নাম দেওয়া হয়েছে । এবং সেখানে নদী গুলোর দৈর্ঘ্য অনেক কম দেখানো হয়েছে। যেমন পান্ডব নদী বাকেরগঞ্জের অংশে ১৫ কি.মি.বলা হয়েছে অথচ প্রকৃতপক্ষে এই নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি নদী ৬ কি.মি. দেখিয়েছেন অথচ বাকেরগঞ্জের অংশে এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। ধুলিয়া নদীর দৈর্ঘ ৮ কি.মি. বলা হয়েছে অথচ এই নদীর দৈর্ঘ্য বাকেরগঞ্জের অংশে ১১ কিলোমিটার। এছাড়াও পায়রা ও বুড়িশ্বর দুই নদীর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার দেখিয়েছে যা সঠিক নয়।

এছারাও নদী দখলদারের তথ্য মুছে ফেলেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বুক চিরে প্রবাহিত শ্রীমন্ত নদী দখলদারের দখলে থাকলেও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে দখলদারের নাম তাদের প্রকাশিত তালিকায় রাখেনি।

বাকেরগঞ্জে সূশীল সমাজের দাবি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বই ও ওয়েবসাইটের তালিকা সংশোধন করে ১১টি নদী তালিকাভুক্ত করে নদী দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হউক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক সংগঠন গর্বের বাকেরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মোহন বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের সর্বশেষ নদীর তালিক বাতিল এবং নতুন করে তালিকা প্রণয়ন করে বাকেরগঞ্জের ইতিহাসের সঠিক তথ্য তুলে ধরা হউক।

তিনি বলেন বাকেরগঞ্জের নদী কেন্দ্রিক ইতিহাস মুছে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছি। সেখানে যদি কোনো জেলা উপজেলার নদীর নাম বাদ পড়ে তা বর্তমান যিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন তার কাছে লিখিত দিলে সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, যে নদীগুলোর নাম বাদ পড়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে।
মতো

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বাকেরগঞ্জের ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে নেই। বেড়েছে অবৈধ দখল।

আপডেট টাইম ০৩:৪৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

বাকেগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি।

বাকেরগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ১১টি নদী। যার মধ্যে ৮ টি নদীর নামই নেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায়।

বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধান না করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাড়াহুড়া করে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে। যে তালিকা থেকে বাকেরগঞ্জের অতি পরিচিত ৮ টি নদীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ১১ নদী থেকে ৮টি নদীর নাম নদী রক্ষা কমিশনের ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ বইয়ে নেই। এগুলো হলো তুলাতলি, শ্রীমন্ত, কারখানা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, রাঙ্গাবালি, খয়রাবাদ নদী।
এই নদী গুলোর নাম মুছে দিয়ে মাত্র তিনটি নদী ‘যথাক্রমে পান্ডব নদী, রাঙ্গামাটি নদী, ও ধুলিয়া নদী’ নাম দেওয়া হয়েছে । এবং সেখানে নদী গুলোর দৈর্ঘ্য অনেক কম দেখানো হয়েছে। যেমন পান্ডব নদী বাকেরগঞ্জের অংশে ১৫ কি.মি.বলা হয়েছে অথচ প্রকৃতপক্ষে এই নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি নদী ৬ কি.মি. দেখিয়েছেন অথচ বাকেরগঞ্জের অংশে এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। ধুলিয়া নদীর দৈর্ঘ ৮ কি.মি. বলা হয়েছে অথচ এই নদীর দৈর্ঘ্য বাকেরগঞ্জের অংশে ১১ কিলোমিটার। এছাড়াও পায়রা ও বুড়িশ্বর দুই নদীর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার দেখিয়েছে যা সঠিক নয়।

এছারাও নদী দখলদারের তথ্য মুছে ফেলেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বুক চিরে প্রবাহিত শ্রীমন্ত নদী দখলদারের দখলে থাকলেও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে দখলদারের নাম তাদের প্রকাশিত তালিকায় রাখেনি।

বাকেরগঞ্জে সূশীল সমাজের দাবি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বই ও ওয়েবসাইটের তালিকা সংশোধন করে ১১টি নদী তালিকাভুক্ত করে নদী দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হউক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক সংগঠন গর্বের বাকেরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মোহন বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের সর্বশেষ নদীর তালিক বাতিল এবং নতুন করে তালিকা প্রণয়ন করে বাকেরগঞ্জের ইতিহাসের সঠিক তথ্য তুলে ধরা হউক।

তিনি বলেন বাকেরগঞ্জের নদী কেন্দ্রিক ইতিহাস মুছে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছি। সেখানে যদি কোনো জেলা উপজেলার নদীর নাম বাদ পড়ে তা বর্তমান যিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন তার কাছে লিখিত দিলে সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, যে নদীগুলোর নাম বাদ পড়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে।
মতো