ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সমাবেশ ; মিছিল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে “কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত‍্যা দিবস” ঘোষণার দাবি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার এই কলঙ্কজনক দিনে জেনারেল জিয়াউর রহমান সহ পাকিস্তান ফেরত সৈনিকেরা সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম সহ আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনাকে হত্যা করেছিল। অথচ দেশপ্রেমিক খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন জিয়াউর রহমান গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যা করেছিল তা এদেশকে আবার নব‍্য পাকিস্তানে পরিণত করে। বিশেষত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতাকে জেলের ভেতর হত্যা এবং ১৯৮১ সাল অবধি কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে নিষ্ঠুরভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, গুলি ও গুম করে হত্যার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়।
আজ( ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার )বিকেলে নগরের নিউমার্কেট সংলগ্ন দোস্তবিল্ডিং চত্বরে কলঙ্কজনক ৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত‍্যা দিবস ঘোষণার দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।সংগঠনের মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ,আবদুল মালেক খান,এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, মোহাম্মদ জসীম,নাজিম উদ্দিন,সেলিম রহমান,পংকজ রায়,কামাল উদ্দিন,কোহিনুর আকতার,নবী হোসেন সালাউদ্দিন প্রমূখ।
সমাবেশে প্রধান বক্তা বেদার বলেন,সেদিনকার কথিত সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সৈনিকরা ছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত এবং তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যাটালিয়নে ছিল না। সুতরাং এটি পরিষ্কার যে, ‘ষড়যন্ত্র এবং জঘন্য হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্যই বিশেষ মহল ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। আর বিশেষ মহলের নেপথ্যে কারা ছিল তা জাতির নিকট অত্যন্ত স্পষ্ট।’
সভাপতি সরফরাজ বলেন, ৭ নভেম্বর প্রথম প্রকাশ্যে হত্যার শিকার হন দুজন সেক্টর কমান্ডার ও একজন সাব-সেক্টর কমান্ডার। আর এই ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে ২১ জুলাই ১৯৭৬ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন আরেকজন সেক্টর কমান্ডার। এছাড়া সেনাবাহিনীর ভেতরে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যার শিকার হন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও কোনো সেক্টর কমান্ডারকে প্রাণ হারাতে হয়নি। অথচ তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মিথ‍্যা ইতিহাস শুনিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছিল বঙ্গবন্ধু হত‍্যাকান্ডের কুশীলবরা।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

চট্টগ্রামে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সমাবেশ ; মিছিল

আপডেট টাইম ০৮:০৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো

৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে “কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত‍্যা দিবস” ঘোষণার দাবি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার এই কলঙ্কজনক দিনে জেনারেল জিয়াউর রহমান সহ পাকিস্তান ফেরত সৈনিকেরা সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম সহ আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনাকে হত্যা করেছিল। অথচ দেশপ্রেমিক খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন জিয়াউর রহমান গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যা করেছিল তা এদেশকে আবার নব‍্য পাকিস্তানে পরিণত করে। বিশেষত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতাকে জেলের ভেতর হত্যা এবং ১৯৮১ সাল অবধি কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে নিষ্ঠুরভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, গুলি ও গুম করে হত্যার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়।
আজ( ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার )বিকেলে নগরের নিউমার্কেট সংলগ্ন দোস্তবিল্ডিং চত্বরে কলঙ্কজনক ৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত‍্যা দিবস ঘোষণার দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।সংগঠনের মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ,আবদুল মালেক খান,এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, মোহাম্মদ জসীম,নাজিম উদ্দিন,সেলিম রহমান,পংকজ রায়,কামাল উদ্দিন,কোহিনুর আকতার,নবী হোসেন সালাউদ্দিন প্রমূখ।
সমাবেশে প্রধান বক্তা বেদার বলেন,সেদিনকার কথিত সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সৈনিকরা ছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত এবং তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যাটালিয়নে ছিল না। সুতরাং এটি পরিষ্কার যে, ‘ষড়যন্ত্র এবং জঘন্য হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্যই বিশেষ মহল ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। আর বিশেষ মহলের নেপথ্যে কারা ছিল তা জাতির নিকট অত্যন্ত স্পষ্ট।’
সভাপতি সরফরাজ বলেন, ৭ নভেম্বর প্রথম প্রকাশ্যে হত্যার শিকার হন দুজন সেক্টর কমান্ডার ও একজন সাব-সেক্টর কমান্ডার। আর এই ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে ২১ জুলাই ১৯৭৬ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন আরেকজন সেক্টর কমান্ডার। এছাড়া সেনাবাহিনীর ভেতরে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যার শিকার হন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও কোনো সেক্টর কমান্ডারকে প্রাণ হারাতে হয়নি। অথচ তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মিথ‍্যা ইতিহাস শুনিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছিল বঙ্গবন্ধু হত‍্যাকান্ডের কুশীলবরা।