ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে দেখে আসলেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল
এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘুরে আসলেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সংগঠক কামরুজ্জামান রুম্মন।
তিনি বলেন আমি আমার এলাকার লোকজনকে নিয়ে টানেল দেখতে এসেছি এক কথায় অসাধারণ। টানেলের ভেতর প্রবেশ করে মনে হয়েছে আমি অন্য পৃথিবীতে আছি। ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কথাটি এত দিন ধরে শুনে আসছি আজ তা বাস্তবে পরিণত হতে দেখছি। টানেলের ভেতর দিয়ে ৩ কিলোমিটারের বেশি পথ মাত্র ৪ মিনিটে অতিক্রম করতে পেরেছি। সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।’

সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন’ লিমিটেড কাজ শুরু করে। টানা সাড়ে ৪ বছর ৮ মাস কাজ করার পর টানেল নির্মাণ শেষ হয়। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি-টু-জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে চীন সরকার। শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় টানেলটি ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলটি নদীর পৃষ্ঠ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ভূমিকম্পে টানেল নিরাপদ থাকবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল গেছে। সহজে যাতে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারে তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড। রয়েছে ৭৪০ মিটার ব্রিজ। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য টানেলটি তিন থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময়ের মধ্যে পার হয়ে যাওয়া যাবে।

জানা গেছে, টানেলটি শুধু দুই প্রান্তের সংযোগ করবে না, টানেলটি ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। টানেলটি কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশের চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দরকে নদীর ভেতর দিয়ে পূর্ব দিককে সঙ্গে সংযুক্ত করবে। পূর্বদিকে রয়েছে চট্টগ্রামের পাহাড় ঘেরা আনোয়ারা উপজেলা। আনোয়ারার মধ্যে দিয়ে সহজে যাওয়া যাবে মাতারবাড়ী, কক্সবাজার, টেকনাফ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে দেখে আসলেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা

আপডেট টাইম ১০:২৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল
এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘুরে আসলেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সংগঠক কামরুজ্জামান রুম্মন।
তিনি বলেন আমি আমার এলাকার লোকজনকে নিয়ে টানেল দেখতে এসেছি এক কথায় অসাধারণ। টানেলের ভেতর প্রবেশ করে মনে হয়েছে আমি অন্য পৃথিবীতে আছি। ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কথাটি এত দিন ধরে শুনে আসছি আজ তা বাস্তবে পরিণত হতে দেখছি। টানেলের ভেতর দিয়ে ৩ কিলোমিটারের বেশি পথ মাত্র ৪ মিনিটে অতিক্রম করতে পেরেছি। সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।’

সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন’ লিমিটেড কাজ শুরু করে। টানা সাড়ে ৪ বছর ৮ মাস কাজ করার পর টানেল নির্মাণ শেষ হয়। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি-টু-জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে চীন সরকার। শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় টানেলটি ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলটি নদীর পৃষ্ঠ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ভূমিকম্পে টানেল নিরাপদ থাকবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল গেছে। সহজে যাতে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারে তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড। রয়েছে ৭৪০ মিটার ব্রিজ। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য টানেলটি তিন থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময়ের মধ্যে পার হয়ে যাওয়া যাবে।

জানা গেছে, টানেলটি শুধু দুই প্রান্তের সংযোগ করবে না, টানেলটি ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। টানেলটি কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশের চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দরকে নদীর ভেতর দিয়ে পূর্ব দিককে সঙ্গে সংযুক্ত করবে। পূর্বদিকে রয়েছে চট্টগ্রামের পাহাড় ঘেরা আনোয়ারা উপজেলা। আনোয়ারার মধ্যে দিয়ে সহজে যাওয়া যাবে মাতারবাড়ী, কক্সবাজার, টেকনাফ।