ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মতলব -গজারিয়া ঝুলন্ত সেতু একনেকে অনুমোদন আনন্দের বন্যা আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি নির্মিত হবে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু। গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবর শুনে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল এমপি ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. আলমের সর্মথকসহ এলাকাবাসী।
ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
দেশীয় অর্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এই সেতু নির্মিত হলে চাঁদপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার। ফলে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।
সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৮৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৭.৫১ কিলোমিটার (গজারিয়া অংশে ৫.৪৬০ কিলোমিটার ও মতলব উত্তর অংশে ২.০৫৫ কিলোমিটার)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘ১ এর সাথে ইন্টারচেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ২.১ কিলোমিটার। নদী শাসন কাজের দৈর্ঘ্য ২.২ কিলোমিটার। টোল প্লাজা একটি এবং ওজন স্টেশন হবে দুইটি। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স হবে ২৫ মিটার। এই সেতু বাস্তবায়ন হলে জিডিপি প্রবৃদ্বির হার বাড়বে ০.২৩%। সেতুটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে বিকল্প সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে।
সেতুটি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (ঘ-১) এর উপর যানবাহনের চাপ কমবে। সেই সাথে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলায় অনুমোদিত দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এই সেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখবে। নদীর অববাহিকায় নতুন শিল্পাঞ্চল’সহ পর্যটন শিল্প বিকাশের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সেতুটি হলে দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা প্রাপ্ত হবে। সেতুটির মধ্যে নদীর মূল প্রবাহে কোন পিলার থাকবে না। এজন্য নদীর প্রবাহে কোন বাধা সৃষ্টি হবে না।
উল্লেখ্য, মতলব-গজারিয়া সেতুটি ২ লেনের ও ৬শ’ কোটি টাকায় এলজিইডির মাধ্যমে নির্মান করার প্রস্তাব ছিল। পরে শরীয়তপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকজন এই পথে যাতায়াতের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেতু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪ লেন বিশিষ্ট ৪ হাজার ১শ’ কোটি টাকা করা হয়।
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য নুরুল আমিন রুহুল জানান, ৫০ বছর ধরে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ সেতুটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যসহ উন্নয়নের এক মাইল ফলক উন্মোচিত হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মতলব-গজারিয়া ভবেরচর সংযোগ সেতু হবে বাংলাদেশে প্রথম তারের ঝুলন্ত একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এ সেতুর অনুমোদন করায়।
ক্যাপশন- মতলব-গজারিয়া জুলন্ত সেতুর নকশা।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মতলব -গজারিয়া ঝুলন্ত সেতু একনেকে অনুমোদন আনন্দের বন্যা আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ

আপডেট টাইম ০৮:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি নির্মিত হবে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু। গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবর শুনে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল এমপি ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. আলমের সর্মথকসহ এলাকাবাসী।
ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
দেশীয় অর্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এই সেতু নির্মিত হলে চাঁদপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার। ফলে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।
সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৮৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৭.৫১ কিলোমিটার (গজারিয়া অংশে ৫.৪৬০ কিলোমিটার ও মতলব উত্তর অংশে ২.০৫৫ কিলোমিটার)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘ১ এর সাথে ইন্টারচেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ২.১ কিলোমিটার। নদী শাসন কাজের দৈর্ঘ্য ২.২ কিলোমিটার। টোল প্লাজা একটি এবং ওজন স্টেশন হবে দুইটি। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স হবে ২৫ মিটার। এই সেতু বাস্তবায়ন হলে জিডিপি প্রবৃদ্বির হার বাড়বে ০.২৩%। সেতুটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে বিকল্প সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে।
সেতুটি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (ঘ-১) এর উপর যানবাহনের চাপ কমবে। সেই সাথে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলায় অনুমোদিত দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এই সেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখবে। নদীর অববাহিকায় নতুন শিল্পাঞ্চল’সহ পর্যটন শিল্প বিকাশের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সেতুটি হলে দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা প্রাপ্ত হবে। সেতুটির মধ্যে নদীর মূল প্রবাহে কোন পিলার থাকবে না। এজন্য নদীর প্রবাহে কোন বাধা সৃষ্টি হবে না।
উল্লেখ্য, মতলব-গজারিয়া সেতুটি ২ লেনের ও ৬শ’ কোটি টাকায় এলজিইডির মাধ্যমে নির্মান করার প্রস্তাব ছিল। পরে শরীয়তপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকজন এই পথে যাতায়াতের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেতু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪ লেন বিশিষ্ট ৪ হাজার ১শ’ কোটি টাকা করা হয়।
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য নুরুল আমিন রুহুল জানান, ৫০ বছর ধরে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ সেতুটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যসহ উন্নয়নের এক মাইল ফলক উন্মোচিত হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মতলব-গজারিয়া ভবেরচর সংযোগ সেতু হবে বাংলাদেশে প্রথম তারের ঝুলন্ত একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এ সেতুর অনুমোদন করায়।
ক্যাপশন- মতলব-গজারিয়া জুলন্ত সেতুর নকশা।