মো.ফখর উদ্দিন, প্রতিনিধি ::
স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন ও যান চলাচল ঘিরে মহানগরের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে চলছে উৎসবের আমেজ। টানেল দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা গাড়ি নিয়ে ছুটে আসছেন। প্রথমবার টানেলের ভেতর দিয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। ঘুরতে আসা অনেকেই এখনো কল্পনা করতে পারছেন না, নদীর তলদেশ দিয়ে কীভাবে টানেল নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। কীভাবে টিউবের ভেতর দিয়ে অর্থাৎ পানির নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। তাই কাছ থেকে সুড়ঙ্গপথ দেখার জন্য দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে টানেলের আনোয়ারা ও পতেঙ্গা প্রান্তে চালু হয়েছে লোকাল বাস সার্ভিস। আনোয়ারা প্রান্তের টানেলের সংযোগ সড়ক থেকে পতেঙ্গা প্রান্ত পর্যন্ত জনপ্রতি ৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দূরপাল্লার বাসগুলোও চলাচল করতে শুরু করেছে টানেল হয়ে। সরেজমিনে টানেলের আনোয়ারা ও পতেঙ্গা প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়, টানেল সংযোগ সড়কে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেট কার, হাইস, নোহা, পিকআপ ও বাসে করে পরিবার, পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসছেন টানেল দেখতে। ঘুরে ঘুরে পর্যটকরা টানেলের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দেখছেন এবং টানেলের সংযোগ সড়কে উন্মুক্ত বাতাসে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। কেউ কেউ টানেলে টোল আদায়ের পর সংযোগ সড়কে গাড়ি থামিয়ে তুলছেন ছবি, কেউ করছেন ভিডিও। টানেলের ভেতরে গাড়িতে করে ঘুরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন সবাই। তাজমিরা আকতার নামের এক তরুণী পর্যটক বলেন, আজকের দিনটা আমার আর আমার পরিবারের জন্য অনেক আনন্দের। সত্যি বলতে জীবনের প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে আসতে পেরে অনেক খুশি লাগছে। তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে আনোয়ারা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পাশের সি বিচে চলে আসতে পেরেছি। হাজার হাজার পর্যটককে দেখে আজ মনে হচ্ছে কোনো একটা উৎসবের দিন। সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আসা মুফতী আবদুল কালাম আজাদ বলেন, টানেলের ভিতর দিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত লাগছে । আওয়ামীলীগ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর টানেল দেশবাসীকে উপহার দেওয়ার জন্য।