ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়। বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়। বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়।

(বাকেরগঞ্জ) বরিশাল। প্রতিনিধি

বাকেরগঞ্জে সরকারি ডরমেটরী নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের চিএ ফুটে উঠেছে। উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া নিজেই ঠিকাদার হয়ে কাজ করেছেন।
উপজেলা চত্বরে, সরকারি কর্মচারীদের ডরমিটরি ভবন মেরামতে এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২০২২/২৩ অর্থবছরের বরাদ্দের ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভবন মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখা গেছে।

ডরমিটরি ভবনে বসবাসকারীরা অভিযোগ করে বলেন, মৃধা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়া নিজেই কাজ করেছেন। তাই বিষয়টি দেখে ও সবাই না দেখার ভান করছে। নামে মাত্র মেরামত দেখিয়ে শুধু উপরের টিনের চালা পরিবর্তন করে কাজ শেষ করা হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মজনু মৃধার কাছে ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, লাইসেন্স আমার কিন্তু সম্পূর্ণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া। এই কাজের বিষয়ে তিনিই ভাল বলতে পারবেন।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস সংলগ্ন সরকারি কর্মচারীদের কলনি ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজ শেষ করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজ প্লাস্টার, ভিতরের বাহিরের প্লাস্টিক পেইন্ট,বাহিরে ওয়েদার কোট, দরজা- জানালা ও গ্রীলে এনামেল কোট পয় – প্রণালী ও পানি সরবরাহ লাইন মেরামত, সেনিটারি ফিটিংস ফিকচার পরিবর্তন, উপরের টিনের চালা পরিবর্তন বাবদ প্রক্কালিত মুল্য অনুযায়ী ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অথচ, ডরমিটরি ভবন মেরামত করা হয়েছে শুধু উপরে টিনের চালা পরিবর্তন করে ও ভিতরের ৪ টি রুমের মধ্যে সিলিং এর কাজ করে। আর রং এর কাজ শুধু করা হয়েছে ভবনটির সামনের অংশে ও বারান্দার গ্রিলে। বাকি অন্যান্য কাজ না করেই জরাজীর্ণ ভবন রেখেই কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, ডরমিটরি ভবনে রান্নাবান্নার ঘর জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে শুধু উপরের টিনের চালায় পরিবর্তন করা হয়েছে। দেয়ালগুলো বড় বড় ফাটল। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি টাকায় মেরামত করা হয়েছে নামে মাত্র। দরজা জানলা গুলো ভাঙ্গাচুরা আগের সেই পুরনো রয়ে গেছে। অথচ, ডরমিটরি ভবনের পুরানো টিনের চালা বিক্রি করা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায়।

ডরমিটরি ভবন কাজে অনিয়ম ও পুরনো টিনের চালা বিক্রয়ের বিষয় জানতে চাওয়া হয় এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়ার কাছে তিনি বলেন, পুরাতন টিন বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দের টাকা থেকে ঠিকাদারকে কম দেয়া হয়েছে।

কত টাকা বিল পেয়েছেন জানতে চাওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মজলু মৃধার কাছে, তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। বলেন কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, পুরাতন টিনের চালা বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে মেরামত কাজের সিডিউলের সাথে পুরাতন টিনের চালা ধরা রয়েছে কিনা। তাছাড়াও পুরাতন মালামাল বিক্রয়ের নিয়ম নেই। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়। বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়। বাকেরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ডরমিটরি ভবন মেরামতে নয় ছয়।

আপডেট টাইম ১০:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

(বাকেরগঞ্জ) বরিশাল। প্রতিনিধি

বাকেরগঞ্জে সরকারি ডরমেটরী নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের চিএ ফুটে উঠেছে। উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া নিজেই ঠিকাদার হয়ে কাজ করেছেন।
উপজেলা চত্বরে, সরকারি কর্মচারীদের ডরমিটরি ভবন মেরামতে এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২০২২/২৩ অর্থবছরের বরাদ্দের ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভবন মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখা গেছে।

ডরমিটরি ভবনে বসবাসকারীরা অভিযোগ করে বলেন, মৃধা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়া নিজেই কাজ করেছেন। তাই বিষয়টি দেখে ও সবাই না দেখার ভান করছে। নামে মাত্র মেরামত দেখিয়ে শুধু উপরের টিনের চালা পরিবর্তন করে কাজ শেষ করা হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মজনু মৃধার কাছে ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, লাইসেন্স আমার কিন্তু সম্পূর্ণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া। এই কাজের বিষয়ে তিনিই ভাল বলতে পারবেন।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস সংলগ্ন সরকারি কর্মচারীদের কলনি ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজ শেষ করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ডরমিটরি ভবন মেরামত কাজ প্লাস্টার, ভিতরের বাহিরের প্লাস্টিক পেইন্ট,বাহিরে ওয়েদার কোট, দরজা- জানালা ও গ্রীলে এনামেল কোট পয় – প্রণালী ও পানি সরবরাহ লাইন মেরামত, সেনিটারি ফিটিংস ফিকচার পরিবর্তন, উপরের টিনের চালা পরিবর্তন বাবদ প্রক্কালিত মুল্য অনুযায়ী ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অথচ, ডরমিটরি ভবন মেরামত করা হয়েছে শুধু উপরে টিনের চালা পরিবর্তন করে ও ভিতরের ৪ টি রুমের মধ্যে সিলিং এর কাজ করে। আর রং এর কাজ শুধু করা হয়েছে ভবনটির সামনের অংশে ও বারান্দার গ্রিলে। বাকি অন্যান্য কাজ না করেই জরাজীর্ণ ভবন রেখেই কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, ডরমিটরি ভবনে রান্নাবান্নার ঘর জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে শুধু উপরের টিনের চালায় পরিবর্তন করা হয়েছে। দেয়ালগুলো বড় বড় ফাটল। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি টাকায় মেরামত করা হয়েছে নামে মাত্র। দরজা জানলা গুলো ভাঙ্গাচুরা আগের সেই পুরনো রয়ে গেছে। অথচ, ডরমিটরি ভবনের পুরানো টিনের চালা বিক্রি করা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায়।

ডরমিটরি ভবন কাজে অনিয়ম ও পুরনো টিনের চালা বিক্রয়ের বিষয় জানতে চাওয়া হয় এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়ার কাছে তিনি বলেন, পুরাতন টিন বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দের টাকা থেকে ঠিকাদারকে কম দেয়া হয়েছে।

কত টাকা বিল পেয়েছেন জানতে চাওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মজলু মৃধার কাছে, তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। বলেন কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, পুরাতন টিনের চালা বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে মেরামত কাজের সিডিউলের সাথে পুরাতন টিনের চালা ধরা রয়েছে কিনা। তাছাড়াও পুরাতন মালামাল বিক্রয়ের নিয়ম নেই। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।