রাজু আহমেদ গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশ ও শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানে নেতার্মীদের ঢল নামে গজারিয়া উপজেলায়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এড,সোহানা তাহমিনা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, সভাপতিত্ব করেন জনাব আমিরুল ইসলাম সভাপতি, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান গজারিয়া উপজেলা পরিষদ
হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, মেয়র, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা । হাফিজুর রহমান খান, সাবেক সদস্য যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি । শাহজাহান খান, সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগ। মহসিন চৌধুরী সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। আবু তালেব ভূইয়া, সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক গজারিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ মুন্সীগঞ্জ জেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম,
এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাএলীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরে শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনে মুন্সীগঞ্জে সাংসদের অনুসারী মকবুল কাউন্সিলর সহযোগীদের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতার করেন সবশেষে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শোভাযাত্রা করেন।
গেল ২৯ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। কর্মসূচিটি শেষে গিয়ে রুপ নেয় জনসভায়।
মেয়রের আহবানে সদর ও গজারিয়া উপজেলার ৪০-৫০ হাজার মানুষ এতে যোগ দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের এই কর্মসূচিতে নিজের ‘জনপ্রিয়তার বার্তা’ দিতে চেয়েছেন মেয়র। আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এত বড় লোকসমাগম দেখা যায়নি শহরের কোন কর্মসূচিতে।
সেদিন শহরের কৃষি ব্যাংক চত্বর থেকে সুপারমার্কেট অঙ্কুরিত যুদ্ধ ১৯৭১ ভাস্কর্য পর্যন্ত দুই পাশের সড়ক ছিলো লোকে লোকারণ্য। প্রায় সকলের মুখেই স্লোগান ছিলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের- তারা মেয়র বিপ্লবকে এমপি হিসেবে দেখার প্রত্যাশাও করেন।বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ার মধ্যেও দুপুর ৩টা থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকেও দেখা যায়- থেমেথেমে আসছেই মিছিল। মাঝে গজারিয়া থেকে নদীপথে আসা নেতাকর্মীদের সাথে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী স্থানীয় কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের বড় ভাই মনির হোসেনের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪০ জন। রক্তাক্ত অবস্থায় নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের সামনে এলে মঞ্চে থাকা মেয়র বিপ্লব মেজাজ হারিয়ে এমপি মৃণাল কান্তি দাসের উদ্দেশ্যে অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে এ নিয়ে ব্যাখাও দেন মেয়র। তার দাবি, ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের উত্তেজনা থামাতে ও পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে সেসময় কৌশলী হয়েছিলেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর- গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিপ্লব। মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রথম মেয়রও তিনি।