ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

৬ষ্ঠ পরিষদের ৩১ তম সাধারণ সভায় ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে চট্টগ্রামকে প্রস্তুত করতে হবে: মেয়র

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-২৮ আগস্ট ২০২৩খ্রি.
সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্যিক গুরুত্বকে কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মু্িক্তযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার নগরীর নন্দনকাননের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ৩১তম সাধারণ সভায় মেয়র বলেন, কর্ণফুলী টানেল, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্যিক গুরুত্বকে কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে আমাদের সামনে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের ভাগ্যবদলের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নে সবগুলো সরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে একাধিক কাউন্সিলর ক্ষোভ প্রকাশ করলে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা হলেই নগরবাসী মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায় দেন, কারণ আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ আমাদের চিনে। অথচ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্পের দায়িত্বে নেই।

“জলাবদ্ধতা নিয়ে আমরা একাধিক সমন্বয় সভা করেছি। সভায় সিডিএ’র যখন যে প্রতিনিধি আসেন দ্রুততম সময়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তবে, বাস্তবে সিডিএ’র প্রকল্পের কোন সুফল এসেছে বলে নগরবাসী মনে করেনা। কাউকে দোষারোপ করিনা, শুধু সিডিএকে বলতে চাই নগরবাসী আর কষ্ট পেতে চায়না। আপনারা জনগণের মতামতকে মূল্যায়ণ করে, জনপ্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে দ্রুততম সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সম্পন্ন করুন। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকে সিডিএ থেকে অনুমতি নিয়ে রাস্তার একদম কাছেই বাড়ি নির্মাণ করছে। এজন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে সিডিএ’র পাশাপাশি চসিক থেকে যাতে অনাপত্তিপত্র নেয়া হয়।”

কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, কাউন্সিলররা স্ব-স্ব এলাকায় চলমান প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকৌশল বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে ঠিকাদাররা কাজ ঠিকমতো করছে কীনা তা যাচাই করবেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তা তৃণমূল পর্যায় থেকে সফল করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে।

“শীতকাল আসছে। মশার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। মশা নিয়ন্ত্রণে চসিকের কার্যক্রম ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং করবেন। এছাড়া যেসব ওয়ার্ডে পাহাড় আছে সেসব ওয়ার্ডে পাহাড়ের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পাহাড়ধ্বস থেকে বাঁচাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কোন কর্মীর অবহেলার প্রমাণ পেলে কাউন্সিলররা জানালে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ড্রেনগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা একটি টিম গঠন করা হবে।”

ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমরা ৫০ ফুটের রাস্তা বানালে, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তাকে ২০-৩০ ফুট করে ফেলে। অবৈধ মটর রিকশা এখন জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নীচে দিনরাত গাড়ি পার্কিং করা থাকে। পে-পার্কিং চালু করে অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এসময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, পুলিশের সাথে পরামর্শক্রমে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ চিহ্নিত করে নীতিমালা প্রণয়ন করে দ্রুততম সময়ে পে-পার্কিং চালু করার প্রস্তুতি চলছে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় প্যানেল মেয়র, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

৬ষ্ঠ পরিষদের ৩১ তম সাধারণ সভায় ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে চট্টগ্রামকে প্রস্তুত করতে হবে: মেয়র

আপডেট টাইম ০৫:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-২৮ আগস্ট ২০২৩খ্রি.
সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্যিক গুরুত্বকে কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মু্িক্তযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার নগরীর নন্দনকাননের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ৩১তম সাধারণ সভায় মেয়র বলেন, কর্ণফুলী টানেল, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্যিক গুরুত্বকে কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে আমাদের সামনে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের ভাগ্যবদলের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নে সবগুলো সরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে একাধিক কাউন্সিলর ক্ষোভ প্রকাশ করলে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা হলেই নগরবাসী মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায় দেন, কারণ আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ আমাদের চিনে। অথচ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্পের দায়িত্বে নেই।

“জলাবদ্ধতা নিয়ে আমরা একাধিক সমন্বয় সভা করেছি। সভায় সিডিএ’র যখন যে প্রতিনিধি আসেন দ্রুততম সময়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তবে, বাস্তবে সিডিএ’র প্রকল্পের কোন সুফল এসেছে বলে নগরবাসী মনে করেনা। কাউকে দোষারোপ করিনা, শুধু সিডিএকে বলতে চাই নগরবাসী আর কষ্ট পেতে চায়না। আপনারা জনগণের মতামতকে মূল্যায়ণ করে, জনপ্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে দ্রুততম সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সম্পন্ন করুন। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকে সিডিএ থেকে অনুমতি নিয়ে রাস্তার একদম কাছেই বাড়ি নির্মাণ করছে। এজন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে সিডিএ’র পাশাপাশি চসিক থেকে যাতে অনাপত্তিপত্র নেয়া হয়।”

কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, কাউন্সিলররা স্ব-স্ব এলাকায় চলমান প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকৌশল বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে ঠিকাদাররা কাজ ঠিকমতো করছে কীনা তা যাচাই করবেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তা তৃণমূল পর্যায় থেকে সফল করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে।

“শীতকাল আসছে। মশার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। মশা নিয়ন্ত্রণে চসিকের কার্যক্রম ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং করবেন। এছাড়া যেসব ওয়ার্ডে পাহাড় আছে সেসব ওয়ার্ডে পাহাড়ের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পাহাড়ধ্বস থেকে বাঁচাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কোন কর্মীর অবহেলার প্রমাণ পেলে কাউন্সিলররা জানালে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ড্রেনগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা একটি টিম গঠন করা হবে।”

ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমরা ৫০ ফুটের রাস্তা বানালে, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তাকে ২০-৩০ ফুট করে ফেলে। অবৈধ মটর রিকশা এখন জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নীচে দিনরাত গাড়ি পার্কিং করা থাকে। পে-পার্কিং চালু করে অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এসময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, পুলিশের সাথে পরামর্শক্রমে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ চিহ্নিত করে নীতিমালা প্রণয়ন করে দ্রুততম সময়ে পে-পার্কিং চালু করার প্রস্তুতি চলছে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় প্যানেল মেয়র, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।