ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

বাকেরগঞ্জেে নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা।

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ১১ ইউপি সদস্য।

২০ আগস্ট রোজ রবিবার ওই অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র কাছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু। অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল বলেন,বিষয়টি শুনেছি আমি বরিশালে মিটিংয়ে ছিলাম এখনো অনাস্থার কপি হাতে পাইনি বিধি মোতাবেতদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন (ইউপি) সদস্য মোঃ বাবুল আকন, মোহ বাচ্চু মিয়া, মোঃ নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মোঃ মোস্তফা কামাল হাওলাদার, মোঃ আবুল কালাম তালুকদার, মোঃ আতিকুর রহমান পিন্টু, মোঃ খালেক বেপারী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শামীম আলম ও মহিলা সংরক্ষিত সদস্য মোসাম্মৎ আখি বেগম দুলু ও মোসা. বেবি বেগম।

ইউপি সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান পিন্টু স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান যে, অনিয়ম ও দুর্নীতির ১৫ টি অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য ১২ জনের মধ্যে ১১ জন অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। একজন করেননি।

অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির তথ্য সেবা কেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১/১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান এর আপন শালা পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এবং তার মামা মামুনকে দিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন। নির্বাচনের পর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের কোনো সদস্যদের সামনে খোলেন না। পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান মোঃ নাজমুল আলমকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ট্যাক্সের রশিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিরে কাছে প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান নিজে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাজস্ব আয়ে না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ট্রেড লাইসেন্স এর বই ইচ্ছে মতো ছাপিয়ে আত্মীয় স্বজন দিয়ে বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইন করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০/৩০০ করে নিয়েছেন। গত ১২ জুন বরাদ্দ ১ টন চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।
পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেয়। সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন করেন না, কাবিখা, কাবিটাসহ সরকারি কাজের নামে সদস্যদের প্রজেক্টের সিপিসি করে প্রাপ্ত বিল সিপিসিদের দিয়ে উত্তোলন করে চেয়ারম্যান নিজে কাজ করেন। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগনকে হয়রানি করেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য গন।
চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোন ষড়যন্ত্র করতে এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

বাকেরগঞ্জেে নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা।

আপডেট টাইম ০৮:৪৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ১১ ইউপি সদস্য।

২০ আগস্ট রোজ রবিবার ওই অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র কাছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু। অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল বলেন,বিষয়টি শুনেছি আমি বরিশালে মিটিংয়ে ছিলাম এখনো অনাস্থার কপি হাতে পাইনি বিধি মোতাবেতদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন (ইউপি) সদস্য মোঃ বাবুল আকন, মোহ বাচ্চু মিয়া, মোঃ নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মোঃ মোস্তফা কামাল হাওলাদার, মোঃ আবুল কালাম তালুকদার, মোঃ আতিকুর রহমান পিন্টু, মোঃ খালেক বেপারী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শামীম আলম ও মহিলা সংরক্ষিত সদস্য মোসাম্মৎ আখি বেগম দুলু ও মোসা. বেবি বেগম।

ইউপি সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান পিন্টু স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান যে, অনিয়ম ও দুর্নীতির ১৫ টি অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য ১২ জনের মধ্যে ১১ জন অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। একজন করেননি।

অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির তথ্য সেবা কেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১/১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান এর আপন শালা পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এবং তার মামা মামুনকে দিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন। নির্বাচনের পর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের কোনো সদস্যদের সামনে খোলেন না। পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান মোঃ নাজমুল আলমকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ট্যাক্সের রশিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিরে কাছে প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান নিজে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাজস্ব আয়ে না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ট্রেড লাইসেন্স এর বই ইচ্ছে মতো ছাপিয়ে আত্মীয় স্বজন দিয়ে বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইন করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০/৩০০ করে নিয়েছেন। গত ১২ জুন বরাদ্দ ১ টন চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।
পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেয়। সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন করেন না, কাবিখা, কাবিটাসহ সরকারি কাজের নামে সদস্যদের প্রজেক্টের সিপিসি করে প্রাপ্ত বিল সিপিসিদের দিয়ে উত্তোলন করে চেয়ারম্যান নিজে কাজ করেন। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগনকে হয়রানি করেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য গন।
চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোন ষড়যন্ত্র করতে এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।