ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটের বিশিষ্ট্য কবি ও সাহিত্যিক দেলোয়ার মোহাম্মদ ইতালিতে মারা গেছেন !! অনলইন প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ লেবুখালীর পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ইসলমিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়ন বঞ্চিত-৬ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়তে চান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।। বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

সরিষাবাড়ীতে সরিষা ফুলের সমারোহ ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু চাষিরা

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী:  পাট, সরিষা আর গরুর গাড়ী, এই নিয়ে সরিষাবাড়ী। জামালপুরের অন্যতম ও শিল্প শহর সরিষাবাড়ী উপজেলা। বৃটিশ আমলে এখানে ২২টি পাটকল ছিল বিধায় পাটের জন্য বিখ্যাত এ উপজেলা। পাট, সরিষা ও গরুগাড়ির জন্য এক সময় বেশ নামডাক ছিল সরিষাবাড়ির। নানা কারণে পাটকলগুলোর অস্তিত্ববিলীন হওয়ায় পাট চাষে ভাটা আর কালের আবর্তে গরুগাড়ির প্রচলন কমে গেছে। তবে সরিষা চাষের ঐতিহ্য এখনো রয়েছে। প্রাচীন তথ্যমতে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে সরিষার চাষ ভাল হওয়ায় বৃটিশ আমলে উপজেলাটির নামকরণ হয় সরিষাবাড়ি। এ বছরও উপজেলায় সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চলগুলো সরিষা চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় দিগন্তজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। চারদিকে সরিষা ফুলের গন্ধে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ সরিষা ফুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মধু সংগ্রহ শালা। ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলে আসা মৌ চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ৮টি ইউনিয়ন আর ১ পৌরসভার প্রায় ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর টরি-৭ ও বারী-১৪ জাতের সরিষার চাষ করা হয়েছে। বারী-১৪ জাতের সরিষার চাষ বেশি করার জন্য কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করতে ৪৫০টি মৌমাছির মধু সংগ্রহের বক্স স্থাপন করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মৌচাষিরা।

এ ব্যাপারে মৌ চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ২০০ শতাধিক মৌমাছির বাক্স রয়েছে। আমরা প্রতি সপ্তাহে এ গুলো থেকে মধু সংগ্রহ করি। প্রতি বাক্সে ২ থেকে ৩ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। এ ব্যাপারে মৌ চাষি রকিবুল হাসান পাইলট বলেন, আমরা সরিষা ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে মৌমাছি নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করি। যখন ফুল না পাওয়া যায় তখন আমরা মৌমাছিদের চিনি খাইয়ে রাখি। এ বছর সরিষার চাষ ভালো হওয়ায় মধু সংগ্রহ বেশি হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া না হলে ও সরিষার দাম ভালো থাকলে কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে। এছাড়া সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ, মাঠ পরিদর্শন, ¶তিকর পোকা-মাকড় নিধন ও বাজারজাত সহযোগিতাসহ উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষি অফিসের তত্ত¡াবধানে চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। মাঠে মাঠে এখন নয়নাভিরাম সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই অপরূপ দৃশ্যে দেখে মুগ্ধ স্থানীয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের বিশিষ্ট্য কবি ও সাহিত্যিক দেলোয়ার মোহাম্মদ ইতালিতে মারা গেছেন !! অনলইন প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

সরিষাবাড়ীতে সরিষা ফুলের সমারোহ ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু চাষিরা

আপডেট টাইম ০১:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৯

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী:  পাট, সরিষা আর গরুর গাড়ী, এই নিয়ে সরিষাবাড়ী। জামালপুরের অন্যতম ও শিল্প শহর সরিষাবাড়ী উপজেলা। বৃটিশ আমলে এখানে ২২টি পাটকল ছিল বিধায় পাটের জন্য বিখ্যাত এ উপজেলা। পাট, সরিষা ও গরুগাড়ির জন্য এক সময় বেশ নামডাক ছিল সরিষাবাড়ির। নানা কারণে পাটকলগুলোর অস্তিত্ববিলীন হওয়ায় পাট চাষে ভাটা আর কালের আবর্তে গরুগাড়ির প্রচলন কমে গেছে। তবে সরিষা চাষের ঐতিহ্য এখনো রয়েছে। প্রাচীন তথ্যমতে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে সরিষার চাষ ভাল হওয়ায় বৃটিশ আমলে উপজেলাটির নামকরণ হয় সরিষাবাড়ি। এ বছরও উপজেলায় সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চলগুলো সরিষা চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় দিগন্তজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। চারদিকে সরিষা ফুলের গন্ধে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ সরিষা ফুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মধু সংগ্রহ শালা। ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলে আসা মৌ চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ৮টি ইউনিয়ন আর ১ পৌরসভার প্রায় ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর টরি-৭ ও বারী-১৪ জাতের সরিষার চাষ করা হয়েছে। বারী-১৪ জাতের সরিষার চাষ বেশি করার জন্য কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করতে ৪৫০টি মৌমাছির মধু সংগ্রহের বক্স স্থাপন করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মৌচাষিরা।

এ ব্যাপারে মৌ চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ২০০ শতাধিক মৌমাছির বাক্স রয়েছে। আমরা প্রতি সপ্তাহে এ গুলো থেকে মধু সংগ্রহ করি। প্রতি বাক্সে ২ থেকে ৩ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। এ ব্যাপারে মৌ চাষি রকিবুল হাসান পাইলট বলেন, আমরা সরিষা ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে মৌমাছি নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করি। যখন ফুল না পাওয়া যায় তখন আমরা মৌমাছিদের চিনি খাইয়ে রাখি। এ বছর সরিষার চাষ ভালো হওয়ায় মধু সংগ্রহ বেশি হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া না হলে ও সরিষার দাম ভালো থাকলে কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে। এছাড়া সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ, মাঠ পরিদর্শন, ¶তিকর পোকা-মাকড় নিধন ও বাজারজাত সহযোগিতাসহ উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষি অফিসের তত্ত¡াবধানে চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। মাঠে মাঠে এখন নয়নাভিরাম সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই অপরূপ দৃশ্যে দেখে মুগ্ধ স্থানীয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।