ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বাউফলে কলেজের কক্ষ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক।

জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি কলেজের কক্ষ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ আনিচ তালুকদার (৪৪) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার অবস্থান নেয়া ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র। শুনিবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি কক্ষ থেকে এসব অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত দুইটার দিকে বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরি ও বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হকের নেতৃত্বে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি টিনসেট কক্ষে অভিযান চালানো হয়। এসময় একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন থারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়। সেখান থেকে আটক করা হয়। সন্ত্রাসী আনিচ তালুকদার কেশবপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু কলেজের ওই কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই কক্ষ থেকেই নিয়ন্ত্রন হয় কেশবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সমাজবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ধৃত আনিচ তার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর বক্তব্য নিতে মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আনিস আমার লোক না”।

কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন খলিল বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যখন কলেজটির অধ্যক্ষ ছিলেন সেই সময় থেকেই তিনি ওই কক্ষটি ব্যবহার করতেন। কক্ষটি আর ছাড়েননি। আমি দায়িত্ব নেযার পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদ্য প্রায়াত আল আমিন স্যারকে বলছিলাম আমাকে কক্ষটি বুজিয়ে দেয়ার জন্য। তখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বললেও এখনো কক্ষটি চেয়ারম্যান সাহেব দখল করে আছেন। তাই এই ঘটনার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবে না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিএম আরিচুল হক বলেন, এ ঘটনায় আনিচকে গ্রপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বাউফলে কলেজের কক্ষ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক।

আপডেট টাইম ০৯:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি কলেজের কক্ষ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ আনিচ তালুকদার (৪৪) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার অবস্থান নেয়া ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র। শুনিবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি কক্ষ থেকে এসব অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত দুইটার দিকে বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরি ও বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হকের নেতৃত্বে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি টিনসেট কক্ষে অভিযান চালানো হয়। এসময় একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন থারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়। সেখান থেকে আটক করা হয়। সন্ত্রাসী আনিচ তালুকদার কেশবপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু কলেজের ওই কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই কক্ষ থেকেই নিয়ন্ত্রন হয় কেশবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সমাজবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ধৃত আনিচ তার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর বক্তব্য নিতে মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আনিস আমার লোক না”।

কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন খলিল বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যখন কলেজটির অধ্যক্ষ ছিলেন সেই সময় থেকেই তিনি ওই কক্ষটি ব্যবহার করতেন। কক্ষটি আর ছাড়েননি। আমি দায়িত্ব নেযার পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদ্য প্রায়াত আল আমিন স্যারকে বলছিলাম আমাকে কক্ষটি বুজিয়ে দেয়ার জন্য। তখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বললেও এখনো কক্ষটি চেয়ারম্যান সাহেব দখল করে আছেন। তাই এই ঘটনার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবে না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিএম আরিচুল হক বলেন, এ ঘটনায় আনিচকে গ্রপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।