ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা-
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের দ্বি-পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৭ সদস্যের দলের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিশ্বব্যাংকের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার (Martin Raiser) নেতৃত্ব দেন।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভূটান হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আগত প্রকল্প নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়ণযোগ্য উৎস হতে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২০০০ মেগাওয়ট বিদ্যৎ উৎপন্ন হবে। নবায়ণযোগ্য উৎস হতে আগামী পাঁচ/ছয় বছরের মধ্যে আরো ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে রয়েছে। কয়লা হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে কিন্তু ঐ পরিমান অর্থ নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে আসছে না। তিনি বলেন, নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত। নেপাল-ভূটান থেকে আরো জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যালের প্রসারেও বিদ্যুৎ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ইভি গাইডলাইন/পলিসি তৈরী করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ৪ মিলিয়ন ইজিবাইক (ব্যাটারী চালিত ত্রি-চাকার যান) বিদ্যমান। এখানে লেড ব্যাটারীর পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারী ব্যবহার করা প্রয়োজন। ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাইন বেসরকারি খাতে দেয়ার জন্যও বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটর আবদুলাই শেক (Abdoulaye Seck), অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন (Dandan Chen) ও অপারেশন এ্যাডভাইজার গায়েল মার্টিন (Gayle Martin) উপস্থিত ছিলেন।