ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সুন্দরগঞ্জে গ্রাহকদের ৬ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া!

মো: আ: রহমান শিপন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬ কোটি টাকার বিল বকেয়া পরেছে গ্রাহকদের। খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও ব্যবহৃত ভবনগুলোও বকেয়া তালিকায় রয়েছে। সর্বোচ্চ বিল খেলাপির তালিকায় আছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোডশেডিং এর কারণে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট গ্রাহক ১ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে সেচ গ্রাহক ৩ হাজার ও শিল্প গ্রাহক ৩০টি। বাকী গ্রাহকের ধরন আবাসিক ও বাণিজ্যিক। সরকারি অফিস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রভাবশালী মহল মিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

বাকীর তালিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ লাখ, তারাপুর ইউনিয়নের আশেক আলী ৩ লাখ ৩০ হাজার, মেহেদী রহমান ১ লাখ ১৯ হাজার, বেলকা ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান ১ লাখ ৮ হাজার, আলী বাবা থিম পার্ক ১ লাখ ২২ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ১ লাখ ২০ হাজার, সর্বানন্দ গ্রামের রাসেল মিয়া ১ লাখ, খাদ্য গুদাম ৭৬ হাজার টাকা, আতিয়ার রহমান ৫০ হাজার টাকা, আশরাফুল ইসলাম ৬০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ জানান, বিদ্যুতের বকেয়া বিলের জন্য অধিদপ্তরের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা সরবরাহ না করায় বকেয়া বিদ্যু বিল পরিশোধ করা সম্ভাব হচ্ছে। বহুবার বিল ছাড় করণের জন্য তাগাদা প্রদান করা হচ্ছে। অজ্ঞত কারণে বিদ্যুৎ বিলের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।

ডিজিএম আব্দুল বারী জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং এবং বুথ চালু করেও বিল আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে করে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিপাকে রয়েছে। একজন গ্রাহকের খুব বেশি টাকা বকেয়া না। গ্রাহকদের স্বদিচ্ছার কারণে বিল সমূহ বকেয়া রয়েছে। অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেক কম।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সুন্দরগঞ্জে গ্রাহকদের ৬ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া!

আপডেট টাইম ০৩:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

মো: আ: রহমান শিপন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬ কোটি টাকার বিল বকেয়া পরেছে গ্রাহকদের। খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও ব্যবহৃত ভবনগুলোও বকেয়া তালিকায় রয়েছে। সর্বোচ্চ বিল খেলাপির তালিকায় আছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোডশেডিং এর কারণে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট গ্রাহক ১ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে সেচ গ্রাহক ৩ হাজার ও শিল্প গ্রাহক ৩০টি। বাকী গ্রাহকের ধরন আবাসিক ও বাণিজ্যিক। সরকারি অফিস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রভাবশালী মহল মিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

বাকীর তালিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ লাখ, তারাপুর ইউনিয়নের আশেক আলী ৩ লাখ ৩০ হাজার, মেহেদী রহমান ১ লাখ ১৯ হাজার, বেলকা ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান ১ লাখ ৮ হাজার, আলী বাবা থিম পার্ক ১ লাখ ২২ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ১ লাখ ২০ হাজার, সর্বানন্দ গ্রামের রাসেল মিয়া ১ লাখ, খাদ্য গুদাম ৭৬ হাজার টাকা, আতিয়ার রহমান ৫০ হাজার টাকা, আশরাফুল ইসলাম ৬০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ জানান, বিদ্যুতের বকেয়া বিলের জন্য অধিদপ্তরের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা সরবরাহ না করায় বকেয়া বিদ্যু বিল পরিশোধ করা সম্ভাব হচ্ছে। বহুবার বিল ছাড় করণের জন্য তাগাদা প্রদান করা হচ্ছে। অজ্ঞত কারণে বিদ্যুৎ বিলের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।

ডিজিএম আব্দুল বারী জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং এবং বুথ চালু করেও বিল আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে করে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিপাকে রয়েছে। একজন গ্রাহকের খুব বেশি টাকা বকেয়া না। গ্রাহকদের স্বদিচ্ছার কারণে বিল সমূহ বকেয়া রয়েছে। অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেক কম।