আমিনুল ইসলাম আল আমিন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)। গত ৬ জুন রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার নিজ বাসা থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে পরিবারসহ চারিদিকে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ শোকাহত হয়ে পড়েন।
৭ জুন বুধবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উপজেলার নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)।
আব্দুল কুদ্দুস দক্ষিণ নাউরী গ্রামের আলহাজ্ব ওছমান গণি মাস্টারের ছেলে। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আব্দুল কুদ্দুস একজন নম্র ভদ্র মানসিকতার লোক ছিলেন।
মরহুমের জানাযার নামাজে অংশগ্রহন করেন এবং জানাযার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মোঃ আলাউদ্দিন, মরহুমের পিতা আলহাজ্ব ওছমান গণি মাস্টার, মরহুমের বড় ভাই ডাঃ হারুনুর রশিদ। এছাড়াও শতশত নেতাকর্মী ও স্থানীয় মুসল্লিগণ জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, আমরা নিঃসন্দেহে একজন দলীয় নিবেদিত কর্মী হারালাম। কুদ্দুস ছিল একজন ভালো মানুষ। এমন মৃত্যু কখনো কামনা করি নাই। সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ। তিনিই জানেন কাকে কখন নিয়ে যাবেন। আমি মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।