ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

গুইমারায় সড়ক এবং খাল দখল করে অবৈধ দোকান নির্মান, “পরিবেশ বিপর্যয় এবং দুর্ঘটনার আশংকা”

আবুল হোসের রিপন, গুইমারা, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ায় খালের উপর এবং সিএন্ডবির রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে দোকানপাঠ। যার কারনে একদিকে রয়েছে বড় দূর্ঘটনার আশংকা এবং খালের উপর অবৈধভাবে ভবন এবং স্থাপনা নির্মান করায় রয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জালিয়াপাড়া পুলিশপাড়ির সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাঠ সম্পূর্ণভাবেই উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে আবারো স্থানীয় এক কথিত পাতিনেতা এসব অবৈধ দখলদারদের লিড দিচ্ছেন। উনি জোর করে নিজের যায়গা দাবি করে দখলদারদের কাছ থেকে টাকা পঁয়সা নিয়ে এসব অবৈধ দোকান বা স্থাপনা নির্মান করছেন।

স্থানিয়দের দাবি, সিএন্ডবি রাস্তা দখল হওয়ায় যানচলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হতে পারে এবং খালের উপর বহুতল ভবনের নির্মান কাজ করায় খালের পানি চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে বর্ষাকালে বন্যা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই স্থানীয়দের দাবি এসব অবৈধ দখলদারিদেরকে সরকারের মাধ্যমে উচ্ছেদের আহব্বান জানান। তবে একটি সূত্রে জানা যায়, এসকল অবৈধ কাজের সাথে স্থানীয় সড়ক ও জনপদের কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন।

এছাড়া ও দেখা যায়, গুইমারা উপজেলার ডাক্তারটিলা এলাকায়ও মহাসড়কের পূর্ব পাশে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পাকা দালান তৈরি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। সে ঘরটি নির্মাণের কারনে বর্তমানে ফুটপাত দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং যানবাহন চলাচলের সময় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে সড়ক উন্নয়নের কাজ করার সময় এসব স্থাপনার জন্য বাধাঁ হয়ে দাড়াবে। তাই এসব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।

খাগড়াছড়ি-ফেনী, চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক সহ জেলার সব উপজেলার মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধ দখল করে রয়েছে শত শত অবৈধ দখলদার । অবৈধ ভাবে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করার ফলে সড়কের দূর্ঘটনা সহ প্রান হানির ঘটনা ব্যপক হাড়ে বেড়েই চলেছে। এসকল স্থাপনা উচ্ছেদ করলে দূর্ঘটনা কমবে।

এ বিষয়ে গুইমারা স্থানীয় অফিসের সওজ বিভাগের কর্মকর্তা কাউসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ করতে সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্মকার্তা-কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এই বিষয়ে গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমার সাথে কথা বললে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন।

সচেতন মহল বলেন, গুইমারা উপজেলা স্থায়ী নির্বাহী অফিসার না থাকায় অপরাধিরা একের পর এক অপরাধ এবং দখলদাররা একের পর এক দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে যার যার মতে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারের উন্নয়ন ব্যঘাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে যিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন তিনি বেশ কয়েক জায়গায় দায়িত্বে থাকার কারনে প্রায় সময় তার অনুপস্থিতির সুযোগে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

গুইমারায় সড়ক এবং খাল দখল করে অবৈধ দোকান নির্মান, “পরিবেশ বিপর্যয় এবং দুর্ঘটনার আশংকা”

আপডেট টাইম ০৯:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

আবুল হোসের রিপন, গুইমারা, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ায় খালের উপর এবং সিএন্ডবির রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে দোকানপাঠ। যার কারনে একদিকে রয়েছে বড় দূর্ঘটনার আশংকা এবং খালের উপর অবৈধভাবে ভবন এবং স্থাপনা নির্মান করায় রয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জালিয়াপাড়া পুলিশপাড়ির সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাঠ সম্পূর্ণভাবেই উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে আবারো স্থানীয় এক কথিত পাতিনেতা এসব অবৈধ দখলদারদের লিড দিচ্ছেন। উনি জোর করে নিজের যায়গা দাবি করে দখলদারদের কাছ থেকে টাকা পঁয়সা নিয়ে এসব অবৈধ দোকান বা স্থাপনা নির্মান করছেন।

স্থানিয়দের দাবি, সিএন্ডবি রাস্তা দখল হওয়ায় যানচলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হতে পারে এবং খালের উপর বহুতল ভবনের নির্মান কাজ করায় খালের পানি চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে বর্ষাকালে বন্যা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই স্থানীয়দের দাবি এসব অবৈধ দখলদারিদেরকে সরকারের মাধ্যমে উচ্ছেদের আহব্বান জানান। তবে একটি সূত্রে জানা যায়, এসকল অবৈধ কাজের সাথে স্থানীয় সড়ক ও জনপদের কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন।

এছাড়া ও দেখা যায়, গুইমারা উপজেলার ডাক্তারটিলা এলাকায়ও মহাসড়কের পূর্ব পাশে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পাকা দালান তৈরি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। সে ঘরটি নির্মাণের কারনে বর্তমানে ফুটপাত দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং যানবাহন চলাচলের সময় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে সড়ক উন্নয়নের কাজ করার সময় এসব স্থাপনার জন্য বাধাঁ হয়ে দাড়াবে। তাই এসব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।

খাগড়াছড়ি-ফেনী, চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক সহ জেলার সব উপজেলার মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধ দখল করে রয়েছে শত শত অবৈধ দখলদার । অবৈধ ভাবে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করার ফলে সড়কের দূর্ঘটনা সহ প্রান হানির ঘটনা ব্যপক হাড়ে বেড়েই চলেছে। এসকল স্থাপনা উচ্ছেদ করলে দূর্ঘটনা কমবে।

এ বিষয়ে গুইমারা স্থানীয় অফিসের সওজ বিভাগের কর্মকর্তা কাউসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ করতে সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্মকার্তা-কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এই বিষয়ে গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমার সাথে কথা বললে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন।

সচেতন মহল বলেন, গুইমারা উপজেলা স্থায়ী নির্বাহী অফিসার না থাকায় অপরাধিরা একের পর এক অপরাধ এবং দখলদাররা একের পর এক দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে যার যার মতে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারের উন্নয়ন ব্যঘাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে যিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন তিনি বেশ কয়েক জায়গায় দায়িত্বে থাকার কারনে প্রায় সময় তার অনুপস্থিতির সুযোগে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে।