মিঠাপুকুর,রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের ইমানপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান ও লিমন মন্ডলকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালে সতেরো লাখ টাকা নেন অভিযুক্ত বাবলু ।
ভুক্তভোগীর পক্ষে খোকন মিয়া বলেন,স্থানীয় বাবলু সৈনিক পদে চাকুরী দেওয়ার জন্য দুইজন ছেলে চাইলে আমি আমার দুই ভাতিজাকে দেখাই। বিশ্বাস করে তাদের হাতে ১৭ লাখ টাকা তুলে দিয়ে আমরা প্রতারিত হয়েছি। এ ব্যাপারে আমি ৩০/১০/২০১৮ ইং তারিখে ঢাকা আশুলিয়া থানায় সাধারন ডায়েরী করেছি জিডি নং ২২৫৪।
আর একজন ভূক্তভোগী আনন্দ বাজার এলাকার মজিদ বলেন, আমার পাশ্ববর্তী এলকার বাবলু ও তার সেনাবাহিনী অফিসার জামাইয়ের ছোট ভাই এসে আমার এলাকার ৬ জন চাকুরী প্রত্যাশীর কাছে দফায় দফায় ১০ লাখ টাকা নিয়েছে।আজ অবধি দুই জনের সনদপত্র ফেরত দেয়নি।চাকুরী তো হয় নি বরং সকলকে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারিত করেছে। সে সময় মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েও কোন সহায়তা পাই নি।
জিডি ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,মির্জাপুর শিব দেউলপাড়া এলাকার বাবলু মিয়া চাকুরির প্রলভোন দেখিয়ে পীরগাছা শুল্লিপাড়া খাদিজা কলেজ এলাকার ইউসূফ মিয়ার মাধ্যমে
বেঙ্গল প্রটেকটিভ গার্ডস লিঃ এর মালিক হাসান জাকিরের বাড়িতে কৌশলে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।দুই জন সৈনিক পদে ফিট হবে জানিয়ে ২০ লাখ টাকা দিলে দুই জনের চাকুরী হবে বলে জানান তারা।
২০১৮/০৪/২৭ইং তারিখে ভূয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে বিকাশ এবং নগদ ১৭ লাখ টাকা নেন অভিযুক্ত বাবলু । স্থানীয় এক সেনাবাহীনির অফিসার কে নিয়োগ পত্র দুইটি দেখালে তিনি বলেন এটি সম্পূর্ণ ভূয়া। তোমরা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরেছো।
অন্যদিকে বাবলুর অভিযোগের তীর ধূর্ত ইউসূফের দিকে।প্রতারক ইউসূফের একসময়ের ঘনিষ্ট সঙ্গী স্থানীয় মিন্টু বলেন, আমাকে সাথে নিয়ে অন্তত ৬০ থেকে৭০ জনের চাকুরী নিয়ে দিয়েছে এবং অনেকের সাথে প্রতারণাও করেছে। প্রতি কাজে আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে দেয়নি। আমার কাছে তখনকার কয়েকটি ফাঁকা চেক ও ফাঁকা স্টাম্প আছে। তার বাড়িতে একটা লাল বালতিতে ভরা শতাধিক চাকুরী প্রত্যাশীর একাডেমিক সনদপত্র,চেক, স্টাম্প,নমুনা প্রশ্ন পত্র গচ্ছিত রয়েছে।
অভিযুক্ত বাবলু নিজে প্রতারিত হয়েছে বলে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে সব টাকা ইউসূফ নিয়েছে বলে জানায়।ইউসূফের সাথে যোগাযোগ করলে কোন প্রকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।