ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

রামপালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ’র প্রতিবাদ সমাবেশ

বিশেষ প্রতিনিধি খান বিলাল হোসেনকে সাথে নিয়ে শেখ মিরানুজ্জামান (বাগেরহাট) জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন তার কুকৃতি ঢাকার জন্য হাজী এনায়েত উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় এক বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়োগ দিয়েছেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

রামপালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ’র প্রতিবাদ সমাবেশ

আপডেট টাইম ০৯:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি খান বিলাল হোসেনকে সাথে নিয়ে শেখ মিরানুজ্জামান (বাগেরহাট) জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন তার কুকৃতি ঢাকার জন্য হাজী এনায়েত উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় এক বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়োগ দিয়েছেন।