ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

মুরাদনগরে বোনকে মারধর প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যা *

আহসান হাবীব শামীম কুমিল্লা জেলা ব্যুরো প্রধান

কুমিল্লার মুরাদনগরে গাছ থেকে আম পারাকে কেন্দ্র করে বোন কে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ।
রবিবার দুপুরে উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়া (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।
ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।
নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়ার বোন অরুনা বেগম জানান, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে ৯ বছর বয়সী মাশরাফির সাথে গাছ থেকে আমপারা কে কেন্দ্র করে মোচাগড়া গ্রামের বশির আহম্মেদের ছেলে জুনায়েদ এর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুনায়েদ অরুনা বেগমের চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে অরুনা বেগম কে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার প্রতিবন্ধী ভাই সেলিম মিয়া চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যায়।
চিকিৎসা শেষে ঐদিন দুপুর ১টার দিকে সেলিম মিয়া বাড়িতে ফিরে বোনের মারধরের প্রতিবাদ করায় মোচাগড়া গ্রামের বশিরের ছেলে জুনায়েদ (১৫), জসিমের ছেলে আরিফ (৩০), ইয়ার হোসেনের ছেলে ছোটন (১৬), সিরাজ মাওলার ছেলে তাজু (৪০), সাবেক মিস্টার চেয়ারম্যান এর ছেলে রিফাত (২৮), প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে নুর নবী (১৪) সহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখন করে। মারধরের একপর্যায়ে সেলিম মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাং- ২৩-০৪-২০২৩ ইং

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল

মুরাদনগরে বোনকে মারধর প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যা *

আপডেট টাইম ১০:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

আহসান হাবীব শামীম কুমিল্লা জেলা ব্যুরো প্রধান

কুমিল্লার মুরাদনগরে গাছ থেকে আম পারাকে কেন্দ্র করে বোন কে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ।
রবিবার দুপুরে উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়া (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।
ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।
নিহত প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়ার বোন অরুনা বেগম জানান, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে ৯ বছর বয়সী মাশরাফির সাথে গাছ থেকে আমপারা কে কেন্দ্র করে মোচাগড়া গ্রামের বশির আহম্মেদের ছেলে জুনায়েদ এর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুনায়েদ অরুনা বেগমের চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে অরুনা বেগম কে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার প্রতিবন্ধী ভাই সেলিম মিয়া চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যায়।
চিকিৎসা শেষে ঐদিন দুপুর ১টার দিকে সেলিম মিয়া বাড়িতে ফিরে বোনের মারধরের প্রতিবাদ করায় মোচাগড়া গ্রামের বশিরের ছেলে জুনায়েদ (১৫), জসিমের ছেলে আরিফ (৩০), ইয়ার হোসেনের ছেলে ছোটন (১৬), সিরাজ মাওলার ছেলে তাজু (৪০), সাবেক মিস্টার চেয়ারম্যান এর ছেলে রিফাত (২৮), প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে নুর নবী (১৪) সহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখন করে। মারধরের একপর্যায়ে সেলিম মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাং- ২৩-০৪-২০২৩ ইং