ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

মাদক ব্যবসায়ীকে দাপ্তরিক দায়িত্ব দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি

হাসান সরদার জুয়েল, বরিশাল:

-মাদক ব্যবসায়ীকে আহবায়ক কমিটিতে স্থান দেয়ার পর সংগঠনের দাপ্তরিক দায়িত্ব দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। কোন কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে। নেতৃত্বের দূরদর্শিতা আর ব্যর্থতার কারণেই একের পর এক বিতরকের জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দেখা গেছে আবুল হোসেন খান ও আবুল কালাম শাহীনের নেতৃত্বে গঠিত বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সদস্য পদে ঠাই পায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী দলে বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুম। এই মুশফিকুল হাসান মাসুম ২০১৮সালের ৭ নভেম্বর বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল সহ এক সহযোগীকে নিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। মাসুম পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় আটকের পূর্বেই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে ছিল। এই সু চতুর মাসুম মাদক মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে তার মাদক মামলা ভিন্ন খাতে নিতে নানা কৌশল আটে। মাদকের ঘটনা রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক নেত্রীর সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা গড়ে তোলে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রীয় নেত্রীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে লবিস্ট হিসেবে কাজ করছে মামুন। সে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাণিজ্য করে অযোগ্য-অসাংগঠনিক লোকদেরকে দলে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে । ওই নেত্রীর মাধ্যমেই দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার সাথে গড়ে ওঠে মধুর সম্পর্ক। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ী মাসুমকে শুধু দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য করেই ক্ষ্যান্ত হননি। দলের ভিতরে অনেক ত্যাগী সদস্য থাকতেও এই বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুমকে গত ২৭মার্চ বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির দাপ্তরিক দায়িত্ব প্রদানকরা হয়। যা নিয়ে দলের ভিতর ইতিমধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আবারো জড়িয়ে পরেছে বিতর্কে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

মাদক ব্যবসায়ীকে দাপ্তরিক দায়িত্ব দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি

আপডেট টাইম ০৫:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

হাসান সরদার জুয়েল, বরিশাল:

-মাদক ব্যবসায়ীকে আহবায়ক কমিটিতে স্থান দেয়ার পর সংগঠনের দাপ্তরিক দায়িত্ব দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। কোন কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে। নেতৃত্বের দূরদর্শিতা আর ব্যর্থতার কারণেই একের পর এক বিতরকের জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দেখা গেছে আবুল হোসেন খান ও আবুল কালাম শাহীনের নেতৃত্বে গঠিত বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সদস্য পদে ঠাই পায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী দলে বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুম। এই মুশফিকুল হাসান মাসুম ২০১৮সালের ৭ নভেম্বর বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল সহ এক সহযোগীকে নিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। মাসুম পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় আটকের পূর্বেই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে ছিল। এই সু চতুর মাসুম মাদক মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে তার মাদক মামলা ভিন্ন খাতে নিতে নানা কৌশল আটে। মাদকের ঘটনা রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক নেত্রীর সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা গড়ে তোলে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রীয় নেত্রীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে লবিস্ট হিসেবে কাজ করছে মামুন। সে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাণিজ্য করে অযোগ্য-অসাংগঠনিক লোকদেরকে দলে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে । ওই নেত্রীর মাধ্যমেই দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার সাথে গড়ে ওঠে মধুর সম্পর্ক। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ী মাসুমকে শুধু দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য করেই ক্ষ্যান্ত হননি। দলের ভিতরে অনেক ত্যাগী সদস্য থাকতেও এই বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুমকে গত ২৭মার্চ বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির দাপ্তরিক দায়িত্ব প্রদানকরা হয়। যা নিয়ে দলের ভিতর ইতিমধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আবারো জড়িয়ে পরেছে বিতর্কে।