ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

এশিয়া মহাদেশের ভিতরে সৌন্দর্যের নীলাভূমির আরেক নাম মালয়েশিয়া

মোঃ সারজিদ আহম্মেদ অপু :
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

এশিয়ার একটি সাজানো গোছানো দেশ মালয়েশিয়া। প্রতিবছর অসংখ্য ভ্রমণপিয়াসী মানুষ প্রাকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ দেশে ঘুরতে যায়। যে কোনে পর্যটকের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে মালয়েশিয়ার নাম। এটি মূলত একটি মুসলিম প্রধান দেশ। পুরো দেশজুড়ে রয়েছে সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতি, পাহাড়ী রাস্তা আর বন-জঙ্গল। তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ- মালয়েশিয়া। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর, দেশটির স্থল সীমান্তে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনাই। সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে। দেশটির প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই চোখে পড়ে পাহাড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই মূলত বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সেখানে বেড়াতে যেতে আকৃষ্ট করে। দুই পাহাড়ের মাঝে আঁকাবাঁকা পিচঢালা পথ, ছবিতে দেখা এমন দৃশ্যের মতোই মালয়েশিয়া। দেশটির সব আধুনিকায়নের বেশির ভাগই পাহাড় কেটে করা হয়েছে। বিশেষ করে সড়কপথ ও রেলপথ। এখানে এক একটি এলাকার সঙ্গে আরেকটি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভূ-তাত্ত্বিক মিল একবারেই কম। তাই কোন জায়গার চেয়ে কোনটা কম সুন্দর নয়। যে যার যার মতো ইউনিক! মালয়েশিয়ার সরকার তাই ট্যুরিজমকে সারা বিশ্বের ট্যুরিস্টদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিনিয়ত নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে এই ট্যুরিজমের ওপর নির্ভর করেই। আর তাই সারা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসাবে মালয়েশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে।

দর্শনীয় স্থান:
পেট্রোনাস টাওয়ার:১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার। দুই টাওয়ারের মাঝে আছে একটি ব্রিজ, মাঝের এই ব্রিজকে বলা হয় স্কাই ব্রিজ। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার মালেশিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় স্থান। রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য দিনের টুইন টাওয়ারের চেয়ে পুরো ব্যতিক্রম।

লংকাবি:
কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। কেবল কার, অপরূপা ঝর্ণার কলকল সুরধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আরও অনেক কিছুই আছে এখানে !

দামুন ভ্যালি, সাবাহ:
দামুন ভ্যালি ইকো-ট্যুরিজম ও বনভূমির জন্য মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের সেরা জায়গা। এটি ১৩০ মিলিয়ন বছরের পুরনো নিম্নভূমিতে অবস্থিত। এ বনভূমিতে অবিশ্বাস্য রকমের জীব-বৈচিত্র রয়েছে। ৪৩৮ বর্গকিলোমিটারের এ বনাঞ্চলে ১০০ প্রজাতিরও বেশি বন্যপ্রাণী ও তারও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এটিকে বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের আভাসভূমিও বলা হয়।

পেনাং:
পেনাংকে দেশটির ভোজন রাজধানী বলা হয়। সেখানে বৈচিত্র্যময় খাদ্যের সম্ভার। আবার চীনা নববর্ষসহ বেশ কিছু জমকালো, রঙিন উৎসবও হয় সেখানে। পেনাং মালয়েশিয়ার আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এটি কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত পেনাং-এর মূল আকর্ষণ ট্রেন।

গেনটিং হাইল্যান্ড :
মেঘের রাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডস ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮৬৫ মিটার উঁচুতে। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে গেনটিং অবস্থিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে গেনটিং হাইল্যান্ডসের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।

মালাক্কা সিটি :
মালাক্কা প্রদেশের রাজধানী মালাক্কা সিটি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে খুবই সমৃদ্ধ। এটি ২০০৮ সালে ইউনেস্কার বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। একটা সময় এই উপনিবেশিক শহরের স্থাপত্য শৈলী, খাবার ও রাতের ফুটপাতের বাজারের জন্য ভ্রমণ-পিপাসুদের আকর্ষণ করে।
এমন হাজারো সৌন্দর্য আছে এই দেশ মালয়েশিয়াতে যেদিকে দুচোখ চাই সবুজ আর সবুজ পুরো চোখ জুড়িয়ে যায় এই জন্য বিশ্বের ভিতরে কোন দেশের ঘুরতে যাওয়ার নাম উঠলে সবার আগে নাম আসে মালয়েশিয়ার

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

এশিয়া মহাদেশের ভিতরে সৌন্দর্যের নীলাভূমির আরেক নাম মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

মোঃ সারজিদ আহম্মেদ অপু :
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

এশিয়ার একটি সাজানো গোছানো দেশ মালয়েশিয়া। প্রতিবছর অসংখ্য ভ্রমণপিয়াসী মানুষ প্রাকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ দেশে ঘুরতে যায়। যে কোনে পর্যটকের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে মালয়েশিয়ার নাম। এটি মূলত একটি মুসলিম প্রধান দেশ। পুরো দেশজুড়ে রয়েছে সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতি, পাহাড়ী রাস্তা আর বন-জঙ্গল। তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ- মালয়েশিয়া। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর, দেশটির স্থল সীমান্তে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনাই। সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে। দেশটির প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই চোখে পড়ে পাহাড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই মূলত বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সেখানে বেড়াতে যেতে আকৃষ্ট করে। দুই পাহাড়ের মাঝে আঁকাবাঁকা পিচঢালা পথ, ছবিতে দেখা এমন দৃশ্যের মতোই মালয়েশিয়া। দেশটির সব আধুনিকায়নের বেশির ভাগই পাহাড় কেটে করা হয়েছে। বিশেষ করে সড়কপথ ও রেলপথ। এখানে এক একটি এলাকার সঙ্গে আরেকটি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভূ-তাত্ত্বিক মিল একবারেই কম। তাই কোন জায়গার চেয়ে কোনটা কম সুন্দর নয়। যে যার যার মতো ইউনিক! মালয়েশিয়ার সরকার তাই ট্যুরিজমকে সারা বিশ্বের ট্যুরিস্টদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিনিয়ত নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে এই ট্যুরিজমের ওপর নির্ভর করেই। আর তাই সারা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসাবে মালয়েশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে।

দর্শনীয় স্থান:
পেট্রোনাস টাওয়ার:১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার। দুই টাওয়ারের মাঝে আছে একটি ব্রিজ, মাঝের এই ব্রিজকে বলা হয় স্কাই ব্রিজ। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার মালেশিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় স্থান। রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য দিনের টুইন টাওয়ারের চেয়ে পুরো ব্যতিক্রম।

লংকাবি:
কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। কেবল কার, অপরূপা ঝর্ণার কলকল সুরধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আরও অনেক কিছুই আছে এখানে !

দামুন ভ্যালি, সাবাহ:
দামুন ভ্যালি ইকো-ট্যুরিজম ও বনভূমির জন্য মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের সেরা জায়গা। এটি ১৩০ মিলিয়ন বছরের পুরনো নিম্নভূমিতে অবস্থিত। এ বনভূমিতে অবিশ্বাস্য রকমের জীব-বৈচিত্র রয়েছে। ৪৩৮ বর্গকিলোমিটারের এ বনাঞ্চলে ১০০ প্রজাতিরও বেশি বন্যপ্রাণী ও তারও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এটিকে বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের আভাসভূমিও বলা হয়।

পেনাং:
পেনাংকে দেশটির ভোজন রাজধানী বলা হয়। সেখানে বৈচিত্র্যময় খাদ্যের সম্ভার। আবার চীনা নববর্ষসহ বেশ কিছু জমকালো, রঙিন উৎসবও হয় সেখানে। পেনাং মালয়েশিয়ার আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এটি কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত পেনাং-এর মূল আকর্ষণ ট্রেন।

গেনটিং হাইল্যান্ড :
মেঘের রাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডস ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮৬৫ মিটার উঁচুতে। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে গেনটিং অবস্থিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে গেনটিং হাইল্যান্ডসের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।

মালাক্কা সিটি :
মালাক্কা প্রদেশের রাজধানী মালাক্কা সিটি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে খুবই সমৃদ্ধ। এটি ২০০৮ সালে ইউনেস্কার বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। একটা সময় এই উপনিবেশিক শহরের স্থাপত্য শৈলী, খাবার ও রাতের ফুটপাতের বাজারের জন্য ভ্রমণ-পিপাসুদের আকর্ষণ করে।
এমন হাজারো সৌন্দর্য আছে এই দেশ মালয়েশিয়াতে যেদিকে দুচোখ চাই সবুজ আর সবুজ পুরো চোখ জুড়িয়ে যায় এই জন্য বিশ্বের ভিতরে কোন দেশের ঘুরতে যাওয়ার নাম উঠলে সবার আগে নাম আসে মালয়েশিয়ার