ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার

শতাধিক নারীর আইডল লেডি বাইকার পাপড়ী।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ শতাধিক নারীর আইডল লেডি বাইকার পাপড়ী নারীদের স্কুটি চালানো শেখান ওহিদা পাপড়ী। পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওহিদা পাপড়ী। নিজের কর্মস্থলে সহজে যাতায়াত করতে এক বছর আগে স্কুটি চালানো শুরু করেন। এরপর জীবনটা তার কাছে অনেকটা সহজ হয়ে ওঠে। দুই সন্তান, স্বামী ও সংসার সামলে যথা সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারছেন।
নিজের মতো অন্য নারীদেরও বাইক চালানোর সুযোগ তৈরিতে শুরু করেন প্রশিক্ষণ। একে একে শতাধিক নারী স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাই এখন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের স্কুটি চালানোর দৃশ্য স্বাভাবিক বিষয়।
এবার বিশ্ব নারী দিবসে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিজেদের অবস্থার জানান দেন নারী বাইক চালকরা। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের ঝাউতলা ফোর লেনে নারী দিবস উপলক্ষে তারা কেক কেটে ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে দিবসটি উদযাপন করেন। লেডি বাইকার পটুয়াখালী নামক নারী স্কুটি চালকদের সংগঠনের সদস্যরা জানান, নারী এখন ঘরে এবং বাইরে সমানতালে এগিয়ে যাবে। আর এ জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ মোটরসাইকেল।
লেডি বাইকার পটুয়াখালীর উদ্যোক্তা ওহিদা পাপড়ী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের নারীরা শুধু তার সংসার কিংবা কর্মস্থল সামলাবে না। তারা এসব কাজগুলো অনেক স্মার্টভাবে করবে। যাতে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই নারী যানবাহন কিংবা প্রতিবন্ধকতার অজুহাতে আটকে থাকবে না। স্কুটি চালিয়ে আমি যে সুবিধা পাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে।
নারী স্কুটি চালক তাসমিয়া আরা মারিয়া বলেন, আমি যদি বলি একটি স্কুটি আমার স্বাভাবিক জীবনে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। আজ নারী দিবসের যেসব অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি তাতে পৌঁছাতে আমার পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লেগেছে। আর এতে ১০ টাকার তেল পুড়েছে। কিন্তু আমার যখন স্কুটি ছিল না তখন এসব অনুষ্ঠানে যেতে বাসা থেকে অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বের হয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এতে ১০০ টাকা রিকশা ভাড়া খরচ হতো।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী বাইকার রোকসানা খাতুন বলেন, একজন নারী নির্বিঘ্নে চলাচলে একটি বাইকের কোনো বিকল্প নেই। একটি বাইক কিংবা স্কুটি নারীর অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারে। আর এতদিন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের মোটরসাইকেল চালানো কিংবা প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগ ছিল না। এখন পাপড়ী আপা প্রশিক্ষণ দেওয়ায় অনেকেই স্কুটি চালাচ্ছি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা”

শতাধিক নারীর আইডল লেডি বাইকার পাপড়ী।

আপডেট টাইম ১২:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ শতাধিক নারীর আইডল লেডি বাইকার পাপড়ী নারীদের স্কুটি চালানো শেখান ওহিদা পাপড়ী। পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওহিদা পাপড়ী। নিজের কর্মস্থলে সহজে যাতায়াত করতে এক বছর আগে স্কুটি চালানো শুরু করেন। এরপর জীবনটা তার কাছে অনেকটা সহজ হয়ে ওঠে। দুই সন্তান, স্বামী ও সংসার সামলে যথা সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারছেন।
নিজের মতো অন্য নারীদেরও বাইক চালানোর সুযোগ তৈরিতে শুরু করেন প্রশিক্ষণ। একে একে শতাধিক নারী স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাই এখন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের স্কুটি চালানোর দৃশ্য স্বাভাবিক বিষয়।
এবার বিশ্ব নারী দিবসে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিজেদের অবস্থার জানান দেন নারী বাইক চালকরা। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের ঝাউতলা ফোর লেনে নারী দিবস উপলক্ষে তারা কেক কেটে ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে দিবসটি উদযাপন করেন। লেডি বাইকার পটুয়াখালী নামক নারী স্কুটি চালকদের সংগঠনের সদস্যরা জানান, নারী এখন ঘরে এবং বাইরে সমানতালে এগিয়ে যাবে। আর এ জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ মোটরসাইকেল।
লেডি বাইকার পটুয়াখালীর উদ্যোক্তা ওহিদা পাপড়ী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের নারীরা শুধু তার সংসার কিংবা কর্মস্থল সামলাবে না। তারা এসব কাজগুলো অনেক স্মার্টভাবে করবে। যাতে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই নারী যানবাহন কিংবা প্রতিবন্ধকতার অজুহাতে আটকে থাকবে না। স্কুটি চালিয়ে আমি যে সুবিধা পাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে।
নারী স্কুটি চালক তাসমিয়া আরা মারিয়া বলেন, আমি যদি বলি একটি স্কুটি আমার স্বাভাবিক জীবনে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। আজ নারী দিবসের যেসব অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি তাতে পৌঁছাতে আমার পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লেগেছে। আর এতে ১০ টাকার তেল পুড়েছে। কিন্তু আমার যখন স্কুটি ছিল না তখন এসব অনুষ্ঠানে যেতে বাসা থেকে অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বের হয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এতে ১০০ টাকা রিকশা ভাড়া খরচ হতো।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী বাইকার রোকসানা খাতুন বলেন, একজন নারী নির্বিঘ্নে চলাচলে একটি বাইকের কোনো বিকল্প নেই। একটি বাইক কিংবা স্কুটি নারীর অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারে। আর এতদিন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের মোটরসাইকেল চালানো কিংবা প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগ ছিল না। এখন পাপড়ী আপা প্রশিক্ষণ দেওয়ায় অনেকেই স্কুটি চালাচ্ছি।