ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে মা, ঘরের আড়ায় ঝুলছিল বড় মেয়ে।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে মা, ঘরের আড়ায় ঝুলছিল বড় মেয়ে । পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে তানিয়া আক্তার (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টায় পৌর শহরের খাজুরা এলাকার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানিয়া ওই এলাকার ভ্যানচালক কবির হাওলাদারের মেয়ে। সে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল থেকে ফিরে প্রাইভেট পড়া নিয়ে বড় মেয়ে তানিয়াকে কিছুটা বকাঝকা করেন এবং গালে একটি চর মেরে শাসন করেন। পরে ছোট মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য আবার তিনি স্কুলে যান।
এসময় তানিয়া তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা বাড়িতে ফিরে ঘরের আড়ার সঙ্গে তানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ওই কিশোরীকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুমশাদ সায়েম পুনম বলেন, তানিয়া নামে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। তারপরেও আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। তার গলায় একটি দাগও রয়েছে। পরিবারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে ওই কিশোরী।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে মা, ঘরের আড়ায় ঝুলছিল বড় মেয়ে।

আপডেট টাইম ০৯:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে মা, ঘরের আড়ায় ঝুলছিল বড় মেয়ে । পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে তানিয়া আক্তার (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টায় পৌর শহরের খাজুরা এলাকার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানিয়া ওই এলাকার ভ্যানচালক কবির হাওলাদারের মেয়ে। সে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল থেকে ফিরে প্রাইভেট পড়া নিয়ে বড় মেয়ে তানিয়াকে কিছুটা বকাঝকা করেন এবং গালে একটি চর মেরে শাসন করেন। পরে ছোট মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য আবার তিনি স্কুলে যান।
এসময় তানিয়া তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা বাড়িতে ফিরে ঘরের আড়ার সঙ্গে তানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ওই কিশোরীকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুমশাদ সায়েম পুনম বলেন, তানিয়া নামে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। তারপরেও আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। তার গলায় একটি দাগও রয়েছে। পরিবারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে ওই কিশোরী।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।