ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

শিক্ষার গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে যিনি উজ্জ্বল উদাহরণ

মুবিন বিন সোলাইমান, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:
মার্মা সমাজে বিবাহ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। সমাজে স্বীকৃত বিবাহের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘চুং-মাং-লে’ বা ‘গংউ নাইট’ অনুষ্ঠান। পাত্রপক্ষ একটি থকিং (থামী), রূপা বা স্বর্ণের একটি আংটি দিয়ে পাত্রীকে আশীর্বাদ করেন। সামাজিক বিবাহের দ্বিতীয় পর্ব পাত্রপক্ষের উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পদুয়া ইউনিয়ন পেকুয়া পাহাড়ি মার্মা পল্লির সব চেয়ে উচ্চ শিক্ষিত বর সাইমাং মার্মার সাথে বান্দরবন উদালবনিয়ার কনে আপ্রূ মার্মার সাথে সামাজিক রীতিনিয়ম মেনে বিবাহউত্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৩ইং তারিখ পটিয়া কেলিশহর সীমান্তবর্তী পদুয়া পেকুয়া মার্মা পল্লি দর্গম এলাকাটি অপরুপ সাজে সেজেছে সাইমাং মার্মার বাড়িতে, পরিবারটির আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপর্শীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, অনুষ্ঠানে অন্যনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রুপালি রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক এনায়তুর রহিম, দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার মুবিন বিন সোলাইমান, দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, সানি বড়ুয়া। দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আল মামুন সহ আরো অনেকে শুভাকাঙ্ক্ষী।

উল্লেখ্য, পদুয়া ইউনিয়নে মার্মার পল্লির উদীয়নমান শিক্ষিত তরুণ সাইমাং মার্মাই এই এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। ২০০৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়ায় রাত দুইটায় ঘর থেকে বের হতো। তখন ছিলনা বিদুৎ ব্যবস্থা, ছিলনা সোলার সিষ্টেমও,হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হতো। কেরোসিন না থাকলে দিনের আলোতেই পড়ালেখা শেষ করতে হতো। ঐ এলাকাতে সাইমাং মার্মা একাই স্রোতের প্রতিকূলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষে সর্বশেষ চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০১২ সালে পোস্ট গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করে।

কর্মজীবনে সাইমাং মার্মা প্রথম আবুল খায়ের গ্রুপে চাকুরি শুরু করে, বর্তমানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে শিক্ষা প্রকল্পে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

সাইমাং মার্মা বলেন, “এই এলাকাতে তরুণদের মধ্যে উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

শিক্ষার গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে যিনি উজ্জ্বল উদাহরণ

আপডেট টাইম ০৬:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মুবিন বিন সোলাইমান, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:
মার্মা সমাজে বিবাহ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। সমাজে স্বীকৃত বিবাহের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘চুং-মাং-লে’ বা ‘গংউ নাইট’ অনুষ্ঠান। পাত্রপক্ষ একটি থকিং (থামী), রূপা বা স্বর্ণের একটি আংটি দিয়ে পাত্রীকে আশীর্বাদ করেন। সামাজিক বিবাহের দ্বিতীয় পর্ব পাত্রপক্ষের উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পদুয়া ইউনিয়ন পেকুয়া পাহাড়ি মার্মা পল্লির সব চেয়ে উচ্চ শিক্ষিত বর সাইমাং মার্মার সাথে বান্দরবন উদালবনিয়ার কনে আপ্রূ মার্মার সাথে সামাজিক রীতিনিয়ম মেনে বিবাহউত্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৩ইং তারিখ পটিয়া কেলিশহর সীমান্তবর্তী পদুয়া পেকুয়া মার্মা পল্লি দর্গম এলাকাটি অপরুপ সাজে সেজেছে সাইমাং মার্মার বাড়িতে, পরিবারটির আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপর্শীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, অনুষ্ঠানে অন্যনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রুপালি রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক এনায়তুর রহিম, দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার মুবিন বিন সোলাইমান, দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, সানি বড়ুয়া। দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আল মামুন সহ আরো অনেকে শুভাকাঙ্ক্ষী।

উল্লেখ্য, পদুয়া ইউনিয়নে মার্মার পল্লির উদীয়নমান শিক্ষিত তরুণ সাইমাং মার্মাই এই এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। ২০০৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়ায় রাত দুইটায় ঘর থেকে বের হতো। তখন ছিলনা বিদুৎ ব্যবস্থা, ছিলনা সোলার সিষ্টেমও,হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হতো। কেরোসিন না থাকলে দিনের আলোতেই পড়ালেখা শেষ করতে হতো। ঐ এলাকাতে সাইমাং মার্মা একাই স্রোতের প্রতিকূলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষে সর্বশেষ চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০১২ সালে পোস্ট গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করে।

কর্মজীবনে সাইমাং মার্মা প্রথম আবুল খায়ের গ্রুপে চাকুরি শুরু করে, বর্তমানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে শিক্ষা প্রকল্পে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

সাইমাং মার্মা বলেন, “এই এলাকাতে তরুণদের মধ্যে উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছি।