মো: আবুল হাসিম।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ শাসক কিম জং উনকে নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি মারা গেছেন, নাকি বেঁচে আছেন সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গন। কোথায় হারালেন তিনি?
মাসখানেক হতে চলল উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ শাসক কিম জং উনকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। যদিও দীর্ঘ সময় জনসমক্ষে তার অনুপস্থিতি নিয়ে এর আগেও নানা গুজব ছড়িয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল এবং ২০২১ সালের মে মাসে কিছুদিনের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ২০১৪ সালে একবার টানা ৪০ দিন জনসম্মুখে অনুপস্থিত ছিলেন কিম।
আরও একবার কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
আজ রাত থেকে রাজধানী পিয়ংইয়্যাংয়ে দেশের সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ কুচকাওয়াজ শুরু হওয়ার কথা। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশের সেনার এই বিশেষ অনুষ্ঠানের ঠিক আগে কিমের অনুপস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, আরও একবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তার অবর্তমানে উত্তর কোরিয়া শাসনের ভার কার হাতে যেতে পারে, তা নিয়েও দক্ষিণের সংবাদমাধম্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
গত রবিবার দেশে খাদ্য সঙ্কট নিয়ে পলিটবুরোর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি, কিম তাতে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায়নি কিমকে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা অবশ্য কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, কিম একেবারেই সুস্থ রয়েছেন। সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, কিমের অবর্তমানে দেশ শাসনের প্রাথমিক ভার গিয়ে পড়তে পারে তার বোন কিম ইয়ো জংয়ের উপরে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে একের পর এক ব্যালিস্টিকের পাশাপাশি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালান তিনি। গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে ক্ষিপ্ত করে তোলেন প্রতিবেশী দেশগুলোকে।