ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী মনছুর

মুবিন বিন সোলাইমান, চট্টগ্রাম:
“সুস্থ সবল বেকারদের নিয়ে কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে স্বপ্নকে লালন করছি। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছি কোনদিন ভিক্ষা করি নাই, কোন না কোন কিছু করার চেষ্টা করেছি, কোন সময় খেয়েছি কোন সময় ক্ষুদা নিয়ে ঘুমিয়েছি। এরপরেও কারো কাছে হাত পাতিনি, ছোটবেলা থেকে মুরগির ডিম বিক্রি করে টাকা জমিয়ে এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে”

জীবন যুদ্ধে হার না মানা আকাশসমান স্বপ্ন নিয়ে কথাগুলো বলছে, হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বাথুয়া এলাকার জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী ৩২ বছর বয়সী মোঃ মনছুর। ৩ ছেলে ৬ মেয়ে সন্তানের মধ্যে মোঃ মোছা’র ছোট ছেলে মোঃ মনছুর বিবাহিত জীবনের ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানের জনক।

হাটহাজারী উপজেলা বাথুয়া কাপ্তাই সড়কের পাশে ছোট একটি কাঠের বাক্স নিয়ে সিগারেট ও মোবাইলের রিচার্জ সাথে বিভিন্ন অফারেটরের কার্ড বিক্রি করেন মোঃ মূছা। ২০০১ সালে দিকে মুরগির ডিম বিক্রি করে জমানো দুই হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে, পরে ছয় মাস অন্তর অন্তর সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা চার হাজার পাঁচশো টাকা যোগ করে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুর করে। এই অল্প পুঁজির ব্যবসা থেকে চলে তার সংসার, প্রবল ইচ্ছা তার শিশু শ্রেণীতে অধ্যায়নরত মেয়েকে ডাক্তারি পরাবেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে, তবু কোন রকম চালাচ্ছে সংসার। তার দাবি ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া তাকে দেওয়া হয় না সরকারি ১০টাকা চাউলের কার্ড বা অন্যান্য সুবিধা।

এলাকার প্রতিবেশী মোঃ এরশাদ বলেন, মনছুরের দরিদ্রতার কথা আমরা সকলেই অবগত, প্রতিবন্ধী হলেও তার মনুষ্যত্বের মানবিক মনটি অনেক বিশাল। মানবিক সমাজে বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ থাকবে কারো সক্ষমতা থাকলে মুছা একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দিয়ে তার দরিদ্র পরিবার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হাত থেকে রেহাই দিতে সহযোগিতা হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী মনছুর

আপডেট টাইম ০৮:২৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মুবিন বিন সোলাইমান, চট্টগ্রাম:
“সুস্থ সবল বেকারদের নিয়ে কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে স্বপ্নকে লালন করছি। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছি কোনদিন ভিক্ষা করি নাই, কোন না কোন কিছু করার চেষ্টা করেছি, কোন সময় খেয়েছি কোন সময় ক্ষুদা নিয়ে ঘুমিয়েছি। এরপরেও কারো কাছে হাত পাতিনি, ছোটবেলা থেকে মুরগির ডিম বিক্রি করে টাকা জমিয়ে এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে”

জীবন যুদ্ধে হার না মানা আকাশসমান স্বপ্ন নিয়ে কথাগুলো বলছে, হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বাথুয়া এলাকার জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী ৩২ বছর বয়সী মোঃ মনছুর। ৩ ছেলে ৬ মেয়ে সন্তানের মধ্যে মোঃ মোছা’র ছোট ছেলে মোঃ মনছুর বিবাহিত জীবনের ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানের জনক।

হাটহাজারী উপজেলা বাথুয়া কাপ্তাই সড়কের পাশে ছোট একটি কাঠের বাক্স নিয়ে সিগারেট ও মোবাইলের রিচার্জ সাথে বিভিন্ন অফারেটরের কার্ড বিক্রি করেন মোঃ মূছা। ২০০১ সালে দিকে মুরগির ডিম বিক্রি করে জমানো দুই হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে, পরে ছয় মাস অন্তর অন্তর সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা চার হাজার পাঁচশো টাকা যোগ করে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুর করে। এই অল্প পুঁজির ব্যবসা থেকে চলে তার সংসার, প্রবল ইচ্ছা তার শিশু শ্রেণীতে অধ্যায়নরত মেয়েকে ডাক্তারি পরাবেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে, তবু কোন রকম চালাচ্ছে সংসার। তার দাবি ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া তাকে দেওয়া হয় না সরকারি ১০টাকা চাউলের কার্ড বা অন্যান্য সুবিধা।

এলাকার প্রতিবেশী মোঃ এরশাদ বলেন, মনছুরের দরিদ্রতার কথা আমরা সকলেই অবগত, প্রতিবন্ধী হলেও তার মনুষ্যত্বের মানবিক মনটি অনেক বিশাল। মানবিক সমাজে বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ থাকবে কারো সক্ষমতা থাকলে মুছা একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দিয়ে তার দরিদ্র পরিবার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হাত থেকে রেহাই দিতে সহযোগিতা হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।