ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধ টাকায় সরে বৈদ্যুতিক খুটি, বৈধতায় মেলে যন্ত্রণা

আনোয়ারা সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধ ভাবে টাকা দিলে খুটি সরে যায়, আর যারা বৈধ ভাবে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেয় তাদের খুটি সহজে সরে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী ইউনিয়নের সিংহরা গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ এর অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে গোপনে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ এর একটি খুটি অপসারণ করেছে। সরকারি কোষাগারে কোন টাকা জমা না দিয়ে কোন ডিমান্ড না নিয়েই অবৈধ ভাবে এই খুটিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ আনোয়ারা শাখার জুনিয়র প্রকৌশলী পাভেল এবং রিপন নামের একজন অস্থায়ী ইলেক্ট্রিশিয়ান এর যোগসাজসে অফিসিয়াল কোন অনুমতি না নিয়েই আটারো হাজার টাকার বিনিময়ে এই খুটি অপসারণ করা হয়েছে। সিংহরা গ্রামের চন্দ বাড়ির বাবু নামের এক গ্রাহকের খুটি অফিসে না জানিয়ে এই অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ শোলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি খুটি সরানোর জন্য ২০১৮ সাল থেকে যথাযথ ভাবে আবেদন করেও এই খুটি সরানো যায়নি। অনেকদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে এই বিদ্যালয়ের খুটিটি সরানোর জন্য সরকারি কোষাগারে পঁচিশ হাজার তিনশত বত্রিশ টাকা জমা করার পর এই খুটি এখনো সরানো হয়নি।

এই বিষয়ে ঘরের মালিক বাবুর ভাই সাবু বলেন, আমরা বৈধ ভাবে সব করতে চেযে ছিলাম। এই বিষয়ে আমি অফিসে কথা বলতে গেলে পাভেল নামের একজন আমাকে বলে, সকালে আপনার কাছে লোক যাবে। পরের দিন সকালে রিপন নামের একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান আমার কাছে গিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা চায়, কিন্তু আমি এতো টাকা দিতে পারবোনা জানালে সর্বশেষ আটারো হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে আমার খুটিটি তারা সরিয়ে দেয়। রিপন বলেছিল, অফিসে জানাতে হবেনা। তারা সবকিছু ম্যানেজ করে নিবে। অনেকদিন অফিসিয়াল কাগজ চেয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে দেয়নি। বলেছে এগুলোর কোন প্রয়োজন নেই। এখন আমার ঘরের মিটারটিও খুলে নিয়ে গেছে। আমরা সহজ সরল মানুষ, এতো জটিলতা বুঝিনা। তাদের খপ্পরে পড়ে আমি এখন অন্ধকারে দিনযাপন করছি।
এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ আনোয়ারা অফিসের ডিজিএম জসিম উদ্দিন বলেন,এই বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধ টাকায় সরে বৈদ্যুতিক খুটি, বৈধতায় মেলে যন্ত্রণা

আপডেট টাইম ০৮:১৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আনোয়ারা সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধ ভাবে টাকা দিলে খুটি সরে যায়, আর যারা বৈধ ভাবে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেয় তাদের খুটি সহজে সরে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী ইউনিয়নের সিংহরা গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ এর অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে গোপনে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ এর একটি খুটি অপসারণ করেছে। সরকারি কোষাগারে কোন টাকা জমা না দিয়ে কোন ডিমান্ড না নিয়েই অবৈধ ভাবে এই খুটিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ আনোয়ারা শাখার জুনিয়র প্রকৌশলী পাভেল এবং রিপন নামের একজন অস্থায়ী ইলেক্ট্রিশিয়ান এর যোগসাজসে অফিসিয়াল কোন অনুমতি না নিয়েই আটারো হাজার টাকার বিনিময়ে এই খুটি অপসারণ করা হয়েছে। সিংহরা গ্রামের চন্দ বাড়ির বাবু নামের এক গ্রাহকের খুটি অফিসে না জানিয়ে এই অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ শোলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি খুটি সরানোর জন্য ২০১৮ সাল থেকে যথাযথ ভাবে আবেদন করেও এই খুটি সরানো যায়নি। অনেকদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে এই বিদ্যালয়ের খুটিটি সরানোর জন্য সরকারি কোষাগারে পঁচিশ হাজার তিনশত বত্রিশ টাকা জমা করার পর এই খুটি এখনো সরানো হয়নি।

এই বিষয়ে ঘরের মালিক বাবুর ভাই সাবু বলেন, আমরা বৈধ ভাবে সব করতে চেযে ছিলাম। এই বিষয়ে আমি অফিসে কথা বলতে গেলে পাভেল নামের একজন আমাকে বলে, সকালে আপনার কাছে লোক যাবে। পরের দিন সকালে রিপন নামের একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান আমার কাছে গিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা চায়, কিন্তু আমি এতো টাকা দিতে পারবোনা জানালে সর্বশেষ আটারো হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে আমার খুটিটি তারা সরিয়ে দেয়। রিপন বলেছিল, অফিসে জানাতে হবেনা। তারা সবকিছু ম্যানেজ করে নিবে। অনেকদিন অফিসিয়াল কাগজ চেয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে দেয়নি। বলেছে এগুলোর কোন প্রয়োজন নেই। এখন আমার ঘরের মিটারটিও খুলে নিয়ে গেছে। আমরা সহজ সরল মানুষ, এতো জটিলতা বুঝিনা। তাদের খপ্পরে পড়ে আমি এখন অন্ধকারে দিনযাপন করছি।
এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ আনোয়ারা অফিসের ডিজিএম জসিম উদ্দিন বলেন,এই বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।