ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বর্ষায় শিশুর ত্বক

বৃষ্টির দিনে গোসল করা তো দূরের কথা, মাঝেমধ্যে শিশুরা হাত-মুখও ধুতে চায় না। আবার স্কুলে বা খেলার মাঠে হঠাৎ বৃষ্টি এলে তাতে প্রাণভরে ভিজতেও তাদের জুড়ি নেই। নানা কারণে বর্ষাকালে শিশুদের ত্বকে ঘা ও চুলকানি দেখা দেয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি বলে প্রকৃতিতে ছত্রাকসহ নানা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঘটে বেশি। বর্ষাকালে তাই শিশুদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া চাই।

* বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। পা দুটো নোংরা পানির সংস্পর্শে আসে বেশি, তাই বাড়ি ফিরে পা ধোয়া ও তারপর তা ভালো করে মুছে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাচ্চারা ঘামেও বেশি। ঘামে ভেজা স্কুলের জামাকাপড় রোজ ধুয়ে দিলে ভালো। গেঞ্জি, মোজা ও অন্তর্বাস রোজ ধুয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অন্য কাপড়ের চেয়ে মোজা শুকাতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োয় অনেক শিশু হালকা ভেজা মোজাই পায়ে গলিয়ে নেয়। এতে পায়ের ত্বকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

* বর্ষায় পা ছাড়াও আঙুলের ভাঁজে, বগলের নিচে, কুঁচকি ও চুলের ফাঁকে ঘাম জমে বলে এসব স্থানে সংক্রমণ হয়। তাই গোসলের সময় এসব স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সব সময় শুকনো রাখতে হবে।

* এই সময় ছোট শিশুদের ডায়াপার থেকে ত্বকের সমস্যা বেশি হয়। বর্ষায় শিশুদের প্রস্রাব বেশি হয়। এই প্রস্রাব জমে ডায়াপারের নিচের ত্বকে ঘা সৃষ্টি হয়। বর্ষায় ডায়াপার পরালে বারবার দেখা উচিত সেটি বেশি ভিজে গেছে কি না। ডায়াপার ব্যবহারের আগে ভ্যাসলিন বা জিঙ্ক-জাতীয় ক্রিম লাগালে ত্বকের সমস্যা অনেকটা কমবে।

* স্ক্যাবিস নামে একধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এই সময় বেশি হতে পারে। ঘরে বা স্কুলে একজন কারও হলে সবার মাঝে তা দ্রুত ছড়ায়। যাঁরা শিশুর পরিচর্যা করেন, তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। স্ক্যাবিস হলে বাড়ির সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বর্ষায় শিশুর ত্বক

আপডেট টাইম ০৫:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮

বৃষ্টির দিনে গোসল করা তো দূরের কথা, মাঝেমধ্যে শিশুরা হাত-মুখও ধুতে চায় না। আবার স্কুলে বা খেলার মাঠে হঠাৎ বৃষ্টি এলে তাতে প্রাণভরে ভিজতেও তাদের জুড়ি নেই। নানা কারণে বর্ষাকালে শিশুদের ত্বকে ঘা ও চুলকানি দেখা দেয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি বলে প্রকৃতিতে ছত্রাকসহ নানা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঘটে বেশি। বর্ষাকালে তাই শিশুদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া চাই।

* বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। পা দুটো নোংরা পানির সংস্পর্শে আসে বেশি, তাই বাড়ি ফিরে পা ধোয়া ও তারপর তা ভালো করে মুছে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাচ্চারা ঘামেও বেশি। ঘামে ভেজা স্কুলের জামাকাপড় রোজ ধুয়ে দিলে ভালো। গেঞ্জি, মোজা ও অন্তর্বাস রোজ ধুয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অন্য কাপড়ের চেয়ে মোজা শুকাতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োয় অনেক শিশু হালকা ভেজা মোজাই পায়ে গলিয়ে নেয়। এতে পায়ের ত্বকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

* বর্ষায় পা ছাড়াও আঙুলের ভাঁজে, বগলের নিচে, কুঁচকি ও চুলের ফাঁকে ঘাম জমে বলে এসব স্থানে সংক্রমণ হয়। তাই গোসলের সময় এসব স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সব সময় শুকনো রাখতে হবে।

* এই সময় ছোট শিশুদের ডায়াপার থেকে ত্বকের সমস্যা বেশি হয়। বর্ষায় শিশুদের প্রস্রাব বেশি হয়। এই প্রস্রাব জমে ডায়াপারের নিচের ত্বকে ঘা সৃষ্টি হয়। বর্ষায় ডায়াপার পরালে বারবার দেখা উচিত সেটি বেশি ভিজে গেছে কি না। ডায়াপার ব্যবহারের আগে ভ্যাসলিন বা জিঙ্ক-জাতীয় ক্রিম লাগালে ত্বকের সমস্যা অনেকটা কমবে।

* স্ক্যাবিস নামে একধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এই সময় বেশি হতে পারে। ঘরে বা স্কুলে একজন কারও হলে সবার মাঝে তা দ্রুত ছড়ায়। যাঁরা শিশুর পরিচর্যা করেন, তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। স্ক্যাবিস হলে বাড়ির সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।