হাসান সরদার জুয়েল, বরিশাল :-বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জে সাংগঠনিকভাবে সু-সংগঠিত বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্বে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা বিএনপির একই পদে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক বিতর্কিত বিএনপি নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবুও তার দোষর দলের দুঃসময় ও দলীয় নেতাকর্মীদের পদ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ধান্দাবাজী করা ও আওয়ামীলীগ নেতা পঙ্কজ নাথ এমপি ও শাহ আলম মুরাদ এর ‌সাথে আঁতাত করে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে। অভিযোগ রয়েছে, রফিকুল ইসলাম লাবু পঙ্কজ নাথ এমপি’র সহযোগিতায় ভারত গমন, ২০১৩ তে পুলিশের হাত থেকে পংকজনাথের সহযোগিতায় মুক্তি পায় এবং ২০২২ সালে আন্ধার মানিক উপজেলার বিএনপির লোকজনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলাউদ্দিন কবিরাজকে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন এছাড়াও ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর পঙ্কজনাথের গ্রুপ বিএনপির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলে তিনি (লাবু) এনিয়ে তার মধ্যে কোন প্রকার মাথা ব্যাথা দেখা যায়নি। সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবু এমপি পংকজ নাথ’য়ের নাম ভাঙ্গীয়ে বিভিন্ন স্থানে চাদাঁবাজী করে আসছে। যা নিয়ে বিএনপির একাদিক নেতারা ক্ষুব্ধ হলেও বিতর্কিত এই লাবুর ভয়ে কেউ কখনই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। জানাগেছে, বিএনপি নেতা লাবু দীর্ঘ বছর ধরে বিএনপির কর্মীসভার আগ পর্যন্ত দল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো। কর্মীসভার পর পরই ঘুমন্ত রফিকুল ইসলাম লাবু উপজেলার নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন দেখে।অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে থেকে চাঁদাবাজি, দূর্নীতি, সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার কারণে সাংগঠনিকভাবে দলের অবস্থা হ য ব র ল হয়ে যায়। ফলে তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথ ছেড়ে ঘর মুখী হয়ে পরে। দলের এই দৈণ্যদশা থেকে উত্তরণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নামে বিতর্কিত লাবু এক সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলে সু-সংগঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী বিতর্কিত লাবু’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্থবির মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ব করে গড়ে তুলতে দলের কেন্দ্রীয় বিএনপি জোর চেস্টা করে গেলেও ঐক্যের ফাটল ধরাতে একজন লাবু’ই যথেষ্ট। এমনটাই মনে করছেন তৃর্নমূল নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা লাবু স্থানীয় বেশ কিছু লোককে বিএনপির উপজেলার পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। জানাগেছে, রফিকুল ইসলাম লাবু বিএনপির মিছিল মিঠিংয়ে খুব একটা অংশগ্রহন না করলেও ফটোশেসন নিয়েই তিনি বেশি ব্যাস্ত থাকেন। জানগেছে বিএনপি নেতা লাবু’র ছেলে জাহিদুল ইসলাম অমিত আ’লীগের একজন হেবিওয়েট নেতার তদবিরে একটি ব্যাংকে চাকরি হয়। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম লাবু জানান, সরকার দলীয় লোকজন বিএনপি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলে আমার কি করার অবশ্য অফিসটি জমি আমার নিজের সরকারদলীয় লোকদের সাথে সখ্যতার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।