ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

ফরিদগঞ্জে বন্ধ ইটভাটা চালুর দাবীতে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষর

মোঃ আল আমিন হোসেন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বালিথুবায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইটভাটা চালু করতে ওই ইটভাটায় কর্মরত স্থানীয় ও চাকরি সূত্রে আসা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গণস্বাক্ষর যুক্ত মানবিক আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কাছে।

রাবিবার (২২ জানুয়ারী) তাদের পক্ষে জনৈক মামুনুর রহমান সবুজ এই আবেদন করেন। গণস্বাক্ষরে ৪৫০ লোকের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়া এর সাথে ইটভাটার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, সহকারি কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট চাঁদপুর, ফায়ার সার্ভিস ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবদনের অনুলিপি দিয়েছেন।
আবেদনে তারা জানান, ইতিপূর্বে এফ এন্ড এফ নামে ইটভাটা চালু থাকার করণে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থার সুযোগ হয়েছিল। মাঝে নানাকারণে সেটি বন্ধ হওয়ার পর সম্প্রতি স্থানীয় আলম তপদারের নামে এক ব্যবসায়ী এলাকাবাসীর অনুরোধে মা-রহমত নাম দিয়ে ইটভাটাটি পুনরায় চালু করে। এতে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪শতাধিক লোকের নুতন কর্ম জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু কাগজপত্র জটিলতার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে ইটভাটাটি চালু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বুলবুল আহমেদ নামে এক শ্রমিক জানান, তিনি ইটভাটায় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিত কাজ করছিলেন। কিন্তু ইটভাটাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। বাড়িতে টাকা পাঠাবে দূরের কথা এখন নিজে চলতেই কষ্ট হচ্ছে।

একই জেলার দৈনিক শ্রমিক হাজিরায় কাজ করা মোত্তাকিনও একই উক্তি জানিয়ে বলেন, এখন আমাদের কি হবে। এই সময় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।
স্থানীয় মামুনুর রহমান সবুজ জানান. ইটভাটা চালু হওয়ায় তার মতো দুই শতাদিক শ্রমিকের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। এখন তারা পথে বসেছেন। এই কাজ শিখেছেন তাই অন্যকাজ করা এই সময় কষ্টদায়ক। কারভুলে তাদের এই দুঃখ সহ্য করতে হচ্ছে তারা জানে না। তবে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে ইটভাটাটি চালু হলে তাদের দ্রব্যমূল্যের এই দুঃসময়ে কিছুটা হলও বিপদমুক্ত হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

ফরিদগঞ্জে বন্ধ ইটভাটা চালুর দাবীতে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষর

আপডেট টাইম ০৯:৫০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ আল আমিন হোসেন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বালিথুবায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইটভাটা চালু করতে ওই ইটভাটায় কর্মরত স্থানীয় ও চাকরি সূত্রে আসা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গণস্বাক্ষর যুক্ত মানবিক আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কাছে।

রাবিবার (২২ জানুয়ারী) তাদের পক্ষে জনৈক মামুনুর রহমান সবুজ এই আবেদন করেন। গণস্বাক্ষরে ৪৫০ লোকের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়া এর সাথে ইটভাটার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, সহকারি কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট চাঁদপুর, ফায়ার সার্ভিস ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবদনের অনুলিপি দিয়েছেন।
আবেদনে তারা জানান, ইতিপূর্বে এফ এন্ড এফ নামে ইটভাটা চালু থাকার করণে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থার সুযোগ হয়েছিল। মাঝে নানাকারণে সেটি বন্ধ হওয়ার পর সম্প্রতি স্থানীয় আলম তপদারের নামে এক ব্যবসায়ী এলাকাবাসীর অনুরোধে মা-রহমত নাম দিয়ে ইটভাটাটি পুনরায় চালু করে। এতে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪শতাধিক লোকের নুতন কর্ম জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু কাগজপত্র জটিলতার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে ইটভাটাটি চালু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বুলবুল আহমেদ নামে এক শ্রমিক জানান, তিনি ইটভাটায় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিত কাজ করছিলেন। কিন্তু ইটভাটাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। বাড়িতে টাকা পাঠাবে দূরের কথা এখন নিজে চলতেই কষ্ট হচ্ছে।

একই জেলার দৈনিক শ্রমিক হাজিরায় কাজ করা মোত্তাকিনও একই উক্তি জানিয়ে বলেন, এখন আমাদের কি হবে। এই সময় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।
স্থানীয় মামুনুর রহমান সবুজ জানান. ইটভাটা চালু হওয়ায় তার মতো দুই শতাদিক শ্রমিকের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। এখন তারা পথে বসেছেন। এই কাজ শিখেছেন তাই অন্যকাজ করা এই সময় কষ্টদায়ক। কারভুলে তাদের এই দুঃখ সহ্য করতে হচ্ছে তারা জানে না। তবে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে ইটভাটাটি চালু হলে তাদের দ্রব্যমূল্যের এই দুঃসময়ে কিছুটা হলও বিপদমুক্ত হবে।