ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

শেষ কর্মদিবসে বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত হয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের শেষ কার্যদিবস ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং নির্বাচনের কারণে ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ ছুটি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের এ মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অফিস করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আনুষ্ঠানিক বিদায়ও নেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি কিন্তু নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি, বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার’। সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইব, আপনারা সব সময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।

১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি। এখনো বহু কাজ বাকি। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। আগামী ৩০ তারিখে যদি তারা ভোট দেয়, তাহলে আবার আসতে পারব এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারব। আর তা না হলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা আমার নিজের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্য শেষ করেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে দিয়ে। কবির ভাষায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলে যাব—তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল? এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

শেষ কর্মদিবসে বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত হয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১১:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের শেষ কার্যদিবস ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং নির্বাচনের কারণে ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ ছুটি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের এ মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অফিস করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আনুষ্ঠানিক বিদায়ও নেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি কিন্তু নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি, বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার’। সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইব, আপনারা সব সময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।

১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি। এখনো বহু কাজ বাকি। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। আগামী ৩০ তারিখে যদি তারা ভোট দেয়, তাহলে আবার আসতে পারব এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারব। আর তা না হলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা আমার নিজের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্য শেষ করেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে দিয়ে। কবির ভাষায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলে যাব—তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল? এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।