ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

কুয়াকাটা সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ফটোগ্রাফার।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ফটোগ্রাফার।কুয়াকাটায় মিজানুর রহমান (৩৯) এক পর্যটকের হারানো ৪৮ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে ফেরত দিলেন মো. হাবিব নামের এক ফটোগ্রাফার।
শুক্রবার ২০ জানুয়ারি ২০২৩ সকালে লেম্বুরবনে ওই পর্যটক পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায়। একই পকেটে মোবাইল ও টাকা রাখায় মোবাইল উঠাতে গিয়ে টাকা পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে না পেয়ে হোটেলে চলে আসে। পরে লেম্বুরবনে ছবি তুলতে যাওয়া এক ফটোগ্রাফার টাকাগুলো কুড়িয়ে পেয়ে কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতির কাছে জমা দেন। সভাপতি আল আমিন কাজী বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে ওই পর্যটককে খুঁজে টাকাগুলো ফেরত দেন।
বগুড়া থেকে আসা পর্যটক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি লেম্বুরবনে ঘুরতে যাওয়ার পরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। তখন পকেটে হাত দিয়ে টাকা না পেয়ে তাৎক্ষনিক মসজিদ থেকে মাইকিং করি। তবে কোনো খোঁজ না পেয়ে ভেবেছি আর হয়তো পাবো না। কিন্তু বিকেলে পুলিশের কাছে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি ফটোগ্রাফার টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওই ফটোগ্রাফার এবং ও স্থানীয় মানুষের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। এত সৎ মানুষ আমি কম দেখেছি।
কুয়াকাটা সৈকতের হাবিব নামের ওই ফটোগ্রাফার জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছবি তুলতে ছিলাম তখন হঠাৎ একটি টিস্যু পেপারে মোড়ানো কিছু টাকা পেয়ে আমি কাউকে না দিয়ে সরাসরি আমাদের সভাপতির মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেই। পরে টাকার আসল মালিককে পেয়ে তার হাতে ফেরত দেই। পরের টাকার প্রতি বিন্দুমাত্র লোভ কখনোই ছিল না আমার। যার টাকা তাকে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
সৈকতে দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ফটোগ্রাফারদের সভাপতির কাছে একজন কিছু কুড়িয়ে পাওয়া টাকা জমা দেন। পরে টাকার মালিককে খুঁজতে আমাদের সহযোগীতা চাওয়া হলে আমরা মাইকিং করি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেই। পরে মিজানুর রহমান নামের এই পর্যটক আসে এবং টাকার সঠিক বর্ণনা দেওয়ার পরে তার টাকা তাকে ফেরত দেই। ###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

কুয়াকাটা সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ফটোগ্রাফার।

আপডেট টাইম ০১:৩২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ফটোগ্রাফার।কুয়াকাটায় মিজানুর রহমান (৩৯) এক পর্যটকের হারানো ৪৮ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে ফেরত দিলেন মো. হাবিব নামের এক ফটোগ্রাফার।
শুক্রবার ২০ জানুয়ারি ২০২৩ সকালে লেম্বুরবনে ওই পর্যটক পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায়। একই পকেটে মোবাইল ও টাকা রাখায় মোবাইল উঠাতে গিয়ে টাকা পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে না পেয়ে হোটেলে চলে আসে। পরে লেম্বুরবনে ছবি তুলতে যাওয়া এক ফটোগ্রাফার টাকাগুলো কুড়িয়ে পেয়ে কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতির কাছে জমা দেন। সভাপতি আল আমিন কাজী বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে ওই পর্যটককে খুঁজে টাকাগুলো ফেরত দেন।
বগুড়া থেকে আসা পর্যটক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি লেম্বুরবনে ঘুরতে যাওয়ার পরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। তখন পকেটে হাত দিয়ে টাকা না পেয়ে তাৎক্ষনিক মসজিদ থেকে মাইকিং করি। তবে কোনো খোঁজ না পেয়ে ভেবেছি আর হয়তো পাবো না। কিন্তু বিকেলে পুলিশের কাছে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি ফটোগ্রাফার টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওই ফটোগ্রাফার এবং ও স্থানীয় মানুষের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। এত সৎ মানুষ আমি কম দেখেছি।
কুয়াকাটা সৈকতের হাবিব নামের ওই ফটোগ্রাফার জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছবি তুলতে ছিলাম তখন হঠাৎ একটি টিস্যু পেপারে মোড়ানো কিছু টাকা পেয়ে আমি কাউকে না দিয়ে সরাসরি আমাদের সভাপতির মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেই। পরে টাকার আসল মালিককে পেয়ে তার হাতে ফেরত দেই। পরের টাকার প্রতি বিন্দুমাত্র লোভ কখনোই ছিল না আমার। যার টাকা তাকে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
সৈকতে দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ফটোগ্রাফারদের সভাপতির কাছে একজন কিছু কুড়িয়ে পাওয়া টাকা জমা দেন। পরে টাকার মালিককে খুঁজতে আমাদের সহযোগীতা চাওয়া হলে আমরা মাইকিং করি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেই। পরে মিজানুর রহমান নামের এই পর্যটক আসে এবং টাকার সঠিক বর্ণনা দেওয়ার পরে তার টাকা তাকে ফেরত দেই। ###