ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া … “বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল

‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’। বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়েই পিকনিক করছে গ্রামের যুবকরা।
অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।’ সেখানে কয়েকটি জীবিত পাখি (ডাহুক) ও পাখির মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই এ পোস্টে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তারপরে সেটা প্রচারের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আরও বড় অপরাধ করা হয়েছে।
এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখিরা আসে আশ্রয় নিতে। কিছু এলাকায় এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে। নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি হয়ে থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি ফেরি করে বিক্রি করে থাকে।
বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোনো ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিত বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করা।
এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারিদের অনুৎসাহিত করা।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’।

আপডেট টাইম ০৫:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ‘আমরা শীতের দিনে পাখি শিকার করে পিকনিক খাইতেছি’। বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়েই পিকনিক করছে গ্রামের যুবকরা।
অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।’ সেখানে কয়েকটি জীবিত পাখি (ডাহুক) ও পাখির মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই এ পোস্টে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তারপরে সেটা প্রচারের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আরও বড় অপরাধ করা হয়েছে।
এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখিরা আসে আশ্রয় নিতে। কিছু এলাকায় এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে। নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি হয়ে থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি ফেরি করে বিক্রি করে থাকে।
বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোনো ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিত বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করা।
এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারিদের অনুৎসাহিত করা।###