ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

ছয় বছরের সাজা প্রাপ্ত চান্দিনার মোসলেম ২০ বছর গ্রেফতার

আহসান হাবীব শামীম কুমিল্লা জেলা ব্যুরো প্রধান

ছয় বছরের সাজার ভয়ে আত্মগোপনে থাকা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মোসলেম মিয়া প্রায় ২০ বছর পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশ।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম ডাবলমুড়িং থানাধীন সবুজবাগ এলাকা থেকে আটকের পর বিকেলে চান্দিনা থানায় আনা হয় তাকে।
মোসলেম মিয়া কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
জানা যায়, মোসলেম মিয়া (৪২) দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার কারণে পরিবারের সাথে চট্টগ্রামেই বেড়ে উঠা তার।
চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় তরুণ বয়সে শহরের পাঠানতলী খাঁন সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় আসামী হন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় তিনি চট্টগ্রাম ডাবুলমুরিং থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন। প্রায় দুই মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে নিয়মিত হাজিরাও দিয়ে আসছিলেন। এসময় তিনি কর্মজীবনে চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ চাকুরী করতেন।
১৯৯৬ সালে আদালতের নির্ধারিত দুই তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। সেই থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ২০০২ সালে বিজ্ঞ আদালত সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়। কারাদন্ডের তোয়াক্কা না করে নিজের কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন মোসলেম।
চট্টগ্রামের পাঠানতলী থেকে কয়েকদফা বাসা বদল করে ২০০৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবনে ১ মেয়ে ২ ছেলের জনক।
এদিকে, ২০০২ সালে সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী গ্রেফতারে চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে। বছরের পর বছর অনেক পুলিশ অফিসারের বদলী হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোসলেম এর খোঁজ নেই। অবশেষে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানাটি পড়ে ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ওই আসামীর খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আটক করি। বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়।
তারিখ:-১২-০১-২৩ ইং

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

ছয় বছরের সাজা প্রাপ্ত চান্দিনার মোসলেম ২০ বছর গ্রেফতার

আপডেট টাইম ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

আহসান হাবীব শামীম কুমিল্লা জেলা ব্যুরো প্রধান

ছয় বছরের সাজার ভয়ে আত্মগোপনে থাকা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মোসলেম মিয়া প্রায় ২০ বছর পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশ।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম ডাবলমুড়িং থানাধীন সবুজবাগ এলাকা থেকে আটকের পর বিকেলে চান্দিনা থানায় আনা হয় তাকে।
মোসলেম মিয়া কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
জানা যায়, মোসলেম মিয়া (৪২) দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার কারণে পরিবারের সাথে চট্টগ্রামেই বেড়ে উঠা তার।
চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় তরুণ বয়সে শহরের পাঠানতলী খাঁন সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় আসামী হন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় তিনি চট্টগ্রাম ডাবুলমুরিং থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন। প্রায় দুই মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে নিয়মিত হাজিরাও দিয়ে আসছিলেন। এসময় তিনি কর্মজীবনে চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ চাকুরী করতেন।
১৯৯৬ সালে আদালতের নির্ধারিত দুই তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। সেই থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ২০০২ সালে বিজ্ঞ আদালত সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়। কারাদন্ডের তোয়াক্কা না করে নিজের কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন মোসলেম।
চট্টগ্রামের পাঠানতলী থেকে কয়েকদফা বাসা বদল করে ২০০৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবনে ১ মেয়ে ২ ছেলের জনক।
এদিকে, ২০০২ সালে সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী গ্রেফতারে চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে। বছরের পর বছর অনেক পুলিশ অফিসারের বদলী হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোসলেম এর খোঁজ নেই। অবশেষে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানাটি পড়ে ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ওই আসামীর খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আটক করি। বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়।
তারিখ:-১২-০১-২৩ ইং