ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

আরডিসি জরিপ: নির্বাচনে মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে অনুমান করছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। আর ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯টি আসন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্যান্যরা পাবে তিনটি আসন। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)-র এক জরিপে এই পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে। আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে এবং বাকি তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হতে পারে।

ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ভোট দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট পড়েছে ৪ শতাংশ। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। আর ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে অস্বীকৃতি এবং ১ শতাংশের কম ভোটার ভোট দেওয়ার অনিচ্ছা জানিয়েছে।

ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভাল বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।

বিএনপিকে ভাল বলেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।

জাতীয় পার্টিকে ভাল বলেছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং খারাপ বলেছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

জরিপ সম্পর্কে ফরেস্ট ই কুকসন বলেন, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল জানতে এই জরিপ করা হয়। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের ভোটারদের থেকে মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কত জেলা বা উপজেলায় এই জরিপ করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যগুলোকে নমুনা হিসেবে নিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে ভোটারদের এই জরিপ করা হয়। ছায়া জরিপে ভোট দিতে নারীদের জন্য লাল ব্যালট পেপার ছিল। পুরুষদের জন্য ছিল নীল ব্যালট পেপার।

এভাবে একবার উপজেলা বাছাইয়ের পর, গ্রামের সংখ্যা ও পাড়াগুলো সেই শুমারি থেকেই নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা ব্যবহারের মাধ্যমে আরডিসির নমুনা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে প্রতিটি ভোটারের সাক্ষাতকার দাতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সমান সম্ভাবনা থাকে।

আরডিসির তথ্য সংগ্রাহক উত্তরদাতাদের ধর্ম ও বয়স চিহ্নিত করেছিল। জরিপে লাল রঙের ব্যালট নারী এবং নীল পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে যেখানে মহাজোট ভোট পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ, বিএনপি গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স ৩৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো এই ফলাফল অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা।

মহাজোটের সমর্থন বড় শহর এবং গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ছোট শহরে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জেওএফ)-এর সমর্থন বড় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরে শক্তিশালী।

বিশ্লেষণটি বিগত ২৭ বছর ধরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পরিবর্তনের হিসাবকে মাথায় রেখে করা। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জরিপের পূর্ববর্তী সংস্করণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস সঠিকভাবে দেয়া হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

আরডিসি জরিপ: নির্বাচনে মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে

আপডেট টাইম ০৪:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে অনুমান করছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। আর ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯টি আসন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্যান্যরা পাবে তিনটি আসন। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)-র এক জরিপে এই পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে। আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে এবং বাকি তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হতে পারে।

ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ভোট দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট পড়েছে ৪ শতাংশ। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। আর ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে অস্বীকৃতি এবং ১ শতাংশের কম ভোটার ভোট দেওয়ার অনিচ্ছা জানিয়েছে।

ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভাল বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।

বিএনপিকে ভাল বলেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।

জাতীয় পার্টিকে ভাল বলেছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং খারাপ বলেছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

জরিপ সম্পর্কে ফরেস্ট ই কুকসন বলেন, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল জানতে এই জরিপ করা হয়। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের ভোটারদের থেকে মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কত জেলা বা উপজেলায় এই জরিপ করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যগুলোকে নমুনা হিসেবে নিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে ভোটারদের এই জরিপ করা হয়। ছায়া জরিপে ভোট দিতে নারীদের জন্য লাল ব্যালট পেপার ছিল। পুরুষদের জন্য ছিল নীল ব্যালট পেপার।

এভাবে একবার উপজেলা বাছাইয়ের পর, গ্রামের সংখ্যা ও পাড়াগুলো সেই শুমারি থেকেই নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা ব্যবহারের মাধ্যমে আরডিসির নমুনা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে প্রতিটি ভোটারের সাক্ষাতকার দাতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সমান সম্ভাবনা থাকে।

আরডিসির তথ্য সংগ্রাহক উত্তরদাতাদের ধর্ম ও বয়স চিহ্নিত করেছিল। জরিপে লাল রঙের ব্যালট নারী এবং নীল পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে যেখানে মহাজোট ভোট পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ, বিএনপি গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স ৩৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো এই ফলাফল অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা।

মহাজোটের সমর্থন বড় শহর এবং গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ছোট শহরে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জেওএফ)-এর সমর্থন বড় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরে শক্তিশালী।

বিশ্লেষণটি বিগত ২৭ বছর ধরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পরিবর্তনের হিসাবকে মাথায় রেখে করা। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জরিপের পূর্ববর্তী সংস্করণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস সঠিকভাবে দেয়া হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।