ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

ইটভাটায় দেদারসে পুড়ছে কাঠ: দেখার কেউ নেই

#মশিউর রহমান (রিপন) :পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী সদর ইটভাটার মালিকরা সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে লাইসেন্সবিহীন অনেক টি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারে লাকড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩তে বলা হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন, হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন, ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন, টানেল ক্লিন বা অনুরোপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।
তাছাড়া আবাসিক, জনবসতি, সংরক্ষিত এলাকার বনভূমি ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করা যাবে না। এছাড়া সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আর এ আইন অমান্য করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

আর এসব ইটভাটা তদারকি করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে পটুয়াখালী অধিকাংশ ইটভাটা মালিক এসব আইনের তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে দেদারে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভাটা মালিকরা ভাটার আশাপাশে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে শেষ করে ফেলেছেন। বর্তমানে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাটি কিনে সেসব মাটি ভ্যাকু দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে ভাটায় এনে ইট তৈরি করছেন। ফলে আশপাশ এলাকার আবাদি জমির উর্বরতা হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রজাতিয় ফলদ, বনজ গাছপালাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের পাশে কলাগাছিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কলাগাছিয়া বাজারের সাথে মেসার্স আজাদ ব্রিফ এসএম মন্টু গাড়িভর্তি ও স্তূপকৃত এবং প্রাইম ব্রিকস।
তাদের এসব ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে লাকড়ি পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও আরও অন্যান্য ব্রিক্সে একই চিত্র

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী উপজেলার কলাগাছিয়া, মরিচবনিয়া, বরবিঘাই, ছোটবিঘাই, লাউকাটি,মাদারবুনিয়া, ইটবারিয়া ,লোহালিয়া উপজেলার গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় ১০অধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার দু-একটি ছাড়া কোনোটিরই হালনাগাদ লাইসেন্স নবায়ন বা পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটাতে ৩ থেকে ৪ ধরনের ফরমা ব্যবহার করা হয়। এতে ইটের সাইজ ছোট-বড় করে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে থাকে।

কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর এসব ম্যানেজ করে থাকেন উপজেলা ইটভাটা মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় কিছু ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন আছে আর অনেকের লাইসেন্স নবায়ন নেই । সবদিক ম্যানেজ করেই বরাবর যেভাবে চালানো হয়ে থাকে, এ বছরও সেভাবেই ভাটাগুলো পারিচালিত হয়ে আসছে।

পটুয়াখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হাই তাকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

ইটভাটায় দেদারসে পুড়ছে কাঠ: দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম ১০:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

#মশিউর রহমান (রিপন) :পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী সদর ইটভাটার মালিকরা সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে লাইসেন্সবিহীন অনেক টি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারে লাকড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩তে বলা হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন, হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন, ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন, টানেল ক্লিন বা অনুরোপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।
তাছাড়া আবাসিক, জনবসতি, সংরক্ষিত এলাকার বনভূমি ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করা যাবে না। এছাড়া সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আর এ আইন অমান্য করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

আর এসব ইটভাটা তদারকি করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে পটুয়াখালী অধিকাংশ ইটভাটা মালিক এসব আইনের তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে দেদারে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভাটা মালিকরা ভাটার আশাপাশে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে শেষ করে ফেলেছেন। বর্তমানে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাটি কিনে সেসব মাটি ভ্যাকু দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে ভাটায় এনে ইট তৈরি করছেন। ফলে আশপাশ এলাকার আবাদি জমির উর্বরতা হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রজাতিয় ফলদ, বনজ গাছপালাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের পাশে কলাগাছিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কলাগাছিয়া বাজারের সাথে মেসার্স আজাদ ব্রিফ এসএম মন্টু গাড়িভর্তি ও স্তূপকৃত এবং প্রাইম ব্রিকস।
তাদের এসব ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে লাকড়ি পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও আরও অন্যান্য ব্রিক্সে একই চিত্র

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী উপজেলার কলাগাছিয়া, মরিচবনিয়া, বরবিঘাই, ছোটবিঘাই, লাউকাটি,মাদারবুনিয়া, ইটবারিয়া ,লোহালিয়া উপজেলার গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় ১০অধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার দু-একটি ছাড়া কোনোটিরই হালনাগাদ লাইসেন্স নবায়ন বা পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটাতে ৩ থেকে ৪ ধরনের ফরমা ব্যবহার করা হয়। এতে ইটের সাইজ ছোট-বড় করে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে থাকে।

কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর এসব ম্যানেজ করে থাকেন উপজেলা ইটভাটা মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় কিছু ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন আছে আর অনেকের লাইসেন্স নবায়ন নেই । সবদিক ম্যানেজ করেই বরাবর যেভাবে চালানো হয়ে থাকে, এ বছরও সেভাবেই ভাটাগুলো পারিচালিত হয়ে আসছে।

পটুয়াখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হাই তাকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।