সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আল আমিন হোসেন
১৩ ডিসেম্বর, সারাদিন হাল্কা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। হালকা কুয়াশা আর হালকা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন শীতের তীব্রতা অনুভব করতে শুরু করেছে। কিন্তু শীত মোকাবেলায় এখনো জমছেনা ফরিদগঞ্জে মৌসুমি ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত এসব কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারী-পুরুষ চাহিদামত কেনাকাটা করছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার, বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা স্মৃতিসৌধ, আলিয়া মাদরাসা ও সাবরেজিস্টার অফিসের পাশে রাস্তার ধারে, এবং তার আশপাশ ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাথের ওপর ও ভ্যানগাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় ক্রয় করছেন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও।
রাস্তার পাশে ফিরোজ আলম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে আমরা গুটিকয়েক দোকানদার ছিলাম এখন দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেলেও বেচাকেনা চলছে মোটামুটি আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছেনা।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দাম সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম বলেন, এখানে ছোট বড় মেয়েদের সোয়েটার, জ্যাকেট দাম মানভেদে
৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট ও বড় ছেলেদের সোয়েটার, জ্যাকেট ৮০ থেকে ৭০০ টাকা, হাতের মোজা ২০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া এখানে মানভেদে সাধারণ টুপি ৩০ থেকে ১২০ টাকা ও মাফলার ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কাপড় কিনতে আসা শহরের ফরিদগঞ্জ শহরের এলাকার খাদিজা বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কি আর বড় বড় মার্কেট থেকে কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে। তাই এখানে এসেছি। এখানে অনেক দোকান ঘুরে ২৭০ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটি ও ২২০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি। তিনি বলেন, এ দোকানগুলোতে একটু সময় দিয়ে খুঁজলে কমমূল্যে অনেক ভাল কাপড় মেলে বলেই এখানে আসি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার এ মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি চাইছে।