ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

ফরিদগঞ্জে জমছেনা ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রি

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আল আমিন হোসেন

১৩ ডিসেম্বর, সারাদিন হাল্কা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। হালকা কুয়াশা আর হালকা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন শীতের তীব্রতা অনুভব করতে শুরু করেছে। কিন্তু শীত মোকাবেলায় এখনো জমছেনা ফরিদগঞ্জে মৌসুমি ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত এসব কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারী-পুরুষ চাহিদামত কেনাকাটা করছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার, বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা স্মৃতিসৌধ, আলিয়া মাদরাসা ও সাবরেজিস্টার অফিসের পাশে রাস্তার ধারে, এবং তার আশপাশ ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাথের ওপর ও ভ্যানগাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় ক্রয় করছেন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও।

রাস্তার পাশে ফিরোজ আলম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে আমরা গুটিকয়েক দোকানদার ছিলাম এখন দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেলেও বেচাকেনা চলছে মোটামুটি আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছেনা।

ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দাম সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম বলেন, এখানে ছোট বড় মেয়েদের সোয়েটার, জ্যাকেট দাম মানভেদে
৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট ও বড় ছেলেদের সোয়েটার, জ্যাকেট ৮০ থেকে ৭০০ টাকা, হাতের মোজা ২০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া এখানে মানভেদে সাধারণ টুপি ৩০ থেকে ১২০ টাকা ও মাফলার ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

কাপড় কিনতে আসা শহরের ফরিদগঞ্জ শহরের এলাকার খাদিজা বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কি আর বড় বড় মার্কেট থেকে কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে। তাই এখানে এসেছি। এখানে অনেক দোকান ঘুরে ২৭০ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটি ও ২২০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি। তিনি বলেন, এ দোকানগুলোতে একটু সময় দিয়ে খুঁজলে কমমূল্যে অনেক ভাল কাপড় মেলে বলেই এখানে আসি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার এ মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি চাইছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

ফরিদগঞ্জে জমছেনা ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতবস্ত্র বিক্রি

আপডেট টাইম ০৯:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আল আমিন হোসেন

১৩ ডিসেম্বর, সারাদিন হাল্কা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। হালকা কুয়াশা আর হালকা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন শীতের তীব্রতা অনুভব করতে শুরু করেছে। কিন্তু শীত মোকাবেলায় এখনো জমছেনা ফরিদগঞ্জে মৌসুমি ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত এসব কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারী-পুরুষ চাহিদামত কেনাকাটা করছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার, বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা স্মৃতিসৌধ, আলিয়া মাদরাসা ও সাবরেজিস্টার অফিসের পাশে রাস্তার ধারে, এবং তার আশপাশ ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাথের ওপর ও ভ্যানগাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় ক্রয় করছেন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও।

রাস্তার পাশে ফিরোজ আলম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে আমরা গুটিকয়েক দোকানদার ছিলাম এখন দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দোকানের পরিমান বৃদ্ধি পেলেও বেচাকেনা চলছে মোটামুটি আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছেনা।

ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দাম সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম বলেন, এখানে ছোট বড় মেয়েদের সোয়েটার, জ্যাকেট দাম মানভেদে
৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট ও বড় ছেলেদের সোয়েটার, জ্যাকেট ৮০ থেকে ৭০০ টাকা, হাতের মোজা ২০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া এখানে মানভেদে সাধারণ টুপি ৩০ থেকে ১২০ টাকা ও মাফলার ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

কাপড় কিনতে আসা শহরের ফরিদগঞ্জ শহরের এলাকার খাদিজা বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কি আর বড় বড় মার্কেট থেকে কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে। তাই এখানে এসেছি। এখানে অনেক দোকান ঘুরে ২৭০ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য একটি ও ২২০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি। তিনি বলেন, এ দোকানগুলোতে একটু সময় দিয়ে খুঁজলে কমমূল্যে অনেক ভাল কাপড় মেলে বলেই এখানে আসি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার এ মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি চাইছে।