মোঃফখর উদ্দিন চট্টগ্রামঃ
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেও আনোয়ারায় বন্ধ হয়নি একটিও অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বরং মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে তাদের বারবার নিবন্ধনের জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। দেশের অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরে সারাদেশে প্রায় ২ হাজারের ও অধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ হলেও বরং আনোয়ারার চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। দেখা যাচ্ছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অতিথি করে উদ্বোধন হচ্ছে আরো নতুন নতুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এতে করে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আনোয়ারার জনসাধারণ অপচিকিৎসার স্বীকার হচ্ছে দিনদিন। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে ভূল চিকিৎসায় অনেকে অর্থনীতিকভাবে মারাত্মক সংকটে পড়তেছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সিভিল সার্জন ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আনোয়ারাবাসী। গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ১. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। ২. যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময় দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নবায়ন না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ৩. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপারেশন করার সময় অ্যানেস্থেসিয়া ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িতদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না। কিন্তু আনোয়ারায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে রমরমা অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে ডজন খানেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আদৌ এই অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আনোয়ারাবাসী চিকিৎসা সেবা পাবে নাকি কোন অর্থের মোহে অথবা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই অপচচিকিৎসা চলতে থাকবে সেটা দেখার পর্ব এখন।