ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

আজ ৬ ডিসেম্বর, ৫ হানাদার ও ২৭ রাজাকার খতম করে মুক্ত হয় কলাপাড়া।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ জন হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সামনে গুলি করে খতম করা হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রহণ করেন। ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আরিফুল রহমান মুকুল বলেন, আমরা থানা ভবন ঘেরাও করে তিন দিক থেকে আক্রমন করি। এসময় রাজাকারের ছোড়া একটি গুলি আমার মাথার পেছন দিক থেকে এসে আঘাত হানে। এতে আমার মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। তবে সেই রাতের কথা মনে উঠলে আমি এখনো আঁতকে উঠি।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে আমরা প্রকাশ্যে ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজারকে গুলি করে খতম করেছি। তবে আজও দুঃখ একটাই, এখনো কলাপাড়ার অনেকে জানেনা হানাদার মুক্ত দিবসের সঠিক ইতিহাস। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

আজ ৬ ডিসেম্বর, ৫ হানাদার ও ২৭ রাজাকার খতম করে মুক্ত হয় কলাপাড়া।

আপডেট টাইম ০১:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ জন হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সামনে গুলি করে খতম করা হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রহণ করেন। ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আরিফুল রহমান মুকুল বলেন, আমরা থানা ভবন ঘেরাও করে তিন দিক থেকে আক্রমন করি। এসময় রাজাকারের ছোড়া একটি গুলি আমার মাথার পেছন দিক থেকে এসে আঘাত হানে। এতে আমার মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। তবে সেই রাতের কথা মনে উঠলে আমি এখনো আঁতকে উঠি।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে আমরা প্রকাশ্যে ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজারকে গুলি করে খতম করেছি। তবে আজও দুঃখ একটাই, এখনো কলাপাড়ার অনেকে জানেনা হানাদার মুক্ত দিবসের সঠিক ইতিহাস। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।###