ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার রাজু গ্রেফতার

নিজস্ব সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মো: তপছিল হাছান:

বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজুকে (৩২) গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে সংস্থাটি।

ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজুর গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ শে অক্টোবর বুধবার ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে ও জেলার সাবেক ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজুকে তেত্রিশ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘেরের আড়ালে রোহিঙ্গারদের দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে মাদকের ব্যবসা করতেন রাজু। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও কক্সবাজার এবং টেকনাফ এলাকায় মাদকের গডফাদার তিনি।

ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপ—পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানিয়েছে, পাইকারি দরে ইয়াবা কিনতে নৌপথে রোহিঙ্গাদের দিয়ে মিয়ানমার ইয়াবা চালান সংগ্রহ করতেন। এর আগেও এরশাদুল অনেকগুলো বড় চালান ঢাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন এবং বর্তমানে কক্সবাজার ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে আছেন।

কে এই এরশাদুল হক রাজু?
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হকের তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান এরশাদুল হক রাজু ওরফে ইয়াবা রাজু। নুরুল হক হলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে টেকনাফ উপজেলার প্রথম সারির রাজাকার। ৯৬’ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি নাফ নদীর পাশে ১শত একর সরকারি খাস জমি দখল নিয়ে গড়ে তোলেন চিংড়ি মাছের ঘের। আর এই চিংড়ির ঘেরটি মায়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এটি ব্যবহার করে তার ছেলে এরশাদুল হক রাজু ইয়াবার চালান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে আসতো বাংলাদেশে। বিএনপি জোট সরকারের সময়ে রাজুর বাবা নুরুল হক ছিলেন কুতুবদিয়া পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। কিন্তু ছেলের ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকাবাসীর তোপের মুখে তাকে (নুরুল হক) ২০০৯ সালে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।

রাজুর সহযোগী কারা?
পিতার বহু বিয়ের কারণে রাজুর ভাই-বোনদের সংখ্যাটাও কম নয়। রাজুর বাবা নুরুল হকের প্রথম সংসারে আট মেয়ের মধ্যে পঞ্চম মেয়ের নাম সাবেকুন নাহার। সাবেকুন নাহারের স্বামী আবু তাহের ও তাদের দুই ছেলে আরিফ এবং শাহেদ হলেন এরশাদুল হক রাজুর প্রধান ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী। শাহেদ পুলিশে চাকুরী করা অবস্থায় ইয়াবা নিয়ে ধরা খেলে চাকরী চলে যায়। নুরুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে রয়েছে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে হামিন হোসাইন প্রথমে বিজিবিতে চাকুরী করতো, পরে র‌্যাবে যোগদান করে। বর্তমানে সে র‌্যাবে কাজ করে বলে জানা যায়। নুরুল হকের প্রথম দুই স্ত্রী টেকনাফ উপজেলায় দুটি ভিন্ন ভিন্ন বাড়িতে বসবাস করলেও তৃতীয় স্ত্রী থাকেন কক্সবাজারে। নুরুল হকের তৃতীয় স্ত্রীর সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে ও তিন ছেলে। বড় ছেলে রাশেদুল হক বর্তমানে পুলিশে চাকুরী করেন। মেজো ছেলে হলেন এরশাদুল হক রাজু আর ছোট ছেলের নাম রায়াত। রায়াত অবশ্য চট্রগ্রামে থেকে পড়ালেকা করেন। তবে অভিযোগ আছে যে, সেও পড়ালেখার আড়ালে চট্রগ্রামে ইয়াবার কারবারি করে।

কীভাবে চলে ইয়াবার ব্যবসা?
ইাফ নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা চিংড়ির ঘের হলো রাজুর ইয়াবা চালানের গোডাউন! আর এই কাজটি করেন রাজুর বোন জামাই আবু তাহের ও তার দুই ছেলে। মিয়ানমার থেকে পাইকারি দরে ইয়াবা কিনে নৌ পথে প্রথমে এই চিংড়ির ঘেরে মজুদ করা হয় ইয়াবা। পরে মাছের সাথে করে ট্রাকে করে ইয়াবার চালান পাঠানো হয় কক্সবাজার ও ঢাকা টু বিবাগী এবং বিভিন্ন জেলা গুলোতে । আর দুই জায়গায় ইয়াবা চালানের তদারকি করেন রাজু। সড়ক পথে ইয়াবার চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে রাজু প্লেনে করে আগেই পৌছে যেতেন ঢাকায়। যানে তিনি নিজে ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌছে দিতে পারেন।

রাজুর রাজনৈতিক ও অন্য পরিচয় আছে কী?রাজুর পিতা নুরুল হক ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজুও চলেছেন সেই পথে। ছাত্র অবস্থায় রাজু কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ইয়াবা রাজু। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রাজু জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। বর্তমানে তিনি জেলা ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজু এবং তার অপর দুই সহযোগী আবু তাহের ও তার ছেলে আরিফকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার সুধী সমাজ।
মাদকের গডফাদার ও সহযোগী আবু তাহের বলেনঃআমি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজু ওআরিফ নামে কাউকে চিনি না।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম বলেনঃ আমি টেকনাফ থানায় নতুন অংশগ্রহণ করেছি।ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যপ মাদক ব্যবসায়িকদের বিষয়টি খতিয়ে দেখব ও আমি যতদিন টেকনাফ থানায় আছি আরততদিন পর্যন্ত মাদক জিরো টলার আনতে মাদকবিরোধী অভিযান প্রমাণ থাকবে।আর মাদকের বিষয়ে কাউকে ছার দেওয়া হবে না সে যত বড় গডফাদারী হোক ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার রাজু গ্রেফতার

আপডেট টাইম ১১:০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মো: তপছিল হাছান:

বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজুকে (৩২) গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে সংস্থাটি।

ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজুর গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ শে অক্টোবর বুধবার ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে ও জেলার সাবেক ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজুকে তেত্রিশ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘেরের আড়ালে রোহিঙ্গারদের দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে মাদকের ব্যবসা করতেন রাজু। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও কক্সবাজার এবং টেকনাফ এলাকায় মাদকের গডফাদার তিনি।

ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপ—পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানিয়েছে, পাইকারি দরে ইয়াবা কিনতে নৌপথে রোহিঙ্গাদের দিয়ে মিয়ানমার ইয়াবা চালান সংগ্রহ করতেন। এর আগেও এরশাদুল অনেকগুলো বড় চালান ঢাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন এবং বর্তমানে কক্সবাজার ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে আছেন।

কে এই এরশাদুল হক রাজু?
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হকের তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান এরশাদুল হক রাজু ওরফে ইয়াবা রাজু। নুরুল হক হলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে টেকনাফ উপজেলার প্রথম সারির রাজাকার। ৯৬’ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি নাফ নদীর পাশে ১শত একর সরকারি খাস জমি দখল নিয়ে গড়ে তোলেন চিংড়ি মাছের ঘের। আর এই চিংড়ির ঘেরটি মায়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এটি ব্যবহার করে তার ছেলে এরশাদুল হক রাজু ইয়াবার চালান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে আসতো বাংলাদেশে। বিএনপি জোট সরকারের সময়ে রাজুর বাবা নুরুল হক ছিলেন কুতুবদিয়া পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। কিন্তু ছেলের ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকাবাসীর তোপের মুখে তাকে (নুরুল হক) ২০০৯ সালে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।

রাজুর সহযোগী কারা?
পিতার বহু বিয়ের কারণে রাজুর ভাই-বোনদের সংখ্যাটাও কম নয়। রাজুর বাবা নুরুল হকের প্রথম সংসারে আট মেয়ের মধ্যে পঞ্চম মেয়ের নাম সাবেকুন নাহার। সাবেকুন নাহারের স্বামী আবু তাহের ও তাদের দুই ছেলে আরিফ এবং শাহেদ হলেন এরশাদুল হক রাজুর প্রধান ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী। শাহেদ পুলিশে চাকুরী করা অবস্থায় ইয়াবা নিয়ে ধরা খেলে চাকরী চলে যায়। নুরুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে রয়েছে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে হামিন হোসাইন প্রথমে বিজিবিতে চাকুরী করতো, পরে র‌্যাবে যোগদান করে। বর্তমানে সে র‌্যাবে কাজ করে বলে জানা যায়। নুরুল হকের প্রথম দুই স্ত্রী টেকনাফ উপজেলায় দুটি ভিন্ন ভিন্ন বাড়িতে বসবাস করলেও তৃতীয় স্ত্রী থাকেন কক্সবাজারে। নুরুল হকের তৃতীয় স্ত্রীর সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে ও তিন ছেলে। বড় ছেলে রাশেদুল হক বর্তমানে পুলিশে চাকুরী করেন। মেজো ছেলে হলেন এরশাদুল হক রাজু আর ছোট ছেলের নাম রায়াত। রায়াত অবশ্য চট্রগ্রামে থেকে পড়ালেকা করেন। তবে অভিযোগ আছে যে, সেও পড়ালেখার আড়ালে চট্রগ্রামে ইয়াবার কারবারি করে।

কীভাবে চলে ইয়াবার ব্যবসা?
ইাফ নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা চিংড়ির ঘের হলো রাজুর ইয়াবা চালানের গোডাউন! আর এই কাজটি করেন রাজুর বোন জামাই আবু তাহের ও তার দুই ছেলে। মিয়ানমার থেকে পাইকারি দরে ইয়াবা কিনে নৌ পথে প্রথমে এই চিংড়ির ঘেরে মজুদ করা হয় ইয়াবা। পরে মাছের সাথে করে ট্রাকে করে ইয়াবার চালান পাঠানো হয় কক্সবাজার ও ঢাকা টু বিবাগী এবং বিভিন্ন জেলা গুলোতে । আর দুই জায়গায় ইয়াবা চালানের তদারকি করেন রাজু। সড়ক পথে ইয়াবার চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে রাজু প্লেনে করে আগেই পৌছে যেতেন ঢাকায়। যানে তিনি নিজে ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌছে দিতে পারেন।

রাজুর রাজনৈতিক ও অন্য পরিচয় আছে কী?রাজুর পিতা নুরুল হক ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজুও চলেছেন সেই পথে। ছাত্র অবস্থায় রাজু কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ইয়াবা রাজু। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রাজু জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। বর্তমানে তিনি জেলা ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজু এবং তার অপর দুই সহযোগী আবু তাহের ও তার ছেলে আরিফকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার সুধী সমাজ।
মাদকের গডফাদার ও সহযোগী আবু তাহের বলেনঃআমি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজু ওআরিফ নামে কাউকে চিনি না।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম বলেনঃ আমি টেকনাফ থানায় নতুন অংশগ্রহণ করেছি।ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যপ মাদক ব্যবসায়িকদের বিষয়টি খতিয়ে দেখব ও আমি যতদিন টেকনাফ থানায় আছি আরততদিন পর্যন্ত মাদক জিরো টলার আনতে মাদকবিরোধী অভিযান প্রমাণ থাকবে।আর মাদকের বিষয়ে কাউকে ছার দেওয়া হবে না সে যত বড় গডফাদারী হোক ।