ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত :

কুয়াকাটায় ঘরহারাদের কান্না, আকাশের নিচে হাজারো মানুষের বাস।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সাগরকন্যা খ্যাত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্যের নেতৃত্বে রোববার (১৩ নভেম্বর) বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার করাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ৩৯৫টি ঘর উচ্ছেদের আওতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কুয়াকাটায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আগে পূর্নবাসন নিশ্চিত করে উচ্ছেদ চালানোর দাবি জানিয়েছেন বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। দুই-আড়াই হাজার মানুষ ঘরের বাইরে রাত কাটিয়েছে। জনগণের দাবি আগে পূর্নবাসন করা হোক। নয়তো মানুষ যাবে কোথায় ? সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিল মোসাম্মৎ রেহানা বলেন, উচ্ছেদ হচ্ছে অনেক পরিবারের। এদের আগে পূর্নবাসন করা উচিত ছিল। জনগণ সবাই আমাদের কাছে ছুটে এসেছে। কিন্তু কী বলবো? আমার নিজের ঘরও সরিয়ে নিচ্ছি। কিছুটা সময় দিলে মানুষ ভালোভাবে যেতে পারতো। এখন সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। বাসিন্দা নাসরিন বলেন, আমার কিছু নেই। অন্যের ঘরে ছিলাম। হঠাৎ জানলাম ঘর ছেড়ে যেতে হবে। এখন আমরা কি করব বুঝতেছি না। আমার মাথা গোঁজার কোনো জায়গা নেই।
আছিয়া বলেন, সরকার আমাদের জমি থেকে নামিয়ে দেবে ভালো কথা। কিন্তু আমাদের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই দিক। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে উচ্ছেদ চালিয়ে অবৈধ দোকান, ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে অর্ধশতাধিক গাছ। আর সকাল থেকে পূর্ব দিকের বাসিন্দারা নিজের ঘর খুলে রাখছেন। কিন্তু ঘরগুলো খুলে কোথায় নিবেন তার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। ফলে বেড়িবাঁধের ঢালে তৈজসপত্র, ঘরের ছাউনি, বেড়া নিয়ে বসে আছেন।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রশাসন মনে করছেন বেড়িবাঁধের বাইরে কোনো বাসিন্দার বসত থাকবে না। যারা ওখানে ছিলেন তারা প্রায় ৭০ বছর ধরে ওখানে ছিলেন। এদেরকে সরকার পূর্নবাসন করবেন। কিন্তু কখন কিভাবে করবেন সেটা আমি বলতে পারছি না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানের জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে গত তিনদিন ধরে। যারা উচ্ছেদের আওতায় এসেছে তারা ভূমিহীন হলে অবশ্যই পূর্নবাসন করা হবে। ###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

কুয়াকাটায় ঘরহারাদের কান্না, আকাশের নিচে হাজারো মানুষের বাস।

আপডেট টাইম ০৬:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সাগরকন্যা খ্যাত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্যের নেতৃত্বে রোববার (১৩ নভেম্বর) বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার করাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ৩৯৫টি ঘর উচ্ছেদের আওতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কুয়াকাটায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আগে পূর্নবাসন নিশ্চিত করে উচ্ছেদ চালানোর দাবি জানিয়েছেন বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। দুই-আড়াই হাজার মানুষ ঘরের বাইরে রাত কাটিয়েছে। জনগণের দাবি আগে পূর্নবাসন করা হোক। নয়তো মানুষ যাবে কোথায় ? সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিল মোসাম্মৎ রেহানা বলেন, উচ্ছেদ হচ্ছে অনেক পরিবারের। এদের আগে পূর্নবাসন করা উচিত ছিল। জনগণ সবাই আমাদের কাছে ছুটে এসেছে। কিন্তু কী বলবো? আমার নিজের ঘরও সরিয়ে নিচ্ছি। কিছুটা সময় দিলে মানুষ ভালোভাবে যেতে পারতো। এখন সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। বাসিন্দা নাসরিন বলেন, আমার কিছু নেই। অন্যের ঘরে ছিলাম। হঠাৎ জানলাম ঘর ছেড়ে যেতে হবে। এখন আমরা কি করব বুঝতেছি না। আমার মাথা গোঁজার কোনো জায়গা নেই।
আছিয়া বলেন, সরকার আমাদের জমি থেকে নামিয়ে দেবে ভালো কথা। কিন্তু আমাদের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই দিক। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে উচ্ছেদ চালিয়ে অবৈধ দোকান, ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে অর্ধশতাধিক গাছ। আর সকাল থেকে পূর্ব দিকের বাসিন্দারা নিজের ঘর খুলে রাখছেন। কিন্তু ঘরগুলো খুলে কোথায় নিবেন তার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। ফলে বেড়িবাঁধের ঢালে তৈজসপত্র, ঘরের ছাউনি, বেড়া নিয়ে বসে আছেন।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রশাসন মনে করছেন বেড়িবাঁধের বাইরে কোনো বাসিন্দার বসত থাকবে না। যারা ওখানে ছিলেন তারা প্রায় ৭০ বছর ধরে ওখানে ছিলেন। এদেরকে সরকার পূর্নবাসন করবেন। কিন্তু কখন কিভাবে করবেন সেটা আমি বলতে পারছি না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানের জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে গত তিনদিন ধরে। যারা উচ্ছেদের আওতায় এসেছে তারা ভূমিহীন হলে অবশ্যই পূর্নবাসন করা হবে। ###