ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

বরিশালে ছোট মসজিদের সন্ধান, সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বাকেরগঞ্জ)বরিশাল

বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে একটি ছোট মসজিদের সন্ধান মিলেছে। তবে এটির কোনো নাম নেই। স্থানীয়ভাবে বড় রঘুনাথপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি মসজিদ নামে পরিচিত। মাসজিদটি পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়া কাটাখালী খালের পাড়ে অবস্থিত। রঘুনাথপুর গ্রামের ফকির পাড়ার হাজী মো: আরশাফ আলী মুন্সি প্রায় দুই যুগ আগে নিজ অর্থায়নে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার থেকে বড় রঘুনাথপুর সড়কের কোল ঘেসে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হলেই খালের পাশে মসজিদটি। পিচ ঢালাই রাস্তার উপর দাড়ালে দেখা যায় গাছপালা ঘেরা ঘন জঙ্গলের বাঁশ বাগানের নিচে লাল রংয়ের ছোট মসজিদটি। মসজিদটি এতই ছোট যে, এখানে একজন ইমাম ও চারজন মুসুল্লী মোট পাঁচ জন নামাজ পড়ার মতো জায়গা রয়েছে। যখন মসজিদ নির্মাণ হয় তখন অত্র এলাকায় লোক বসতি খুবই কম ছিল। এখনো বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে মাসজিদে যেতে হয়। তখনকার সময় একসাথে মসজিদে বেশি নামাজী হতো না। কাছাকাছি পাড়া মহল্লায় এখনো তেমন বড় কোনো মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তাই মসজিদটি সেই অনুসারে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে মসজিদটিতে এখনো প্রতিদিন নামাজ পড়া হয়। আর মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এখনো রয়েছেন বৃদ্ধা হাজী মো: আরশাফ আলী মুন্সি। তবে তিনি জানান, মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। হয়তো মৃত্যুর আগে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। আর্থিক সংকট ও শারীরিক অসুস্থতায় মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কখন জানি নিজেই পরপারে চলে যাই। এখন পর্যন্ত এলাকার বিত্তশালীরা কেউ এগিয়ে আসেনি মসজিদটি বড় করে নির্মান করতে। যদি কেউ এগিয়ে আসেন মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করতে, যতটুকু জমির প্রয়োজন হয় আমিই দিতাম।

মসজিদটির আকৃতি প্রায় বর্গাকার (দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ০৮-১০ ফুট প্রায়)। চারকোণে মসজিদটি ইট বালুর তৈরি দেয়াল উপরে এক চালা টিনের ছাউনি। ভিতরে জায়গায় জায়গায় ক্ষয়, দেয়ালে ফাটল। উঁচ্চতা, মাটি থেকে প্রায় ১০ ফুট। মসজিদটির একটি দরজা ও দুটি জালন। দরজার উঁচ্চতা পাঁচ ফুট এবং প্রস্থে তিন ফুট। বাহিরের দেয়ালে লাল রং। ভিতরে একটি বৈদ্যুতিক লাইট। রয়েছে একটি কুরআন শরীফ।

বরিশাল জেলা প্রশাসন তথা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যদি মসজিদটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে সংরক্ষণ করে তবে ছোট এই মসজিদটি এলাকার মুসল্লিদের জন্য স্থায়ী একটি নামাজের স্থান হতো। হারিয়ে যেত না একটি মসজিদ। মসজিদটি লোক চোখের অন্তরালে রয়েছে সেটি জনসম্মুখে আসতে পারে এবং এলাকার মুসল্লিদের নামাজ পড়ার একটি স্থায়ী স্থান হতে পারে বলে স্থানীয়রা মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

বরিশালে ছোট মসজিদের সন্ধান, সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর

আপডেট টাইম ০৩:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বাকেরগঞ্জ)বরিশাল

বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে একটি ছোট মসজিদের সন্ধান মিলেছে। তবে এটির কোনো নাম নেই। স্থানীয়ভাবে বড় রঘুনাথপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি মসজিদ নামে পরিচিত। মাসজিদটি পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়া কাটাখালী খালের পাড়ে অবস্থিত। রঘুনাথপুর গ্রামের ফকির পাড়ার হাজী মো: আরশাফ আলী মুন্সি প্রায় দুই যুগ আগে নিজ অর্থায়নে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার থেকে বড় রঘুনাথপুর সড়কের কোল ঘেসে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হলেই খালের পাশে মসজিদটি। পিচ ঢালাই রাস্তার উপর দাড়ালে দেখা যায় গাছপালা ঘেরা ঘন জঙ্গলের বাঁশ বাগানের নিচে লাল রংয়ের ছোট মসজিদটি। মসজিদটি এতই ছোট যে, এখানে একজন ইমাম ও চারজন মুসুল্লী মোট পাঁচ জন নামাজ পড়ার মতো জায়গা রয়েছে। যখন মসজিদ নির্মাণ হয় তখন অত্র এলাকায় লোক বসতি খুবই কম ছিল। এখনো বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে মাসজিদে যেতে হয়। তখনকার সময় একসাথে মসজিদে বেশি নামাজী হতো না। কাছাকাছি পাড়া মহল্লায় এখনো তেমন বড় কোনো মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তাই মসজিদটি সেই অনুসারে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে মসজিদটিতে এখনো প্রতিদিন নামাজ পড়া হয়। আর মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এখনো রয়েছেন বৃদ্ধা হাজী মো: আরশাফ আলী মুন্সি। তবে তিনি জানান, মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। হয়তো মৃত্যুর আগে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। আর্থিক সংকট ও শারীরিক অসুস্থতায় মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কখন জানি নিজেই পরপারে চলে যাই। এখন পর্যন্ত এলাকার বিত্তশালীরা কেউ এগিয়ে আসেনি মসজিদটি বড় করে নির্মান করতে। যদি কেউ এগিয়ে আসেন মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করতে, যতটুকু জমির প্রয়োজন হয় আমিই দিতাম।

মসজিদটির আকৃতি প্রায় বর্গাকার (দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ০৮-১০ ফুট প্রায়)। চারকোণে মসজিদটি ইট বালুর তৈরি দেয়াল উপরে এক চালা টিনের ছাউনি। ভিতরে জায়গায় জায়গায় ক্ষয়, দেয়ালে ফাটল। উঁচ্চতা, মাটি থেকে প্রায় ১০ ফুট। মসজিদটির একটি দরজা ও দুটি জালন। দরজার উঁচ্চতা পাঁচ ফুট এবং প্রস্থে তিন ফুট। বাহিরের দেয়ালে লাল রং। ভিতরে একটি বৈদ্যুতিক লাইট। রয়েছে একটি কুরআন শরীফ।

বরিশাল জেলা প্রশাসন তথা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যদি মসজিদটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে সংরক্ষণ করে তবে ছোট এই মসজিদটি এলাকার মুসল্লিদের জন্য স্থায়ী একটি নামাজের স্থান হতো। হারিয়ে যেত না একটি মসজিদ। মসজিদটি লোক চোখের অন্তরালে রয়েছে সেটি জনসম্মুখে আসতে পারে এবং এলাকার মুসল্লিদের নামাজ পড়ার একটি স্থায়ী স্থান হতে পারে বলে স্থানীয়রা মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।