পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহের এই তিন দিন কুয়াকাটায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে ৪ ও ৫ নভেম্বর পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে বুধবার (২ নভেম্বর) থেকে সৈকতে কমেছে পর্যটকের সংখ্যা। ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং হওয়া হোটেল মোটেলের ৮০ ভাগ বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে অবৈধ যান ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিক সমিতি। তাই বুধবার থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক সমাগম কমতে থাকে। বর্তমানে কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেট, শুটকি পল্লী, সানসেট পয়েন্ট ও বৌদ্ধ মন্দিরে খুব কম সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে। এ ছাড়া জিরো পয়েন্টেও তেমন আনাগোনা নেই পর্যটকের। কর্মহীন দিন কাটাচ্ছে সৈকতের অস্থায়ী দোকানিরা। বাস ধর্মঘট দীর্ঘ হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটার ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী কাওসার মিয়া বলেন, ‘বাস মালিকরা ধর্মঘট ডাকায় কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আজ সকালে যারা এসেছিল তারাও রাতের গাড়িতে ফেরত যাচ্ছে। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার আমাদের ট্যুরে প্রায় দেড়শত লোকের বুকিং ছিল। তারা আজ বুকিং বাতিল করেছে। এতে লোকসানে পড়েছি।’ হোটেল আমান ইন এর ম্যানেজার রিপন মিয়া জানান, শুক্রবার ও শনিবার তাদের হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং ছিল। সবই বাতিল করেছে পর্যটকরা। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটায় শুক্রবার কেন্দ্র করে অধিকাংশ হোটেলে অগ্রিম বুকিং হয়ে থাকে। কিন্তু আগামী দুই দিন বাস ধর্মঘট থাকার কারণে ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ রুম বুকিং বাতিল হয়েছে। আর এই সকল পরিস্থিতি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর জন্য অশনিসংকেত হিসেবে কাজ করে। যার ভুক্তভোগী পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক ও বিনিয়োগকারীরা। ###