মোঃ খলিলুর রহমান জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইব্রাহিমপুর বাঁশবাজার সুমন পোল্টি ফিট ও মেডিসিন কর্নারের পরিচালক মুশফিকুর রহমান সুমন, বাদী হয়ে ১১/১০/২০২২ ইং মঙ্গলবার নবীনগর থানায় অভিযোগ দেন চারজনের নামে। অভিযোগে উল্লেখ করেন, দোকানে অতর্কিত হামলা ক্যাশ ভেঙ্গে চার লাখ বিশ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়া ও মারধর হত্যার চেষ্টা করে। ঐ রাত্রে আনুমানিক ১২ টায়, তালাত মাহমুদ চৌধুরী সাদ্দাম (৩০) তার ভাই সুমেল চৌধুরী (৪০) উভয় পিতা কারো চৌধুরী।অভিযোগের তদন্ত শেষ না করেই দুই জন কে গ্রেফতার করে নবীনগর থানা পুলিশ। বুধবার জেলহাজতে প্রেরণ করার পরে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নবীনগর থানা পুলিশে কর্মরত এস আই মান্নান। ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সশরীরে ব্যবসা করছেন বাদীর ছোট ভাই আনিসুর রহমান মুনকার,তার কাছে জানতে চাই আপনার দোকান লোট হলে আর আপনার ওপর হামলা হলে দোকানে বসে সুস্থ অবস্থায় ব্যবসা করছেন কিভাবে? তিনি বলেন, সাদ্দাম ও সুমেল দোকানে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে, মারধোর করে লেটাইয়া ফেলে, ক্যাশ ভেঙ্গে টাকা নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমি আমার ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়। মুনকারের কথায় মিথ্যা প্রমানিত হয়।। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের অন্যান্য দোকানিদের থেকে জানা যায়। অতর্কিত হামলা নয়, ব্যবসায়িক টাকার হিসাব নিয়ে রাত ৮ টায় সুমনের দোকানে আলোচনা বসে। একই বাজারের পিয়াস টেলিকমের মালিক জয় বলেন, আমার কাছে সাদ্দামের ১১ হাজার টাকা ছিল।সুমন ও সাদ্দাম উভয় ডাকলে আমি সুমনের দোকানে যাই,
সাদ্দামদের একটি পুকুর রয়েছে ওই পুকুর পত্তন দিয়েছিল আনিসুর রহমানকে।ঐ চুক্তিনামা কাগজ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি দেখি নাই ।একজন সজ্জন রেমিট্যান্স যুদ্ধা স্পেন প্রবাসী কে তদন্তহীন হটাৎ নবীনগর থানায় গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় আমরা হতবিহ্বল।
মোরশেদ আলম বলেন, দোকানে একাধিক সিসি ক্যামেরা আছে। আপনারা ক্যামেরা টাইন্না দেখেন মিথ্যা মামলা দিছে। বাদীর ভাইয়ের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার ক্যামেরা নষ্ট।
বিবাদীর বড় ভাই জুয়েল বলেন, পার্টনারশিপ ব্যবসায়িক হিসাব নিয়ে, তর্ক বিতর্ক হয় কিন্তু পুলিশ যাচাই-বাছাই না করে আমাকেও আসামি করে। আমার দুই ভাইকে ধরে নিয়ে কোটে চালান দিছে। আমি এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। এ বিষয়ে মুঠোফোন জানতে চাইলে এসআই মান্নান বলেন মামলা নেওয়ার দায়িত্ব ওসি স্যারের আমার না। দোকানের ভিতরে দুটি ক্যামেরা কাজ করে না শুধু বাহিরের ক্যামেরা কাজ করে তাই মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত ছাড়া আসামি জেলহাজতে পাঠানো যায় কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন কয়টা মামলারী তদন্ত হয়। ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন এই মামলা তদন্তাধীন আছে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন কথা কাটির পর দুই পক্ষ চলে যাওয়ার প্রায় একঘন্টা পর মালামাল উলট পালট করে রাখে ও বাহিরে ফেলে। এই বিষয়ে তথ্য প্রমান না নিয়ে এক তরফা নিউজ করায় প্রবাসী জেলে যাওয়ায় বাজারের সম্মান নষ্ট হয়।বাজার ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক বাবুল ও সফর মিয়ার প্রতি তীব্র নিদ্রা জানান