ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন

শরিফুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা করছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এবং সুলতান মাহামুদ বিপ্লবসহ ভোটাররা।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিন জন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিচেনায় দলের সমর্থিত প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস (আনারস) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুর আমীর লিটু(মোটরসাইকেল) ও জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসক মো.সুলতান আহম্মেদ বিপ্লব (চশমা)।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫৫২ জন। সদর উপজেলায় ২টি এবং লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় একটি। এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,গত ২৬সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে প্রতীক বরাদ্দের দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো.ফয়জুর আমীর লিটুর নির্বাচনে সমর্থনকারি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. আলমগীর হোসেন এবং প্রস্তাবক সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউপি সদস্য ও শ্রমিক লীগ নেতা মো.আজিম বেগকে লাঞ্চিত করে। তারা সভা কক্ষের চেয়ার,মাইক্রোফোনও ভাংচুর করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সুবাস বোস, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.সোহরাব হোসেন বিশ্বাস,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। ফলে সুস্ঠু নির্বাচন নিয়ে তারা শংকিত।
সৈয়দ ফয়জুর আমীর লিটু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,প্রতীক বরাদ্দের দিনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে যে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটলো প্রশাসন তার কোন বিচার করেনি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। সভাকক্ষে সিসিটিভি লাগানো আছে। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার আহবান জানান। তিনি দাবি করেন,জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৬৭ জন বিএনপি-জামাতের ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা করলেন।
নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে চেয়ারম্যান পদে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহামুদ বিপ্লব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের এখনই বলা হচ্ছে নির্বাচনের বুথে ইউপি চেয়ারম্যান দাড়িয়ে থেকে তাদের ভোটারদের আনারস প্রতীকে ভোট দিতে হবে। তিনি প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগানোর দাবি করেন। তিনি বলেন,পেশি শক্তি প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার কথা ভাবছেন।
নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন,সুষ্টু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে যা কিছু প্রয়োজন তা করা হবে। বিশৃঙ্খলা সৃস্টিকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন

আপডেট টাইম ০৮:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

শরিফুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা করছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এবং সুলতান মাহামুদ বিপ্লবসহ ভোটাররা।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিন জন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিচেনায় দলের সমর্থিত প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস (আনারস) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুর আমীর লিটু(মোটরসাইকেল) ও জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসক মো.সুলতান আহম্মেদ বিপ্লব (চশমা)।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫৫২ জন। সদর উপজেলায় ২টি এবং লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় একটি। এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,গত ২৬সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে প্রতীক বরাদ্দের দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো.ফয়জুর আমীর লিটুর নির্বাচনে সমর্থনকারি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. আলমগীর হোসেন এবং প্রস্তাবক সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউপি সদস্য ও শ্রমিক লীগ নেতা মো.আজিম বেগকে লাঞ্চিত করে। তারা সভা কক্ষের চেয়ার,মাইক্রোফোনও ভাংচুর করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সুবাস বোস, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.সোহরাব হোসেন বিশ্বাস,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। ফলে সুস্ঠু নির্বাচন নিয়ে তারা শংকিত।
সৈয়দ ফয়জুর আমীর লিটু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,প্রতীক বরাদ্দের দিনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে যে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটলো প্রশাসন তার কোন বিচার করেনি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। সভাকক্ষে সিসিটিভি লাগানো আছে। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার আহবান জানান। তিনি দাবি করেন,জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৬৭ জন বিএনপি-জামাতের ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা করলেন।
নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে চেয়ারম্যান পদে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহামুদ বিপ্লব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের এখনই বলা হচ্ছে নির্বাচনের বুথে ইউপি চেয়ারম্যান দাড়িয়ে থেকে তাদের ভোটারদের আনারস প্রতীকে ভোট দিতে হবে। তিনি প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগানোর দাবি করেন। তিনি বলেন,পেশি শক্তি প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার কথা ভাবছেন।
নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন,সুষ্টু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে যা কিছু প্রয়োজন তা করা হবে। বিশৃঙ্খলা সৃস্টিকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।