সাইদুল ইসলাম চৌধুরীঃ কমলগঞ্জ,(মৌলভীবাজার)
কমলগঞ্জ উপজেলার টিলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষার নামে ধোঁকা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরির জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করান উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষার নামে বেসরকারি প্রতিষ্টান কমলগঞ্জ জালালিয়ার ব্রাক অফিস থেকে কর্মী এনে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় ও এলাকায়
উত্তেজনা সৃষ্টি হলে,পরে সংবাদকর্মী ফোন পেয়ে মাট পর্যায়ে পর্যবেক্ষনে গেলে জানা যায় উক্ত স্কুলের শিক্ষক খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্টানটি পরিচালিত হয়।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আমি অবগত আছি বিষয়টি সম্পর্কে,তবে আমি আমার পারিবারিক কিছু ব্যাস্ততার কারনে অনুষ্ঠানের মিটিং বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম না,
প্রধান শিক্ষক এর সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন উটান নি।
জানাগেছে কমলগঞ্জ এর জালালিয়ায় অবস্থিত ব্র্যাক শাখা অফিসের কর্মরত সুপারভাইজার দিলারা ইয়াসমিন ও স্বাস্থ্য কর্মী সবিতা রানী রক্তের গ্রুফ নির্ণয় করেন প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ৫০ টাকার বিনিময়ে।
সবিতা রানী ফোনে জানান তিনি রক্ত পরিক্ষা করেছেন তবে টাকাগুলা সুপারভাইজার দিলারা ইয়াসমিন এর কাছে আছে, তিনিও সেসময় সাথে উপস্থিত ছিলেন,এবং তিনি এ অর্থ জমা দেবেন ব্র্যাক অফিসে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের অভিযোগ তারা দিন আনে দিন খায়,এমতাবস্থায় তাদের পক্ষে হুট করেই ৫০ টাকা দেয়া সম্ভব ছিলনা,সন্তানদের নাম স্কুল থেকে কেটে দেয়ার হুমকিতে শিক্ষার্থীরা এখন মানসিকভাবে ভেঙে পরেছে।
তাদের কষ্ট শেয়ার করে কান্নাজরিত কন্ঠে বলে উঠেন সন্তানদের এত কষ্টের বিনিময়ে বোজিয়ে শুনিয়ে স্কুলমুখি করেছি,আজ অসামর্থ্যের জন্য রক্ত পরিক্ষা করতে পারিনি বলে বাচ্চাদের নাম কেটে দেবার ভয় দেখিয়ে তাদের কয়েক বছরের উৎসাহ নষ্ট করে নিরুৎসাহিত করে দিয়েছেন স্কুল শিক্ষকগণ।
তাদের বাচ্চাদের তারা আর স্কুলের নাম শুনাতে পারেননা,তারা কান্না করে,ভয়ে স্কুলে যাবেনা বলে পালিয়ে বেড়ায়, চিন্তিতো হতে দেখা যায় ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহবুবুল আলম ভুইয়া বলেন, আমি বিষয়টি এখনি জানতে পারলাম,আমি ইতিমধ্যে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি এবং এরকম কার্যক্রম যেন তারা আর করতে না পারে তার জন্য আমি পদক্ষেপ নেব।