ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাসুদ হাসান রিদম :   বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে পুরো দেশকে মাদকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ নিয়ে এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি। তরুণরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকে সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বর্তমান সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত সামনে যা হচ্ছে সেগুলিকে নিয়ে কাজ করছি। যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্যে মাদক বন্ধ্যে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা কারণকে সামনে রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একযোগে কাজ করবে। এনপিএস নামে নতুন মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। মাদক পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তৎপর রয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকরের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো মাদক ঠেকাতেও সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের বেশি এমফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আর গডফাদারদের জন্য মানি-লন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যেকোনো নতুন মাদক আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৩:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮
মাসুদ হাসান রিদম :   বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে পুরো দেশকে মাদকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ নিয়ে এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি। তরুণরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকে সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বর্তমান সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত সামনে যা হচ্ছে সেগুলিকে নিয়ে কাজ করছি। যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্যে মাদক বন্ধ্যে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা কারণকে সামনে রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একযোগে কাজ করবে। এনপিএস নামে নতুন মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। মাদক পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তৎপর রয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকরের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো মাদক ঠেকাতেও সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের বেশি এমফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আর গডফাদারদের জন্য মানি-লন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যেকোনো নতুন মাদক আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।