ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক: মেয়র রেজাউল টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১০টন পলিথিন জব্দ দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়: মির্জা আজম “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: লোহাগাড়া সমিতি চট্টগ্রাম’র নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

মা কতৃক শিশু সন্তান হত্যা,লাশ গুমের চেষ্টা

  • নয়ন দাস
  • আপডেট টাইম ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৩২ বার পড়া হয়েছে
অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ন সমাজের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে দিবারাত্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। শুধু সংঘটিত  অপরাধ দমনই নয়, নিয়ন্ত্রন, তদন্ত সহ অপরাধ নিবারনে সার্বক্ষণিক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকালে কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নে একই গ্রামের জনৈক মোঃ আকবর আলী, পিতা- মৃত আক্কাছ আলী এর ধান ক্ষেত এর পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানের ক্ষেতের ভিতরে নিখোঁজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন  কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং  মৃত ফরহাদ হোসেন এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। এই সংক্রান্তে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। উলিপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব রুহুল আমিন এর চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে  হত্যার মূল রহস্য।
ভিকটিম গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করে, ফলে ভিকটিম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে  মৃত্যুবরণ করে।  ঘাতক মা ফেরদৌসী বেগম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। কিন্তু উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন হয় নির্মম সত্য।আসামী মোছাঃ ফেরদোসি বেগম ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ঘটনায় অবগত ভিকটিমের খালু আ: মজিদ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড

মা কতৃক শিশু সন্তান হত্যা,লাশ গুমের চেষ্টা

আপডেট টাইম ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ন সমাজের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে দিবারাত্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। শুধু সংঘটিত  অপরাধ দমনই নয়, নিয়ন্ত্রন, তদন্ত সহ অপরাধ নিবারনে সার্বক্ষণিক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকালে কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নে একই গ্রামের জনৈক মোঃ আকবর আলী, পিতা- মৃত আক্কাছ আলী এর ধান ক্ষেত এর পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানের ক্ষেতের ভিতরে নিখোঁজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন  কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং  মৃত ফরহাদ হোসেন এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। এই সংক্রান্তে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। উলিপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব রুহুল আমিন এর চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে  হত্যার মূল রহস্য।
ভিকটিম গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করে, ফলে ভিকটিম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে  মৃত্যুবরণ করে।  ঘাতক মা ফেরদৌসী বেগম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। কিন্তু উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন হয় নির্মম সত্য।আসামী মোছাঃ ফেরদোসি বেগম ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ঘটনায় অবগত ভিকটিমের খালু আ: মজিদ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।