ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী ছিল দু-চারজন, এখন দেশভরা ব্যবসায়ী

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী বলতে ছিল দু-চারজন। এখন আমাদের ঘর ভরা, দেশ ভরা ব্যবসায়ী। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আপনারা বড় বড় ব্যাবসায়ী হতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, আমি ব্যবসা বুঝি না এবং ব্যবসা করিও না কিন্তু আপনাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যাবসায়ীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহ সভাপতি সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে দেশের বিভন্ন সেক্টরে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ছুড়ে ফেলে দেই না। সেটা যত্নসহকারে ব্যাগে রাখি। সরকারে গেলে আমরা ইশতেহার দেখে দেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি। বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের ইশতেহার পাঠিয়ে দেই। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম- ক্ষমতায় যেতে পারলে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। আমরা ২০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেসরকারি খাতে ছিল না। কিন্তু আমরা যখন দেখলাম দেশে শিল্পায়নের জন্য এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ খুবই প্রয়োজন। এজন্য আমরা বেসরকারি সেক্টরে বিদ্যুৎ খাতকে ছেড়ে দিয়েছি। ১০, ২০, ৩০ মেগাওয়াট যে যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে তাকে সেইভাবে অনুমতি দিয়েছি।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। মূল ব্যবসা করবে বেসরকারি খাত। সরকারি খাতে ও কিছু ব্যবসা থাকবে সেটা হলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা সেভাবেই সরকারি খাতে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে বাকি সব ব্যবসা-বাণিজ্য বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠান থেকে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে আখ্যায়িত করে নৌকা মার্কার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, প্রবৃদ্ধি দুই ডিজিটে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারী বিনিয়োগ আকৃষ্টে সরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর এবং টেকসই স্থায়িত্ব উন্নয়নে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সংস্থান, রফতানি বাড়াতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকা দরকার বলে মনে করছে এফবিসিসিআই। সরকারের ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন বাধাগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কাও করছে এই সংগঠনটি। এ কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ফের সরকার গঠনের সুযোগ দিতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রয়োজন।

অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, এ কে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সি, প্রকৌশলি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আতবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী ছিল দু-চারজন, এখন দেশভরা ব্যবসায়ী

আপডেট টাইম ০৯:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী বলতে ছিল দু-চারজন। এখন আমাদের ঘর ভরা, দেশ ভরা ব্যবসায়ী। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আপনারা বড় বড় ব্যাবসায়ী হতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, আমি ব্যবসা বুঝি না এবং ব্যবসা করিও না কিন্তু আপনাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যাবসায়ীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহ সভাপতি সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে দেশের বিভন্ন সেক্টরে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ছুড়ে ফেলে দেই না। সেটা যত্নসহকারে ব্যাগে রাখি। সরকারে গেলে আমরা ইশতেহার দেখে দেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি। বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের ইশতেহার পাঠিয়ে দেই। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম- ক্ষমতায় যেতে পারলে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। আমরা ২০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেসরকারি খাতে ছিল না। কিন্তু আমরা যখন দেখলাম দেশে শিল্পায়নের জন্য এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ খুবই প্রয়োজন। এজন্য আমরা বেসরকারি সেক্টরে বিদ্যুৎ খাতকে ছেড়ে দিয়েছি। ১০, ২০, ৩০ মেগাওয়াট যে যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে তাকে সেইভাবে অনুমতি দিয়েছি।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। মূল ব্যবসা করবে বেসরকারি খাত। সরকারি খাতে ও কিছু ব্যবসা থাকবে সেটা হলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা সেভাবেই সরকারি খাতে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে বাকি সব ব্যবসা-বাণিজ্য বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠান থেকে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে আখ্যায়িত করে নৌকা মার্কার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, প্রবৃদ্ধি দুই ডিজিটে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারী বিনিয়োগ আকৃষ্টে সরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর এবং টেকসই স্থায়িত্ব উন্নয়নে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সংস্থান, রফতানি বাড়াতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকা দরকার বলে মনে করছে এফবিসিসিআই। সরকারের ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন বাধাগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কাও করছে এই সংগঠনটি। এ কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ফের সরকার গঠনের সুযোগ দিতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রয়োজন।

অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, এ কে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সি, প্রকৌশলি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আতবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।